লেখকঃ শাইখ আব্দুল্লাহ আল কাফী
দাড়ী আল্লাহর একটি মহান ও বড় নে’য়ামত। দাড়ী দ্বারা তিনি পুরুষকে অনুগৃহীত করেছেন এবং নারী জাতি থেকে তাকে বৈশিষ্ট মন্ডিত করেছেন।
দাড়ী শুধুমাত্র মুখমন্ডলের উপর কয়েকটি কেশগুচ্ছই নয়; বরং ইহা ইসলামের বাহ্যিক বড় একটি নিদর্শন। দাড়ী ছেড়ে রেখে এবং তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। আল্লাহ্ বলেন: “এই কারণে যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শন সমূহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, এটা তো তার হৃদয়ের তাকওয়ারই পরিচয়।” [ সূরা হাজ্জ- ৩২]
দাড়ী মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর অনুসৃত নীতির একটি অন্যতম পরিচয়। তিনি দাড়ী ছেড়ে দিতে ও লম্বা করতে আদেশ করেছেন।
কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয় যে, দাড়ীর প্রতি এত গুরুত্ব ও তার প্রতি সম্মানের নির্দেশ থাকা সত্বেও অধিকাংশ মুসলমান বিষয়টিকে অতি নগন্য ও তুচ্ছ মনে করে। যেন ঘৃণা ভরে প্রতিদিন তা ছেঁচে ফেলতে মহা ব্যস্ত হয়ে পড়ে। যারা মুন্ডন করে না তারা আরেক ষ্টাইলে তার সাথে খেলা-ধুলা করে। কেউ শুধুমাত্র থুতনীর উপর ছোট ছোট করে রাখে আবার কেউ খুবই হালকা করে কাল একটি রেখার মত করে রাখে। কেউ আবার দাড়িকে গোঁফের সাথে মিলিয়ে দিয়ে গোলাকৃতী করে রাখে।
এই চিত্রগুলো দেখলে একদিকে যেমন দুঃখ লাগে অন্য দিকে তা যেন হাস্যেরও পাত্র। যে মুসলমানকে দাড়ী ছেড়ে দিতে আদেশ করা হয়েছে, দাড়ীকে সম্মান করতে বলা হয়েছে সেই মুসলমান তো দূরের কথা কোন বিবেকবানের পক্ষেও এরকম আচরণ করা শোভনীয় নয়। বড়ই পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, আল্লাহ্ তা’আলা যে আকৃতিতে দাড়ীকে সৃষ্টি করেছেন সে অবস্থাতেই তা নিজ মুখমন্ডলে অবশিষ্ট রেখে ইসলামী শিষ্টাচারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনকারী এরকম সভ্য মানুষের সংখ্যা আজ খুবই বিরল। (লা হাউলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্)
মনীষীদের নিকট দাড়ীর মূল্য ও সম্মানঃ
আদম (আঃ) থেকে শুরু করে সমস্ত নবী ও রাসূলের বৈশিষ্ট ছিল দাড়ী রাখা। অনুরূপভাবে ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈন ও আইম্মায়ে মুজতাহেদীন সকলেই দাড়ী রেখেছেন। এমন কোন বর্ণনা বা ঘটনা খুঁজে পাওয়া যাবে না যে, তাঁদের মধ্যে কেউ দাড়ী কেটেছেন বা মুন্ডন করেছেন; বরং কারো দাড়ী না গজালে তার জন্য তাঁরা আফসোস করেছেন। সাহাবী ক্বায়স বিন সা’দ (রাঃ) দাড়ী বিহীন লোক ছিলেন। তাঁর সম্প্রদায় আনসাররা বললেন, হায় দাড়ী যদি বাজারে কিনে পাওয়া যেত তবে আমরা তাঁর জন্য দাড়ী কিনে নিতাম।”
প্রখ্যাত তাবেঈ আহনাফ বিন কায়স একজন বিচক্ষণ, বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী লোক ছিলেন। তিনি সৃষ্টিগত দিক থেকে খোঁড়া ও এক চোখ অন্ধ ছিলেন। তাঁর দাড়ীও উঠে নি। অথচ তিনি ছিলেন নিজ গোত্রের নেতা। লোকরা বলল, “বিশ হাজার দীনার খরচ করেও যদি যদি দাড়ী কিনে পাওয়া যেত তবে আমরা তাঁর জন্য তা খরিদ করতাম।” কি আশ্চর্য! লোকেরা তাঁর পা বা চোখের ত্র“টিকে ত্র“টি মনে করল না। কিন্তু তারা দাড়ী না থাকাটাকে অপছন্দ করল। কেননা তাঁরা দাড়ীকে মনে করতেন পৌরুষত্বের পরিচয়, মুসলিমের সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বের পূর্ণতার প্রতিক। তাঁরা দাড়ী বাঁচাতে গিয়ে এবং তার সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে নিজের গর্দান দিয়ে দেয়াকে সহজ মনে করতেন।
কিন্তু আফসোস মুসলমানদের অবস্থা দেখে তারা দাড়ীর প্রতি এতই রুষ্ট যে, অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে হলেও তার বিরুদ্ধে যেন অঘোষিত লড়াইয়ে নেমে পড়েছে। হাজার টাকা খরচ করেও যদি এমন হত যে আর কখনো মুখে দাড়ী গজাবে না, তারা সে পথেই অগ্রসর হতো। (নাঊযুবিল্লাহ্)
দাড়ী মুন্ডন হারাম হওয়ার দলীলঃ
আল্লাহ্ বলেন: “(শয়তান বলে) আমি অবশ্যই তাদেরকে আদেশ করব, তারা তখন আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে দিবে।” [ সূরা নিসাঃ ১১৯]
দাড়ী মুন্ডন করা বা কর্তন করা আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করার শামিল।
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “দশটি জিনিস স্বভাবজাত। তম্মধ্যে তিনি উল্লেখ করেছেনঃ গোফ কর্তন করা ও দাড়ী ছেড়ে দেয়া।” [ মুসলিম]
অতএব গোঁফ লম্বা করা আর দাড়ী কেটে ফেলা সুস্থ স্বভাব বিরোধী কাজ।
ইবনে ওমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: “তোমরা মুশরিকদের বিরোধীতা কর। দাড়ী ছেড়ে দাও এবং গোঁফ ছোট কর।” [বুখারী ও মুসলিম]
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: “গোঁফ ছেঁটে ফেল এবং দাড়ী লম্বা কর আর এর মাধ্যমে অগ্নী পুজকদের বিরোধীতা কর।” [ মুসলিম]
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যাবতীয় বিষয়ে মুশরিক-হিন্দু, ইহূদী-খৃষ্টান ও অগ্নী পুজকদের বিরোধীতা করা প্রতিটি মুসলমানের উপর ওয়াজিব।এ জন্যে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যারা কোন জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত হবে।” [ আবু দাউদ, আহমাদ হাদীছ সহীহ ]
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেন: “যে ব্যক্তি গোঁফ কাটে না সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়।” [ তিরমিযী, নাসাঈ, হাদীছ সহীহ ]
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নির্দেশ ওয়াজিব বা আবশ্যকতার দাবী রাখে।
অন্য দিকে দাড়ী মুন্ডন করার মাধ্যমে নিজেকে নারীদের কাতারে শামিল করা হয়। কেননা নারীরা দাড়ী বিহীন। কোন নারী যদি পুরুষের আকৃতি ধারণ করে এবং কোন পুরুষ যদি নারীর আকৃতি ধারণ করে তবে তারা লা’নতপ্রাপ্ত।
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নারীর সাদৃশ্য অবলম্বনকারী পুরুষকে এবং পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বনকারীনী নারীকে অভিশাপ করেছেন।” [ছহীহ আবু দাউদ, তিরমিযী]
দাড়ী রাখা ওয়াজিব না সুন্নাত?
এ নিয়ে মানুষ মতোবিরোধ করলেও দাড়ী রাখা যে ওয়াজিব সেটাই প্রনিধাণযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য কথা। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাড়ী রেখেছেন বলেই ইহা নবীজীর সুন্নাত বলে তার গুরুত্ব কমিয়ে দেয়ার কোন সুযোগ নেই। কেননা নবীজী দাড়ী নিজে রেখেছেন এবং তা রাখার জন্যে নির্দেশও দিয়েছেন। আর আল্লাহ্ তা’আলা যেমন ফরয করেন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও তেমনি ফরয বা ওয়াজিব করেন। তার কারণ হচ্ছে নবীজী কখনো নিজের কল্পনা প্রসূত কোন কথা বলতেন না। আল্লাহ্ তাঁর নিকট যা ওহী করতেন তিনি তাই বলতেন। [সূরা নজমঃ ৩,৪] তাছাড়া নবীজী দাড়ীর বিষয়ে যে সকল আদেশ সূচক শব্দ ব্যবহার করেছেন তার বিপরীতে এমন কোন হাদীছ খুঁজে পাওয়া যাবে না যা দ্বারা দাড়ীকে সুন্নাত বা মুস্তাহাব সাব্যস্ত যাবে।
তিরমিযীতে একটি হাদীছে বলা হয়েছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দৈর্ঘ ও প্রস্ত দিক থেকে তাঁর দাড়ী কাটতেন।” এ হাদীছটি মওযু বা জাল যার কোন ভিত্তি নেই। ইমাম তিরমিযী হাদীছটি বর্ণনা করার পর নিজেই একথার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। [ দ্রঃ ছহীহ তিরমিযীঃ হা/২৭৬২]
ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন, দাড়ী মুন্ডন করা হারাম। ইমাম কুরতুবী (রঃ) বলেন, দাড়ী মুন্ডান, উঠানো বা কর্তন করা কোনটাই জায়েয নয়। শায়খ বিন বায (রঃ) বলেন, দাড়ীকে সংরক্ষণ করা, পরিপূর্ণ রাখা ও তা ছেড়ে দেয়া ফরয। এই ফরযের প্রতি অবহেলা করা জায়েয নয়। শাইখ ইবনে উসাইমীন (রঃ) বলেন, দাড়ী রাখা ওয়াজিব, উহা মুন্ডন করা হারাম বা কাবীরা গুনাহ।
প্রসিদ্ধ চার মাযহাবের ফিকাহবিদগণও দাড়ী ছেড়ে দেয়া ওয়াজিব ও কেটে ফেলাকে হারাম বলে মত প্রকাশ করেছেন।
হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ র্দুরে মুখতারে (২য় খন্ড/৪৫৯ পৃঃ) বলা হয়েছেঃ পুরুষের জন্য দাড়ী কর্তন করা হারাম। নিহায়া গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, দাড়ী এক মুষ্টির বেশী হলে তা কেটে ফেলা ওয়াজিব। কিন্তু এর চাইতে বেশী কর্তন করা যেমনটি পশ্চিমা দেশের লোকেরা এবং খোঁজা পুরুষেরা করে তা কেউ বৈধ বলেননি। আর দাড়ী সম্পূর্ণটাই কেটে চেঁছে ফেলা হিন্দুস্থানের ইহূদী ও কাফের-মুশরেকদের কাজ।”
মালেকী মাযহাব মতে দাড়ী কাটা হারাম। {আল আদাভী আলা শারহে কিফায়াতুত্ তালেব রাব্বানী ৮ম খন্ড ৮৯ পৃঃ}
ইমাম শাফেঈ (রহঃ) তাঁর প্রখ্যাত গ্রন্থ ‘আল উম্ম’ উল্লেখ করেছেন যে, দাড়ী কর্তন করা হারাম।
শাফেঈ মাযহাবের আলেম আযরাঈ বলেনঃ সঠিক কথা হচ্ছে কোন কারণ ছাড়া সম্পূর্ণ দাড়ী মুন্ডন করা হারাম। [হাওয়াশী শারওয়ানী ৯ম খন্ড ৩৭৬ পৃঃ]
হাম্বলী মাযহাবের বিদ্বানগণও দাড়ী মুন্ডনকে হারাম বলেছেন। (ইনসাফ, শরহে মুন্তাহা)
অতএব দাড়ী মুন্ডন করা বড় পাপ। এ থেকে তওবা করা আবশ্যক। অবশ্য দাড়ী মুন্ডন করা ও কেটে ছোট করার পাপ এক সমান নয়। যদিও উভয়টিই পাপের কাজ।
অনেক মানুষ দাড়ী মুন্ডন করাটাকে খুবই ছোট ও তুচ্ছ ব্যাপার মনে করে। কিন্তু ইহা মুন্ডন করা কোন সময় সবচেয়ে বড় গুনাহের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হতে পারে। কেননা এটা প্রকাশ্যে পাপের কাজে লিপ্ত হওয়ার অন্যতম। আর প্রকাশ্যে এভাবে অন্যায়ে লিপ্ত হয়ে তওবা না করলে হতে পারে দাড়ী মুন্ডনকারী আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাবে না। কেননা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “আমার উম্মতের সবাইকে ক্ষমা করা হবে। কিন্তু যারা প্রকাশ্যে পাপের কাজে লিপ্ত হয় তাদেরকে ক্ষমা করা হবে না।” [ বুখারী ও মুসলিম ]
তাছাড়া কোন মানুষ যদি দাড়ীকে অপছন্দ করে বা তা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে অথবা দাড়ীওয়ালা মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, তবে সম্ভাবনা আছে একারণে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে কুফরীতে লিপ্ত হবে এবং মুরতাদ হয়ে যাবে। কেননা নবী (ছাঃ) যা নিয়ে এসেছেন তা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা বা ব্যঙ্গ করা বা তা ঘৃণা ও অপছন্দ করা ইসলাম ভঙ্গ হওয়ার অন্যতম একটি কারণ। আল্লাহ্ বলেন: “এই কারণে যে, তারা এমন বস্তুর অনুসরণ করেছে যার প্রতি আল্লাহ্ রাগাম্বিত। আর তারা তাঁর সন্তুষ্টিকে অপছন্দ করেছে। ফলে তিনি তাদের আমলগুলো বরবাদ করে দিয়েছেন।” [ সূরা মুহাম্মাদঃ ২৮]
সাবধান মুসলমান! নিজের আমল বরবাদ করবেন না বা অজ্ঞতা বশতঃ ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবেন না।
প্রিয় ভাই! সালাত সিয়াম ও অন্যান্য ওয়াজিব বিষয়ে আপনি যেমন আপনার পালনকর্তার আনুগত্য করেছেন। কেন এই বিষয়টিতে তাঁর নাফরমানী করছেন? উভয় বিষয়ের আদেশকারী রব কি একজনই নয়? কোথায় আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শন? কোথায় ঈমানের বলিষ্ঠতা ও সত্যতা? শরীয়তের বিধান নিয়ে কেন এই ছিনিমিনি খেলা?
পুরুষের সৌন্দর্য দাড়ী মুন্ডানোতে নয়। আল্লাহ্ তা’আলা মানুষকে সৃষ্টি করে তাকে নারী জাতী থেকে আলাদা ও বৈশিষ্ট মন্ডিত করেছেন। পৌরুষত্বের পরিচয় দাড়ী প্রদান করে তার সৌন্দর্য্যকে প্রস্ফুটিত করেছেন। কিভাবে মানুষ তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে তাকে পরিবর্তন করে নিজেকে নারী জাতীর সাথে সাদৃশ্য করতে চায়? ইসলামের শত্র“দের সাথে নিজেকে মিলিত করতে চায়? আর ধারণা করে যে, এতেই রয়েছে অতিরিক্ত সৌন্দর্য্য ও ব্যক্তিত্ব!? দাড়ী মুন্ডন না করলে বা না কাটলে যেন পুরুষের সৌন্দর্যই ফুটে উঠে না। পুরুষকে দাড়ী দিয়ে যেন আল্লাহ ভুল করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ্) তাই সেই ভুল শোধরাতে তারা যেন ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।
আল্লাহ্ বলেনঃ “তোমরাই কি বেশী জ্ঞান রাখ না আল্লাহ্ অধিক জ্ঞান রাখেন?” [ সূরা বাকারাঃ ১৪০]
দাড়ী বিহীন পুরুষ যদি অধিক সুন্দর হত তবে তা করতে আল্লাহ্ অপারগ ছিলেন না। কিন্তু তিনি এর মাধ্যমে পুরুষকে সম্মানিত ও মর্যাদাবান করতে চেয়েছেন। পার্থক্য করেছেন নারীদের থেকে।
সম্মানিত ভাই! আপনার এই কাজে কি দুনিয়াবী কোন উপকার আছে কি? পাবেন কি আখেরাতে কোন ছওয়াব-নেকী? কেন আপনি নিজেকে আল্লাহর ক্রোধের সম্মুখিন করছেন? কেন আপনি প্রতিদিন একটি অযথা পরিশ্রমে নিজেকে ক্লান্ত করছেন? কেন সময় ও অর্থের অপচয় করছেন?
হে আল্লাহ্ তুমি আমাদের সবাইকে তোমার সন্তুষ্টি মূলক কাজ করার তাওফীক দাও এবং যে কাজে তোমার অসন্তুষ্টি ও ক্রোধ রয়েছে তা থেকে আমাদেরকে বিরত রাখ।
আমীন॥
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]
Thanks a lot of.
Thank you for this valuable post
Thanks
Job Search Engine
দাড়ির সর্বোচ্চ মাপ কতটুকু?? শিখ বা খ্রিস্টান পাদ্রীরা অনেক বড় বড় দাড়ি রেখে থাকে ।
nice writing. some scholars say length of beard should be “one musti” : is there any proof supporting this statement..?
আসসালামু আলাইকুম। আপনাকে দাঁড়ি নিয়ে সুন্দর একটি হাদিস লেখার জন্য ধন্যবাদ। তবে আমার কাছে মনে হয় দাঁড়ি রাখা ফরয কারন নবী(সঃ) তার সকল সাহাবীদের দাঁড়ি রাখতে আদেশ দিতেন। আমি হাদিস পড়ে যা জেনেছি। কিন্তু আলেমগণ বলেন দাঁড়ি রাখা সুন্নাতে মোকাআক্কাদা। ভুল হলে সংশোধন হওয়ার জন্য সাহায্যে করবেন। খোদা হাফেজ।
আসসালামু আলাইকুম
how to answer people when people ask us about breed or dari
এক দাড়ি ওয়ালা মুসলিম ও এক দাড়ি বাদে লোকের মধ্য আলাপ
************************************* দাড়ি বাদে লোক – ভাই আপনি দাড়ি রেখেছেন কেন? পরিস্কার না কেন?মর্ডান না কেন? দাড়ি ওয়ালা মুসলিম – ভাই আপনার ইশারা কি আপনি যার উম্মত তার দিকে? দাড়ি বাদে লোক – না ভাই দাড়ি ওয়ালা মুসলিম – কিছু দিন আগে শুনতাম দাড়ি রাখলে তাদের অপরিস্কার বা জঙ্গলি বলা হত ঠিক? দাড়ি বাদে লোক – হ্যাঁ দাড়ি ওয়ালা মুসলিম – এখন শুনি গায়ে লোম থাকলে অপরিস্কার বা জঙ্গলি তাই বিভিন্ন দেশে দেখা যায় মেয়েরা তো পায়ের,হাতের লোম কেটে থাকে সাথে ছেলেরাও কাটে।এইটা এখন মর্ডান ঠিক? দাড়ি বাদে লোক – হ্যাঁ দাড়ি ওয়ালা মুসলিম – এর পর সামনে মর্ডান কি হবে বা আসবে? দাড়ি বাদে লোক – তা জানি না!
দাড়ি ওয়ালা মুসলিম – এর পর মর্ডান হবে বা আসবে চামড়া না থাকলে মর্ডান।তখন
আমরা যারা ইসলামিক মাইন্ডের তারা বেচে যাব যারা মর্ডান মর্ডান করেন তারা
বিপদে পরে যাবেন। দাড়ি ওয়ালা মুসলিম – আচ্ছা ভাই পূর্বের লোক কেমন ছিল?লম্বা না খাট ?আর এখন কি? দাড়ি বাদে লোক -পূর্বে লোকজন ছিল লম্বা আর এখন খাট। দাড়ি ওয়ালা মুসলিম – তাহলে খাট মর্ডান ঠিক? দাড়ি বাদে লোক – হ্যাঁ মানে।। দাড়ি ওয়ালা মুসলিম – আপনারে যদি বলা হয় একটা খাট মর্ডান মেয়ে বিয়ে করেন আপনি তা করবেন কি? দাড়ি বাদে লোক – না মানে।।
দাড়ি ওয়ালা মুসলিম – ভাই মন ভাল করেন আপনার আকিদাই সমস্যা আছে।আমার দাড়ি
হল আমার আকিদা।এবং ভাল মুসলিমদের কাছে এইটা মর্ডান,পরিস্কার ও সৌন্দর্য্য।
http://unityofmuslimummah.wordpress.com/
https://www.facebook.com/erorr.rotes
sakib vai lekha sob eidik ar sei dik cole gese sry for that :(
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته.lekhok ekhane besh kichu hadith niye eshechen dari kata haram bole ثابت korte cheyechen and tini kuchu jinisher vul bekkha diyechen. tini hoyto bhule gechen je أصول قفقه (usule fiqh.law pronoyon er Islamic rules) er قاعده holo kono kichuke haram sabit korte gele دليل قطعي lagbe. r دليل قطعي holo quraner aayat ba sahihi hadith jekhane sposto kore bola ache dari kata haram.but shei rokom kichu nei…r tai ei bishoyti niye imam der moddhe motanoikko royeche…lekhok bolechen imam shfei ba imam abu hanifa bolechen dari kata haram.kintu ashol kotha holo imam abu hanifa theke emon kono قول paoa jayna.r imam shafei er nikot dari shave korleo kono problem nei jehetu eti ekti normal sunnat onno r 10 ti sunnat er moto.( فتاوي الدكتور علي جمعة) ei kitabe ta sposto kore ullekh kora ache.tahole ekhon prosno ashe tahole hujur sallallahu alaihi wasallam boleche bivinno hadith a dari lomba koro moch and shorirre obanchito lom khato koro ittadi..ei hadith gulo ki hobe? answer holo bukhari sharif a je koyta hadith esheche tar moddhe jei حديث ti رئيس الباب shei hadise 10 hukum ek sathe kora hoyeche,bola hoyeche dari ke lomba koro,moch khato koro.nokh kato,shoriler obanchito lom fele dao ittadi.r shomosto imam ra ei kothar upor ek mot je عشرة من الفترة hocche sunnat.ekhane question holo jara bolen dari rakha wajib tara kivabe ekhane bujhechen je shudhu dari rakahi wajib?jehetu allar rasul 10 ti hukum ke eksathe bolechen and kono ektike nirdisto kore denni tahole er dara bujha gelo je shob gulo hukum ekoi level er.tobe he dari hocche purusher jonne shundorjer bishoy.jodi keu rakhe valo.r keu jodi kono karone na rakhe take kichu bola jabena karon shoyong allah rabbul alamin amader qiamater din darir jonno kono question korbenna.borong foroz er jonno dhorben.r sunnat bolte shudhu dari keno?amar ek protibeshi sick take dekhte jaoa sunnat.karo pete vat nai take khaoano sunnat.child der ador kora sunnat.baba ma vai bon wife shoho shob manusher sathe misti heshe kotha bola sunnat.mitthe na bola kauke kosto na deoa and aro onek kichu.dukkher bishoy holo amader Bangladesh Pakistan India r Afghanistan er alemra shudhu dari niyei pore achen.r onno kono sunnat tara palon korenna. khoar shomoy peter 2 vag kheye 1 vag pani kheye baki 1 vag khali rakaho sunnat.othocho koyjon alem achen jara allar rasuler ei hukum ta manen?khejur khaoa sunnat.camel a chorao sunnat.mot kotha hujur sallallahu alaihi wasallam er pura jibon amader jonno sunnat.juger poribortone manusher culture poriborton hoy.tokhon kar shomoy dari lomba rakhatai chilo culture.ekhon r shei culture nei.mot kotha islam amder jonno onek shohoj ekti dhormo.kichu oggo lok etike shobar shamne kothin kore rekhechen.abu jehel abu lahad utba shaiba shobar to lomba dari tupi pagri jubba chilo.tai bole ki tara jannate jabe?tara jahannami.allar rasuler 2 ti sahih hadith ja sahihain (bukhari and muslim) a esheche ta diye shesh korchi….1-ان الله لا ينظر الي أصواركم و اموالكم ولكن ينظر ال قلوبكم واعمالكم nischoi allah tomar bajjik oboyob and tomar dhon doulat kichui dekhbenna.shudhu dekhben tomar ontor and tomar valo kaj shomuho. 2- سئل النبي عن الايمان.قال النبي الايمان ههنا.(أشار الي صدره3 مرات hujur ke jiggesh kora holo eeman shomporke.allar rasul 3 bar sina mubarak er dike ishara kore bollen eeman ekhane.shutorang er dara bujha gelo dari iman er kono ongsho na…allah amader shobaike tar shothik pothe cholar and bujhar taufiq dan korun and allar rasuler sunnat motabek cholar taifiq dan korun.ameen( allah shorbo gener odhikari) Department of Islamic law,Al-Azhar university,Cairo Egypt
Tayeed Bhai, Thanks for your informative comment. I am agreed with you with the point that, we muslims, are much worried about external things like how should we walk, eat, look like etc etc. Of course, it is good to promote any hadith of Prophet Muhammad (sm) but I believe, our Imaan needs to be stronger first and we must be more aware and careful about Mandatory (Fard) things.
For example, Interest (Riba) is haraam. It is haraam by Quran and Hadith. There is no question about it. Still, most of us are somehow related with this Haraam. We, in general, have to boost our level of Imaan by accepting, spreading the Fard regulations and teachings. We must be able to prioritize which things are more important than others and then give/employ more time in those things.
Prophet (sm) teach Sahabas’ step by step, first basic beliefs, praticing Fard then when the disciples were strong in the Fard (i.e., basic learnings), additional wazib and sunnats were introduced to elaborate/detail. This is a general strategy of learning.
We should do research/think about how to teach Islam by looking at the methodology of Prophet (sm). We have to assess the level of Imaan of a person or target group and then give them appropriate teachings. If a person’s belief is not strong enough, the order of keeping beard as Fard/wazib and a lot of such orders might feel like a burden to him. He might feel that the religion is not easy. But when his belief is strong everything becomes very easy to accept.
Thus, we should, even for the online articles, think who are the target audience, how a person can implement the teaching in their life etc.
May Allah guide us.
foroj to Allah r kach theke ashe thik na?? Quran porechen ??? okhane peyechen dari nia kichu ?? muslim hoy tar soul dhara, bahirer part dia na .Iman shoriler na , moner .
thik bolesen, foroj allah r pokho theke ase, quran e allah onek jaigai bplesen allah ke voy koro r rasuler (sm) anugotto koro, tahole rasuler(sm) anugotto kora foroj, rasul(sm) dari sere dite bolesen sahih hadith dara promanito, tai je allah o Rasul(sm) er proti bissas rakhe take dari sere dite hobe.
“” “(শয়তান বলে) আমি অবশ্যই তাদেরকে আদেশ করব, তারা তখন আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে দিবে।” [ সূরা নিসাঃ ১১৯]
দাড়ী মুন্ডন করা বা কর্তন করা আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করার শামিল।””
ভাই তাহলে কি মুসলমানী করা কি সৃষ্টিকে পরিবর্তন করা না? অতিরিক্ত এই চামড়াখানা কেন দিলেন আল্লাহ?
‘আমরা মাথার চুল কাটি কেন? অবাঞ্ছিত লোম কাটি কেন? নখ কাটি কেন?… এগুলো সবই তো সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে দেয়’ — যারা আল্লাহর কোরানের ব্যাখ্যা নিজের মত করে দেন তারা নিশ্চয় ভালো মানুষ নন, আল্লাহ তাদের হেদায়েত দিন (আমিন)।
“বুখারি শরিফে খেজুর চাষের উপর শত শত হাদিস আছে কিন্তু আমরা খেজুর চাষ না করে ধান চাষ করি কেন?”— আজিব
আপনি যে রেফারেন্স গুলা (কোরান এবং হাদিস থেকে ) দিয়েছেন তার এক্টাও দাড়ি না রাখা কে হারাম বলে নি।
একমত …
‘আমরা মাথার চুল কাটি কেন? অবাঞ্ছিত লোম কাটি কেন? নখ কাটি কেন?…
এগুলো সবই তো সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে দেয়’ — যারা আল্লাহর কোরানের
ব্যাখ্যা নিজের মত করে দেন তারা নিশ্চয় ভালো মানুষ নন, আল্লাহ তাদের
হেদায়েত দিন (আমিন)।
“বুখারি শরিফে খেজুর চাষের উপর শত শত হাদিস আছে কিন্তু আমরা খেজুর চাষ না করে ধান চাষ করি কেন?”— আজিব
আপনি যে রেফারেন্স গুলা (কোরান এবং হাদিস থেকে ) দিয়েছেন তার এক্টাও দাড়ি না রাখা কে হারাম বলে নি।
আমাদের একমাত্র কাজ হল রসূলুল্লাহ (সঃ) কে পরিপূর্ণ ভাবে অনুসরণ করা আর তার মধ্যেই আছে আমাদের সফলতা।কিন্তু আজ আমরা সঠিক পথে না যেয়ে মানুষদের বিভ্রান্ত করছি…….নিজেদের মনগড়া মতবাদ প্রচার করছি। রসূলুল্লাহ (সঃ) এর কোন সুন্নতকে ওয়াজিব বা ফরজ বলা অবশ্যই বিদআত…….আল্লাহ আমাদের সঠিক দ্বীনের জ্ঞান দান করুন। আমীন॥
Jajakallahu Khairan………We should follow Quran and Sunnah. Allah show us the straight way.(ameen)
iman is firstly from your oral recognition, then from your heart and lastly from your body. we believed in kalima, which describes “there is no ilah, except Allah, muhammmad(sm) is the messenger”. here we accept that Allah is the doer( who acts and gets things done ) of every thing and muhammmad(sm) is our role model. so what ever muhammmad(sm) has done or said or acted or forbidden is important for us to get those in our life.
************* an Indian army wearing the uniform of Pakistani army and saying, ” i am a true Indian army, i love my country more than my life”. then what will the Indian soldier do? will they kiss him? award him the highest military honour?
definitely not. he will be rewarded(!) the highest military punishment.**********
like this, those who will follow the rules of kufer, and describe themselves as the true believer, will not be rewarded, will be punished.
in this topic it has never pronounced that beard is superior to iman.
only the importance of beard and our negligence has been pictured. iman
is on its position and beard is on its position.(!)
if we can not follow strictly, we should regret. we should not neglect or comment badly to others.
those ayah and hadith has mentioned, we should not give fatwa over or according to the literary meaning of these. we should respect these.
sorry! if any body hurts.
may Allah let them understand, who ignore it and gives fatwa(!) against it.
The act of clean-shaving, by doing so, one is actually imitating the appearance of women .It is narrated in a Hadith: “Allah’s Messenger (sallallahu alayhi wasallam) cursed those men who are in the similitude (assume the manners) of women and those women who are in the similitude (assume the manners) of men.”.[Reference: Sahih al-Bukhari- 5885, Book 77:Book of Dress,Chapter 61, Hadith 102, http://sunnah.com/bukhari/77/102 ]
এক মুষ্টি দাড়ি উমরের হাদিস, রাসুল বলছে বড় করতে এক মুষ্টি নয়, আমরা রাসুলকে মানি উমরকে নয়
ai to amar dari
apni emon kore bolsen kno?
Vai amra umar (ra) keo mani obossoi,tobe umar (ra) er name diye je hadis ta procholito seta sahih howar bipokkhe onek mot ache r sohih holeo eta ijma diye sahaba gon sobar jonne aam koren ni..r sob theke boro kotha jodi sahih o hoy tobe umar(ra) ota sudhu hazz er somoy hazz korte giye korten,but amra sobsomoy e kori…jar etoi sokh je ek mutho dari rakhbe to proti bochor age hazz koruk r tar por bochore ekbar kore ekmutho dari rakhe baki ta katuk,dekhi k kotobar hazz e jay…
শরিয়তের প্রবর্তক একমাত্র রাসুল (সাঃ), আল্লাহ অন্য কাউকে এই ক্ষমতা দেননি ।
Allah is all mighty
dari sorbo nimno koto tuku rakte hobe