মরুর প্রাচীর পেরিয়ে -৩ (কুরআনের মাঝে, কুরআনের ছায়ায়)

1
1806

Pics 5

লিখেছেনঃ নায়লা নুজহাত

পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩ 

আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে, হেরা পর্বতের এক গুহাতে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষটির (সা:) কাছে জিবরাইল (আ) নিয়ে এসেছিলেন এক অপূর্ব বার্তার পরিচয়। আল্লাহর তরফ থেকে সমগ্র মানবজাতির জন্য এক অসাধারণ রহমত—দিক নির্দেশনা এবং এক পরিপূর্ণ জীবন বিধান। পরবর্তী ২৩ বছর সময়কাল ধরে সেই বার্তা পরিপূর্ণরূপে মানুষের কাছে পৌঁছে আল্লাহর রাসুল (সা:) এর মাধ্যমে। তিনি (সা:) সেই বার্তা প্রচারের সাথে সাথে কিভাবে তা জীবনে আঁকড়ে ধরে সাফল্যের দিকে মানুষ এগিয়ে যাবে তাও দেখিয়েছেন নিজের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে। সেই বার্তা, যা কিনা আমাদের মুসলিমদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়ার কথা। সেই বার্তা – যা কোন সাধারণ পুস্তক না— যার প্রতিটি অক্ষর বলে দেয় যে এর উৎপত্তি সাধারণ কোন উৎস থেকে নয়। এ যে আমাদের সৃষ্টিকর্তার কথা, আমাদের উদ্দেশ্যে—তাঁর বান্দাদের উদ্দেশ্যে। এ সেই কুরআন।

আল্লাহর রাসুল (সা:) এর যুগ থেকে শুরু করে আমাদের এই সময় পর্যন্ত কুরআন বিভিন্ন ভাবে মানুষের কাছে সংরক্ষিত হয়েছে। যুগে যুগে বিভিন্ন দেশে অজস্র মানুষ কুরআন কে স্মৃতিতে ধরে রেখেছেন। নাম না জানা অজস্র এই হাফিযদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে কতই না ঊর্ধ্বে। কখনো পারিবারিকভাবে, কখনো শিক্ষকের মাধ্যমে আর কখনোবা কুরআন স্কুলের মাধ্যমে কুরআনের এই জ্ঞান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বাহিত হয়েছে। নানান দেশের কুরআন স্কুলের ধরন ভিন্ন প্রকৃতির হলেও তাদের উদ্দেশ্য একটাইঃ আল্লাহর বানী মানুষের মাঝে সংরক্ষণ করা। বিনোদনের এই যুগে আমাদের জীবন থেকে কুরআনের অংশ অনেকখানি কমে গিয়েছে। আজকে আমরা মুসলিমরা এই অভাবনীয় রহমত আস্বাদন করা থেকে নিজেদের অনেক দূরে নিয়ে গিয়েছি।

কালের আবর্তনে ইসলামের জন্মভূমি এই মরুর দেশে অনেক পরিবর্তন আসলেও কুরআন শিক্ষার এক অবিচ্ছিন্ন সংস্কৃতি এখনো এখানে বহাল রয়েছে। এদেশের অনারব অধিবাসীদের অনাগ্রহের কারনে এই সংস্কৃতির কথা আমাদের অনেকের হয়ত জানা নেই। সেই অজানা সংস্কৃতির বাহক এমন একটি স্কুলের কথা আজ লিখতে বসেছি।

প্রতিটি মহল্লাতেই একটি করে কুরআন মুখস্থ করার স্কুল আছে যা কেবল মহিলাদের জন্য; মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত। আমাদের এলাকার স্কুলটা খুঁজে পেতে বিশেষ কষ্ট হয়নি। ভেতরে ঢোকার আগে বিল্ডিঙটা ভালো করে দেখলাম। বুঝলাম যে এই বিশেষ স্কুলটি বেশীরভাগ স্কুলের মত আবাসিক কোন বাসার ভেতর খোলা হয়নি, এটা রীতিমত একটি প্রাতিষ্ঠানিক ভবন। গেটের ভেতরে ঢুকে এক অভূতপূর্ব দৃশ্যর মুখোমুখি হলাম।

হ্যাঁ, আলোর মিছিল। এ কথাটাই প্রথমে মনে এসেছিল। আমি যেন আলোর মিছিলের মাঝে এসে দাঁড়িয়েছি। তখনো ক্লাস শুরু হয়নি, সকলে ঘণ্টা বাজার অপেক্ষায়। বেশীরভাগের হাত এ কুরআন। কেউ মুখস্থ করছে, কেউ বান্ধবীকে মুখস্থ শোনাচ্ছে, কেউ বা নিজের উচ্চারণ ঠিক করছে। অবাক হয়ে ভাবছিলাম যে পাঁচ বছর বয়সী বাচ্চা থেকে শুরু করে পঁচাত্তর বছরের দাদীমা পর্যন্ত সকলে এখানে এসেছেন কুরআন মুখস্থ করতে। যার যার দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণীতে পড়ছেন। এক ছাঁদের নিচে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষার মানুষ এক হয়েছেন কেবল আল্লাহর কিতাব শেখার জন্য। চত্বর পেরিয়ে বিল্ডিং এ ঢোকার আগে চোখে পানি নিয়ে একবার আকাশের দিকে তাকালাম—কে জানে দলে দলে কতই না ফেরেস্তা নেমে আসেন এই বরকতময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে তাঁদের ডানা মেলে ঘিরে ধরতে?

দেখা করলাম প্রিন্সিপাল এর সাথে। তিনি নিজে তাঁর অফিস এর বাইরে দাঁড়িয়ে নবাগত ছাত্রীদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন। আমার সাথে কুশল বিনিময়ের পর আমি কোন শ্রেণীতে যেতে পারি তা বলে দিলেন। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম তিনি একটা বারও জানতে চাননি আমি কোন দেশের মানুষ। শুধু তাঁদের ভাষা বুঝবো কিনা সেটুকু বুঝতে চেয়েছেন আরব এক শিক্ষিকার ক্লাসে আমাকে দেয়ার আগে। সত্যি বলতে ক্লাসে যাওয়ার আগে একটু অস্বস্তি লাগছিলো, শিক্ষিকার কথা বুঝবো তো? আমাকে তাঁরা সানন্দে গ্রহণ করবেন তো? শুধু যে তাঁরা আমাকে সানন্দে গ্রহণ করেছিলেন তাই না, আমি টের পাওয়ার আগেই তাঁরা আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছিলেন!

তবু প্রথমদিন আমি কিছুই বুঝতে পারিনি। ছাত্রীদের আন্তরিকতা, আমাকে বার বার বুঝিয়ে বলার জন্য শিক্ষিকার সেই প্রচেষ্টা। একটা দিন অনুপস্থিত থাকলে খোঁজ নেয়া— কেউ যেন মুখস্থ করতে না পেরে হাল ছেড়ে না দেয়! ছাত্রীদের আমাকে নোট তুলতে সাহায্য করা—সে ছিল আমার জীবনের এক সোনালী অধ্যায়। কিন্তু সেতো অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এমনটি হয়ে থাকে। এখানে এমন কী ছিল যা জীবনের মোড় পালটে দিয়েছিলো?

সে ছিল কুরআন। আমাদের শিক্ষিকাদের অনেকের বয়সই পঁচিশ বছরের নিচে। একেকজনের তিলাওয়াত শুনলে মনে হত এরা কোন জগত থেকে ট্রেনিং নিয়ে এসেছে? বড় জানতে মন চাইত এদের মা বাবা কেমন যে তাঁরা তাঁদের সন্তানদের জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছেন আলোর পথে? এরা তো কেবল কুরআন মুখস্থ করেননি, সহীহ উচ্চারন শিখেছেন, কুরআন পাঠের আদব শিখেছেন, শিখেছেন অসাধারণ সুর করে কুরআন পড়া। আর এখন তাঁরা সেই আলো পৌঁছে দিচ্ছেন আরও অজস্র মানুষের কাছে!
কুরআন প্রতিদিন মুখস্থ করতে হয় প্রায় দেড় পাতার মত। প্রথমে পড়া মুখস্থ নেয়া হয়, তারপর পরের দিনের পড়া শিক্ষিকা তিলাওয়াত করে শোনান—এরপর ছাত্রীরা পড়ে। পাশাপাশি তাজউইদ এর নোটও দেন। এসব হয় প্রথম এক ঘণ্টা। পরবর্তী এক ঘণ্টায় কখনো তাফসীর এর আলোচনা হয়, কখনো বা বিশাল হলঘরে সব শ্রেণীর ছাত্রীদের এক করে আকিদাহর ক্লাস হয়। যখন আল্লাহর রাসুল (সা:) কে অবমাননা করে ফিল্ম তৈরি হোল, তখন আমাদের দৈনন্দিন পড়ার সাথে যোগ করা হোল আল্লাহর রাসুলের জীবনী নিয়ে আলোচনা আর দৈনন্দিন জীবনের সুন্নাহ নিয়ে আলোচনা—যা কিনা প্রত্যেকে জীবনে ধারণ করবে। হয়ত কোন দুয়া যা তিনি (সা:) করতেন, অথবা অজুর কোন সুন্নাহ যা আমরা উপেক্ষা করি। বেশী সময় ধরে চলত না এ আলোচনা। হয়ত পনেরো মিনিট। কিন্তু অন্তরে যেই আলো প্রবেশ করত তাতো এই পৃথিবীর কোন পরিমাপে ফেলে মাপা যায় না!

ছোট ছোট বাচ্চাদের উৎসাহ ধরে রাখতে শিক্ষিকারা যে কত কী করেন! ছোট ছোট উপহারের ব্যবস্থা। প্রতি মঙ্গলবার কিছু না কিছু extra- curricular activity থাকবেই! এক মঙ্গলবারে তাঁরা আয়োজন করলেন কুরআন ও হাদিস এ বর্ণিত খাদ্য দ্রব্যের মেলা। বাচ্চারা শিক্ষিকার সাথে বসে বসে ছোট ছোট প্যাকেট এ কালজিরা ভরে মুখ আটকে রাখছে। তারপর শিক্ষিকার নির্দেশে আঠা দিয়ে সেঁটে দিচ্ছে রঙ্গিন ছোট ছোট কাগজ। দেখে বুঝলাম কালজিরার ওপর হাদিসটা ওই কাগজ এ লেখা আছে। এমন করে কোন ক্লাসের বাচ্চারা মধুর ওপর কাজ করছে, কেউ বা জমজমের পানি নিয়ে। কেউ স্টল দিয়েছে খেজুরের উপকারিতা বর্ণনা করে। আরেকবার হোল বিভিন্ন দেশের খাবারের মেলা। একেকটি শ্রেণী একেকটি মুসলিম দেশের খাবার, পোশাক ও কালচার প্রদর্শন করবে। বাচ্চাগুলো কুরআন পড়াটাকে বোঝা মনে করে না, আমরা যেমন মনে করতাম বাড়িতে হুজুর আসার সময় হলে! ওরা মহা উৎসাহে পড়তে যায়, তার প্রমাণ তো আমার নিজের ছোট্ট মেয়েটা। সে সারাদিন অপেক্ষা করে থাকে কখন “তাহফিয স্কুল” এ যাবে। সে তার ছোট্ট মনে অনেক বড় আশা রাখে যে একসময় তার পুরো কুরআন মুখস্থ হয়ে যাবে, আর সেও তার “উস্তাযার”ই মত সুন্দর করে পড়তে পারবে!

বলতে চাইলে এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনেক কথা বলা যায়। হয়ত সারাদিন বললেও শেষ হবে না। কিন্তু একটা প্রতিষ্ঠানে কিভাবে কি শেখানো হয় তা জানার পাশাপাশি বোঝার বিষয় হোল, এই প্রতিষ্ঠান সমাজের ওপর কী প্রভাব ফেলছে? সবচেয়ে প্রথমে আমার যেটা মনে আসে, কুরআন শেখার ব্যাপারটা ছাড়া—অল্প বয়সী মেয়েগুলো, ভালো কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকছে! সকালে ওরা স্কুল এ থাকে। ফেরার পর বিকেল বেলাটা কাটে কুরআন শিখতে। এমন বান্ধবীদের মাঝে থাকে যারা একে অপরকে সাহায্য করছে কুরআন শিখতে, জানতে। বাসায় যখন ফেরে, স্কুলের পড়া আর কুরআন মুখস্থ নিয়ে সময় কেটে যায়। এলোমেলো চিন্তা মাথায় ঢুকতে দেয়ার সময় ও সুযোগ দুটোই কম থাকে। এই যে বাচ্চা মেয়েগুলো ১৫-২০ বছর বয়সের মাঝে হাফিযা হয়ে যাচ্ছে, এরাই কিন্তু আগামীতে মা হবে। তারা বড় করবে এমন এক প্রজন্ম যারা মায়ের মুখ থেকে কুরআনের ট্রেনিং নিয়ে বড় হবে। আবার মহিলারা যারা বিকেলে আসতে পারেন না, তাঁরা সকালের ক্লাসে আসছেন। শিখছেন, শেখাচ্ছেন। বয়স্কা যারা আজীবন হয়ত স্বপ্ন দেখেছেন মুখস্থ করার আল্লাহর কালাম কিন্তু সুযোগ পাননি, তাঁরাও এখন শিখছেন। এই সমাজের বেশীরভাগ মেয়েরাই কুরআন শিখে বড় হচ্ছে। মেয়ে হিসেবে, মা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে এরা কত উত্তম হবে তা সহজেই কল্পনা করা যায়। এমন স্কুল ছেলেদেরও আছে, কিন্তু আমি কোনদিন দেখিনি বলেই তার বর্ণনা দিতে পারছি না।

আসুন আমরা এখন নিজেদের কে একটা প্রশ্ন করি। কুরআন কি শুধুই সৌদি আরব এর প্রতিটি মহল্লায় পাঠের উদ্দেশ্যে এসেছিল? যদি তা না হয়ে থাকে, তাহলে আমরাও কি পারিনা, আলোর মিছিলে সামিল হতে? নিজেদের বোনদের, মেয়েদের জন্য কি আমরা আমাদের নিজেদের গণ্ডীতে এমন সুন্দর ব্যবস্থা নিতে পারি না? প্রায়ই বাবা মায়েরা চিন্তিত থাকেন তাঁদের সন্তানদের নিয়ে। এমন সুস্থ পরিবেশ কি আমরা নিজেদের জন্য তৈরি করে নিতে পারি না? হ্যাঁ, প্রতিটি মহল্লায় আমরা হয়ত পারব না কুরআন এর প্রতিষ্ঠান খুলে বসতে। কিন্তু নিজেরা নিজেদের কিছু মানুষকে নিয়ে কি এমন কিছু একটা করতে পারি না, যেখানে কুরআন হোল জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ? যেখানে কুরআন পড়া, মুখস্থ করা, শেখাটা জীবনের লক্ষ্য? যেখানে আলো তৈরি হয়, যেখান থেকে আলো ছড়িয়ে যায় প্রতিটা ঘরে? কে কবে এসে আমাদের জন্য করে দিবে এই নিয়ে বসে থাকলে হয়ত আমাদের জীবদ্দশায় এমন কিছুর সূচনা আমরা দেখতে পাব না। নিয়ত করতে হবে, আল্লাহর কাছে তৌফিক চাইতে হবে। নিজেদের পথ নিজেদেরই কেটে তৈরি করতে হবে। হ্যাঁ, এর মাঝে বাঁধা আসবে, নতুন নতুন সমস্যা আসবে। আমরা না পারলে আমাদের অসমাপ্ত কাজ অন্য কেউ হাতে তুলে নেবে। আল্লাহর কুরআনের আলো আল্লাহই পৌঁছে দিবেন যেখানে তিনি চান। আপনার আমার মত মানুষের দ্বারাই দিবেন। আমরা কি কেবল সেই আলো পৌঁছানোর কাজে নিজেদের নিয়জিত করতে পারার সম্মানটুকু চাইতে পারি না আল্লাহর কাছে, একেবারে অন্তরের গভীর থেকে?

কুরআনের চেয়ে সুমিষ্ট আর কিছু এই পৃথিবীতে নেই। কুরআন আমাদের জীবনের দিক নির্দেশনা। কুরআন সেই কিতাব যা আল্লাহ পাঠিয়েছেন আমাদের জন্য। কুরআন সেই মাধ্যম যা আমাদের রবের কথা আমাদের কাছে পৌঁছে দেয়। এ যে আমাদের চোখের প্রশান্তি, অন্তরের ভালবাসা! এই কুরআন থেকে দূরে সরে আমরা কোথায় চলেছি! আল্লাহ যেন আমাদের ঘরে ঘরে কুরআনের আলো পৌঁছে দেন। আমাদের ঘরে ঘরে যেন এমন সন্তানেরা বড় হয় যারা কুরআনকে বুকে করে রাখবে, ভালবাসার সাথে, মমতার সাথে। আল্লাহ যেন আমাদের তৌফিক দেন কুরআনকে ভালবাসতে, কুরআনের শিক্ষা নিজেদের জীবনে ধারণ করতে। কুরআন যেন হয় আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

আলাহুম্মা আমীন!

পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩ 

Print Friendly, PDF & Email
Banner Ad


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

আপনার মন্তব্য লিখুন