লেখক: ড. খালিদ আবু শাদি | অনুবাদক: হাসান মাসরুর
১. আজকের আলোচ্য বিষয়ের ফায়দা
- দুআর মাধ্যমে আল্লাহর আদেশ পালিত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন: “তোমাদের প্রভু বলেছেন, “তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।” [সুরাহ গাফির, ৪০: ৬০]
- দুআর মাধ্যমে হৃদয় অহংকার থেকে মুক্ত থাকে: আল্লাহ তাআলা বলেন: “তোমাদের প্রভু বলেছেন, “তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।” যারা অহংকারবশত আমার ইবাদত থেকে বিরত থাকে, তারা লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” [সুরাহ গাফির, ৪০ : ৬০]
- দুআ আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে সম্মানিত জিনিস: রাসুল (সা:) বলেন: ‘আল্লাহর কাছে দুআর চেয়ে সম্মানজনক কোনো জিনিস নেই।‘ [মুসনাদু আহমাদ: ৮৭৪৮, সুনানু ইবনি মাজাহ : ৩৮২৯]
- দুশ্চিন্তা দূর হয়ে বক্ষ উন্মোচিত হওয়ার সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম হলো দুআ।
- দুআ আল্লাহর ক্রোধকে প্রশমিত করে: যে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে না, তিনি তার প্রতি ক্রোধান্বিত হন। রাসুল (সা:) বলেন: ‘যে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে না, আল্লাহ তার প্রতি ক্রোধান্বিত হন।‘ [সুনানুত তিরমিজি: ৩৩৭৩]
- অক্ষমতা থেকে মুক্তি লাভের উপায়: নবিজি (সা:) বলেন: ‘লোকদের মধ্যে সবচেয়ে অক্ষম সে, যে দুআ করতে অক্ষম।‘ [সহিহু ইবনি হিব্বান: ৪৪৯৮, আল-জামিউস সহিহ লিস সুনান ওয়াল মাসানিদ: ৩২/২৬৯]
- বিপদ আসার পর তা দূর হয়ে যাওয়া: রাসুল (সা:) বলেন: ‘নিশ্চয় দুআ অতীত-বর্তমান সবক্ষেত্রে উপকারী। সুতরাং হে আল্লাহর বান্দাগণ, তোমরা দুআকে আঁকড়ে ধরো।‘ [সুনানুত তিরমিজি: ৩৫৪৮, মুসতাদরাকুল হাকিম: ১৮১৫]
- মুসলিমদের মাঝে ভালোবাসা অর্জনের মাধ্যম: ‘যখন কোনো মুসলিম অনুপস্থিত কোনো মুসলিম ভাইয়ের জন্য দুআ করে, তার দুআ কবুল করা হয়। ফেরেশতারাও তার জন্য অনুরূপ দুআ করে।‘ [দেখুন, সহিহু মুসলিম: ২৭৩২, মুসনাদু আহমাদ: ২১৭০৭]
২. কুরআনের আলো
আল্লাহ তাআলা বলেন: “তোমাদের প্রভু বলেছেন, “তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো। যারা অহংকারবশত আমার ইবাদত থেকে বিরত থাকে, তারা লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” [সুরা গাফির, ৪০ : ৬০]
ইমাম আল-কুশাইরি (রা:) তার তাফসির গ্রন্থে বলেন, ‘তোমরা আনুগত্যের মাধ্যমে আমাকে ডাকো, আমি মর্যাদা ও সাওয়াবের মাধ্যমে তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।’ বলা হয়ে থাকে, ‘তোমরা উদাসীনতা পরিহার করে আমাকে ডাকো, আমি আগ্রহের সাথে তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো। তোমরা গুনাহ ছেড়ে আমাকে ডাকো, আমি অনুগ্রহের সাথে তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।’ বলা হয়ে থাকে, ‘তোমরা আনুগত্যের বীজ ঢেলে আমাকে ডাকো, আমি অভাব দূর করে তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।’ বর্ণিত আছে, ‘তোমরা প্রার্থনার মাধ্যমে আমার কাছে দুআ করো, আমি দান ও অনুগ্রহের সাথে তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।’
প্রিয় ভাই, এই আয়াতটি নিয়ে চিন্তা করুন, তাহলে ভালোবাসা, কোমলতা ও নির্মলতার চূড়ান্ত রূপ দেখতে পাবেন। একটি মাত্র আয়াত মুমিনের হৃদয়ে সিক্ততা, ভালোবাসা, কোমলতা, সন্তুষ্টি, আত্মবিশ্বাস ও ইয়াকিন ঢেলে দেয়।
যদি দুআর মাধ্যমে শুধু হৃদয়ের কোমলতাই অর্জিত হতো, তাহলে এটিই যথেষ্ট ছিল: “তাদের কাছে যখন আমার শাস্তি এসেছিল, তখন তারা বিনয়াবনত হয়নি কেন? বরং তাদের অন্তর কঠিন হয়েছিল।” [সুরা আল-আনআম, ৬ : ৪৩]
৩. রাসুল (সা:) আমাদের আদর্শ
রাসুল (সা:) ছোট বালক ইবনে আব্বাস-কে উপদেশ দিয়ে বলেন: ‘যখন তুমি সাহায্য চাও, তখন আল্লাহর কাছে চাও।‘ [সুনানুত তিরমিজি : ২৫১৬, মুসনাদু আহমাদ : ২৬৬৯]
চিন্তা করুন, বদরের যুদ্ধের দিন রাসুল (সা:) কেমন দুআ করেছেন। তিনি দুআ করতে করতে এমন অবস্থা হয়েছিল যে, তাঁর চাদর কাঁধ থেকে খুলে পড়ে গেল৷ ইবনে ইসহাক (রা:) বলেন, ‘এরপর রাসুল (সা:) কাতারগুলো সোজা করে নিজের তাঁবুতে ফিরে এলেন। তিনি তাতে প্রবেশ করলেন এবং তাঁর সাথে তখন শুধু আবু বকর (রা:)-ই ছিলেন। রাসুল (সা:) নিজ রবকে ডাকছিলেন আর সাহায্যের প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করছিলেন। তিনি এভাবে প্রার্থনা করছিলেন যে, ‘হে আল্লাহ, যদি আজ আপনি মুসলিমদের এই দলটিকে ধ্বংস করে দেন, তাহলে জমিনে আর আপনার ইবাদত করা হবে না।’
সে সময় আবু বকর (রা:) বলেন, ‘হে আল্লাহর নবি,…নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আপনার সাথে যে ওয়াদা করেছেন, তা পূর্ণ করবেন।’ এরপর নবিজি (সা:) বা হালকা কেঁপে উঠলেন। তিনি তখন তাঁবুতেই ছিলেন। তারপর সতর্ক হলেন। তিনি বললেন, ‘হে আবু বকর, সুসংবাদ গ্রহণ করো । তোমার কাছে আল্লাহর সাহায্য এসেছে। এই তো জিবরাইল… ঘোড়ার লাগাম ধরে হাঁকিয়ে নিচ্ছে…।’
সুতরাং কখন আপনি নিজ নবির অনুসরণ করে রবের সামনে কাকুতি-মিনতি করবেন? কখন আপনার দুআর আধিক্যের ফলে শরীর থেকে চাদর পড়ে যাবে; যেন আপনার প্রিয় নবিজিকে অনুসরণের সৌভাগ্য লাভ হয়?!
৪. অমূল্য বাণী
- আলি (রা:) বলেন, ‘দুআর মাধ্যমে বিপদের ঢেউকে সরিয়ে দাও।’
- আনাস বিন মালিক বলেন, ‘দুআর ব্যাপারে অক্ষম হয়ে যেয়ো না। কেননা, দুআ করে কেউ ধ্বংস হয়ে যায়নি।’
- আবু জার (রা:) বলেন, ‘নেক কাজের সাথে সাথে দুআ তেমনই যথেষ্ট হয়, যেমন খাবারের সাথে লবণ যথেষ্ট হয়।’
- মুজাহিদ (রা:) বলেন, ‘সময়গুলোর শ্রেষ্ঠ সময়ে সালাত নির্ধারণ করা হয়েছে । সুতরাং সালাতের পর দুআর ব্যাপারে তোমরা যত্নশীল হও।’
- সুফইয়ান বিন উয়াইনা (রা:) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন নিজের ব্যাপারে দুআ করা থেকে বিরত না হয়। কারণ, আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী ইবলিসের দুআও কবুল করেছেন। তার ওপর আল্লাহ তাআলার লানত বর্ষিত হোক!
“সে বলল, “যেদিন তাদেরকে উঠানো হবে সেদিন (কিয়ামতের দিন) পর্যন্ত অবকাশ দিন।” [সুরা আল-আরাফ, ৭ : ১৪]
“তিনি বললেন, “তোমাকে সময় দেওয়া হলো।‘‘ [সুরা আল-আরাফ, ৭ : ১৫]
৫.একটি চমৎকার কাহিনি
ইবনে জারির, ইবনে খুজাইমা, মুহাম্মাদ বিন নসর আল-মারুজি এবং মুহাম্মাদ বিন হারুন একদা মিশরের উদ্দেশে সফর শুরু করলেন। তাদের কাছে পর্যাপ্ত খাবার ছিল না। খাবার শেষ হয়ে গেলে প্রচণ্ড ক্ষুধা তাদেরকে চেপে ধরে। ফলে রাতের বেলা তারা একটি ঘরের সামনে গিয়ে জড়ো হলো। তারা সেখানে আশ্রয় নিতে চাচ্ছিল। তারা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত করল যে, লটারি করে যার নাম বের হয়ে আসবে, সে গিয়ে ঘরের দরজা নক করবে। যার নাম বের হয়ে আসবে, সে তার সাথিদের জন্য খাবার চাইবে। লটারিতে নাম বের হয়ে আসলো ইবনে খুজাইমার। তিনি সাথিদের বললেন, ‘আমাকে ইসতিখারার সালাত আদায় করা পর্যন্ত তোমরা সুযোগ দাও।’
তিনি বলেন, সবাই যখন মোমবাতি ঘিরে বসে পড়ল, তখন তিনি সালাতে মনোযোগী হলেন। এমন সময় জনৈক লোক মিশরের গভর্নরের পক্ষ থেকে আগমন করল এবং দরজায় কড়া নাড়ল। তারা দরজা খুলে দিল। সে বলল, ‘তোমাদের মাঝে মুহাম্মাদ বিন নসর কে?’ তাকে বলা হলো, ‘এই তো এই লোক!’ তখন সে একটি থলে বের করল, যাতে পঞ্চাশ দিনার ছিল। সে থলেটি তাকে দিয়ে দিল এবং বাকিদের জন্যও অনুরূপ দিল। এরপর বলল, ‘গভর্নর গতকাল দুপুরের সময় হালকা বিশ্রাম নিয়েছিলেন।
তখন তিনি স্বপ্নে দেখেছেন যে, প্রশংসিত কিছু লোক ক্ষুধার্ত। তাই তিনি আপনাদের নিকট এগুলো পাঠিয়েছেন। তিনি আপনাদের ব্যাপারে কসম করে বলেছেন যে, যখনই এগুলো শেষ হয়ে যাবে, তখনই আপনাদের কাছে অনুরূপ পাঠানো হবে।’
৬. রমাদানে দুআ
যদি রমাদানে দুআ করা না হয়, তাহলে আর কোন মাসে দুআ করা হবে?
- লাইলাতুল কদরে দুআ।
- শেষ দশকে দুআ।
- ইফতারের আগ মুহূর্তে দুআ।
- প্রতি রাতে দুআ। কারণ, রমাদানের প্রতি রাতেই কতক জাহান্নামিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ নয় যে, কোন দিন দুআ করছে। বরং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কীভাবে আপনি দুআ করছেন এবং আপনার মন তখন কোন অবস্থায় আছে!
৭. দুআর সূর্য ডুবে গেছে
চারটি কারণে (অনেকের) এখন আর দুআ কবুল হচ্ছে না:
- হারাম খাবার।
ওয়াহাব বিন মুনাব্বিহ বলেন, ‘যে চায় যে, আল্লাহ তাআলা তার দুআ কবুল করুন, সে যেন পবিত্র খাবার ভক্ষণ করে।’
- দ্রুততা।
কারণ, নবিজি (সা:) বলেন: ‘তোমাদের কারও দুআ কবুল করা হয়, যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়া করে ৷ সে বলে, “আমি দুআ করেছি; কিন্তু আমার দুআ কবুল হয়নি।‘ [সহিহুল বুখারি : ৬৩৪০, সহিহু মুসলিম : ২৭৩৫]
আবু দারদা (রা:) বলেন, ‘যে বেশি বেশি দরজায় করাঘাত করে, আশা করা যায় তার জন্য দরজা খুলে দেওয়া হবে। আর যে বেশি বেশি দুআ করে, আশা করা যায় তার দুআ কবুল করা হবে।’ এ কারণেই বলা হয়ে থাকে, “হে আদম-সন্তান, তোমার যে প্রয়োজনে নিজের মনিবের দরজায় বেশি বেশি কড়া নেড়েছ, তাতে তোমার জন্য বরকত দেওয়া হয়েছে।’
- কবুলের ব্যাপারে বিশ্বাস না থাকা।
- দুআয় মনোযোগ না থাকা।
৮. দুআ
- হে আল্লাহ, আমার জানা-অজানা সব কল্যাণ আপনার কাছে প্রার্থনা করছি এবং আমার জানা-অজানা সব অকল্যাণ থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।
- হে আল্লাহ, সৃষ্টির ওপর আপনার সক্ষমতা এবং আপনার অদৃশ্য জগতের জ্ঞানের মাধ্যমে আমাকে ততক্ষণ পর্যন্ত জীবিত রাখুন, যতক্ষণ আমার জীবিত থাকার মাঝে কল্যাণ রয়েছে এবং আমাকে মৃত্যু দান করুন, যখন মৃত্যুতে আমার জন্য কল্যাণ রয়েছে। হে আল্লাহ দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান সব অবস্থায় আপনার ভয় প্রার্থনা করছি। ক্রোধ ও সন্তুষ্টির সময় আপনার প্রতি একনিষ্ঠতা কামনা করছি। দারিদ্র্য ও ধনাঢ্যতার মাঝামাঝি জিন্দেগি প্রার্থনা করছি। আপনার কাছে অশেষ নিয়ামত এবং চোখের অবিচ্ছিন্ন শীতলতা প্রার্থনা করছি। তাকদিরের ফয়সালার ব্যাপারে সন্তুষ্টি এবং মৃত্যুর পর সুখময় জীবন প্রত্যাশা করছি।
হে আল্লাহ, কোনো ধরনের ফিতনা বা অনিষ্টতায় লিপ্ত না হয়েই আমি আপনার কাছে আপনার দিদারের স্বাদ উপভোগ করা এবং আপনার সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করছি। হে আল্লাহ, আমাদেরকে ইমানের সাজে সজ্জিত করুন এবং পথপ্রাপ্তদের জন্য রাহবার বানিয়ে দিন।
- হে আল্লাহ, আপনার আদেশ অনুযায়ী আমরা আপনার কাছে দুআ করেছি। এখন আপনি নিজের ওয়াদা অনুযায়ী আমাদের ডাকে সাড়া দিন।
৯. স্বার্থপর হবেন না
- ইফতারের আগ মুহূর্তে নিজের পরিবারের লোকদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে দুআ করুন।
- কথাগুলো আপনার মসজিদের মুসল্লি ও আপনার সহপাঠী-সহকর্মীদের মাঝে আলোচনা করুন।
- এই বইটি নিজে পাঠ করে অন্যদেরকেও পড়তে দিন; যেন তারা এর থেকে উপকৃত হতে পারে।
- মসজিদের ইমামকেও বইটি হাদিয়া দিতে পারেন; যেন তিনি জুমআর খুতবা বা তারাবিহ-পরবর্তী আলোচনায় এর থেকে ফায়দা গ্রহণ করতে পারেন।
১০. যথেষ্ট কথা হয়েছে, এখন কাজ দেখার বিষয়
- ইফতারের পূর্বে, সাহরির সময়, এ ছাড়াও দুআ কবুলের যে সময়গুলো আছে, আমরা সেগুলো কাজে লাগানোর ফিকির করব। যেমন: সিজদা ও ফরজ সালাতের পর এবং আজান ও ইকামাতের মাঝামাঝি সময়ে দুআ জারি রাখব।
- দিন-রাতের আজকারগুলোর ব্যাপারে যত্নশীল হব।
- উপকার করব এবং উপকৃত হওয়ার চেষ্টা করব। নিজের অনুপস্থিত ভাইদের জন্য তাদের অনুপস্থিতিতে দুআ করব এবং তাদের কাছে নিজের জন্য দুআ চাইব।
- দুনিয়ার উদাসীনতা থেকে নিজের হৃদয়কে টেনে ওঠাব এবং মহান রবের ক্ষমার ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করব। রাসুল (সা:) বলেন: ‘জেনে রেখো, আল্লাহ তাআলা অমনোযোগী উদাসীন হৃদয়ের দুআ কবুল করেন না।’ [সুনানুত তিরমিজি: ৩৪৭৯]
- কুরআন খতমের সময় আমার প্রিয়জনকে ডেকে আনব এবং দুআ করব। কারণ, কুরআন খতমের সময় দুআ করলে তা কবুল হয়। আনাস বিন মালিক (রা:) থেকে এমন বর্ণনা রয়েছে।
- আমি নিজের পরিবার ও সন্তানদেরকে একে অপরের অনুপস্থিতিতে দুআ করার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেবো।
উৎস: রমাদান-আত্মশুদ্ধির বিপ্লব, পৃষ্ঠা: ২০৫ – ২১৩
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]