বিশ্বাসই জীবন

0
788

লেখকঃ ড. আয়িদ আল করনী | অনুবাদঃ ডা. হাফেজ মাওলানা মােহাম্মদ নূর হােছাইন

ঈমান বা বিশ্বাস এর ধন-ভাণ্ডার হতে যারা রিক্তহস্ত তারাই প্রকৃত অর্থে হতভাগা। তারা সর্বদাই দুর্দশাগ্রস্ত ও ক্রুদ্ধ।

যে লােক আমার স্মারক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় (যে এ কুরআনে বিশ্বাসও করে না এবং কুরআনের বিধানানুযায়ী আমলও করে না তার জন্য এক কষ্টদায়ক জীবন রয়েছে আর আখিরাতে আমি তাকে অন্ধ করে তুলবাে।” [২০-সূরা ত্বাহা : আয়াত-১২৪]

আত্মাকে পবিত্র করার, উদ্বিগ্নতা ও দুশ্চিন্তা দূর করার একমাত্র উপায় হল। সমগ্র বিশ্বজগতের প্রতিপালক মহান আল্লাহর উপর পুরােপুরি ঈমান রাখা। প্রকৃতপক্ষে, যখন কারাে ঈমান থাকে না তখন জীবনে কোন প্রকৃত অর্থ থাকতে পারে না।

একজন পাকা নাস্তিক যদি সে ঈমান না আনে তবে সে সর্বাপেক্ষা ভালাে যে কাজটি করতে পারে তা হলাে- সে আত্মহনন করতে পারে। এমনটি করে কমপক্ষে সে যে অন্ধকারাচ্ছন্ন ও হতভাগা জীবন-যাপন করছে তার থেকে সে নিজেকে মুক্ত করতে পারবে। ঈমানহীন জীবন কতই না হীন ও তুচ্ছ !

আল্লাহর সীমা লঙ্ণকারীদের জীবন কতইনা চিরন্তনভাবে অভিশপ্ত !

(হেদায়েত পথ হতে) আমি তাদের মনােভাবের (তাদের দৃষ্টিভঙ্গির) তেমনি পরিবর্তন করে দিব যেমনি তারা এর প্রতি প্রথমবার বিশ্বাস স্থাপন করেনি (তথা ঈমান আনেনি) এবং আমি তাদেরকে তাদের অবাধ্যতায় উদভ্রান্তের মতাে ঘুরে বেড়াতে দিব।” [৬-সূরা আল আন’আম : আয়াত-১১০]

আল্লাহ ছাড়া কারাে উপাস্য হওয়ার অধিকার নেই। এ প্রশ্নাতীত ঈমান (বিশ্বাস) রাখার সময় কি পৃথিবীতে আসেনি? মূর্তিতে বিশ্বাস যে হাস্যকর, নাস্তিকতা যে অযৌক্তিক, নবীগণ যে সত্যবাদী ছিলেন এবং আকাশসমূহ ও পৃথিবীর মালিকানা যে একমাত্র আল্লাহরই শত শত বছর অভিজ্ঞতার পরেও কি মানবজাতিকে এ বাস্তবতার দিকে পরিচালিত হওয়া উচিত নয়? সকল প্রশংসা আল্লাহরই প্রাপ্য এবং তিনি সবকিছুর ওপরই ক্ষমতাবান আপনার ঈমানের সবলতা বা দুর্বলতা ও দৃঢ়তা বা কোমলতার স্তর অনুপাতেই আপনি সুখী হবেন।

খাটি ঈমানদার হয়ে তােমাদের মধ্য থেকে যে পুরুষ বা নারী নেক আমল সম্পাদন করে অবশ্যই তাকে আমি একটি পবিত্র জীবন দান করব। (অর্থাৎ এ দুনিয়ার সম্মান, পরিতৃপ্তি ও হালাল রিযিক দিব) এবং তারা যে উত্তম কাজ করত তদনুপাতে আমি তাদেরকে অবশ্যই পুরস্কার দিব।” [১৬-সূরা আন নাহল : আয়াত-৯৭]

এ আয়াতে ‘পবিত্র জীবন’ বলতে আমাদের প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতির প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস ও একটি অবিচল হৃদয় যা তাকে ভালােবাসে এর কথা বলা হচ্ছে। যে লােকেরা এ পবিত্র জীবন যাপন করে তারা যখন সমস্যা কবলিত হয় তখন তাদের স্নায়ু (মন) শান্তও থাকে বটে। তাদের ওপর আপতিত সব কিছুর প্রতিই তারা সন্তুষ্ট থাকবে। কেননা, (তারা নিশ্চিত জানে যে) এটা তাদের জন্য (ভাগ্যে) লিখা ছিল। আরাে এ কারণে যে, আল্লাহকে তারা তাদের প্রভু হিসেবে, ইসলামকে তাদের জীবন বিধান হিসেবে এবং মুহাম্মদ (সাঃ) কে তাদের নবী ও রাসূল হিসেবে সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নিয়েছে।

উৎসঃ লা তাহযান [হতাশ হবেন না], ক্রমিক নংঃ ১৭, পৃষ্ঠা: ৫৭ – ৫৮


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

আপনার মন্তব্য লিখুন