লিখেছেন: আলী হাসান তৈয়ব । ওয়েব সম্পাদনা: মোঃ মাহমুদ -ই- গাফফার
আজ আমি এক মার্কিন অধ্যাপকের ইসলাম গ্রহণের গল্প তুলে ধরতে চাই। জানেন তার ইসলাম গ্রহণের প্রত্যক্ষ কারণ ছিল কী? হ্যা, তার ইসলাম গ্রহণের প্রথম ও একমাত্র কারণ ছিল এক মার্কিন তরুণীর হিজাব। যিনি তার হিজাব নিয়ে সম্মান বোধ করেন। নিজ ধর্ম নিয়ে গর্ব করেন। শুধু একজন অধ্যাপকই ইসলাম গ্রহণ করেন নি। তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকদের মধ্যে তিন ডক্টর ও চার ছাত্রীও ইসলাম ধর্মে অন্তর্ভুক্ত হন। এ সাতজন ব্যক্তিই অভিন্ন সেই হিজাবকে কেন্দ্র করেই ইসলামে দীক্ষিত হন। আপনাদের সামনে গল্পটি তুলে ধরায় আর বিলম্ব করতে চাই না। গল্পটি তবে সেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামে নামধারী মার্কিন ডক্টরের ভাষ্যেই পড়ুন।
নিজের ইসলামে প্রবেশের গল্প শোনাতে গিয়ে ড. মুহাম্মদ আকুয়া বলেন, বছর চারেক আগে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সহসা এক বিতর্ক মাথা চারা দিয়ে ওঠে। এখানে পড়তে আসে এক মুসলিম তরুণী। নিয়মিত সে হিজাব পরিধান করে। ওর শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন একজন কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী। যে কেউ তার সঙ্গে বিতর্ক এড়াতে চাইলেও তিনি গায়ে পড়ে তাকে চ্যালেঞ্জ করতেন। আর এমন অনুশীলনরত মুসলিম পেলে তো কথাই নেই। স্বভাবতই তিনি মেয়েটিকে যে কোনো সুযোগ পেলেই উত্যক্ত করতে লাগলেন।
এক পর্যায়ে মেয়েটির ওপর একের পর এক কল্পনাশ্রয়ী আক্রমণ করতে লাগলেন। মেয়েটি যখন শান্তভাবে এসবের মোকাবেলা করে যেতে লাগল, তার রাগ আরও বৃদ্ধি পেল। এবার তিনি অন্যভাবে মেয়েটিকে আক্রমণ করতে লাগলেন। তার এডুকেশন গ্রেড বৃদ্ধিতে অন্তরায় সৃষ্টি করলেন। তাকে কঠিন ও জটিল সব বিষয়ে গবেষণার দায়িত্ব দিলেন। কড়াকড়ি শুরু করে দিলেন তাকে নাম্বার দেয়ার ক্ষেত্রে। এরপরও যখন অহিংস পদ্ধতিতে মেয়েটিকে কোনো সমস্যায় ফেলতে পারলেন না, চ্যান্সেলরের কাছে গিয়ে তার বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিল, ছাত্রী ও অধ্যাপক উভয়কে একটি বৈঠকে ডাকা হবে। উভয়ের বক্তব্য শোনা হবে। সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে মেয়েটির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের।
নির্দিষ্ট দিন এলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিটির সব সদস্য উপস্থিত হলেন। আমরা সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে এ পর্বটির জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের মোকাদ্দমা এই প্রথম। বৈঠক শুরু হল। প্রথমে ছাত্রীটি অভিযোগ করল, অধ্যাপক সাহেব তার ধর্মকে সহ্য করতে পারেন না। এ জন্য তিনি তার শিক্ষার অধিকার হরণ করতে পর্যন্ত উদ্যোগী হয়েছেন। সে তার অভিযোগের সপক্ষে কয়েকটি দৃষ্টান্তও তুলে ধরল এবং এ ব্যাপারে তার সহপাঠীদের বক্তব্যও শোনার দাবি জানাল। সহপাঠীদের অনেকেই ছিল তার প্রতি অনুরক্ত। তারা তার পক্ষে সাক্ষী দিল। বস্তুনিষ্ঠ সাক্ষ্য দিতে ধর্মের ভিন্নতা তাদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারল না।
মেয়েটির জোরাল বক্তব্যের পর ডক্টর সাহেব আত্মপক্ষ সমর্থনের ব্যর্থ চেষ্টা করলেন। অব্যাহতভাবে কথাও বলে গেলেন; কিন্তু মেয়েটির ধর্মকে গালি দেয়ার সাহস সঞ্চয় করতে পারলেন না। অথচ মেয়েটি দিব্যি ইসলামের পক্ষে তার বক্তব্য উপস্থাপন করল। ইসলাম সম্পর্কে অনেক তথ্য ও সত্য তুলে ধরল। তার কথার মধ্যে ছিল আমাদের সম্মোহিত করার মত অলৌকিক শক্তি। আমরা তার সঙ্গে বাক্যবিনিময়ে প্রলুব্ধ না হয়ে পারলাম না। আমরা ইসলাম সম্পর্কে আপন জিজ্ঞাসাগুলো তুলে ধরতে লাগলাম আর সে তার সাবলীল জবাব দিয়ে যেতে লাগল। ডক্টর যখন দেখলেন আমরা অভিনিবেশসহ মেয়েটির যুক্তিতর্ক শুনছি, তার সঙ্গে আলাপচারিতায় মগ্ন হয়েছি, তখন তিনি হল থেকে নিরবে বেরিয়ে গেলেন। মেয়েটিকে আমাদের গুরুত্ব দেয়া এবং সাগ্রহে তার বক্তব্য শোনা দেখে তিনি কিছুটা মর্মাহত হলেন বৈকি। এক পর্যায়ে তিনি এবং তার মত যাদের কাছে মেয়েটির আলোচনা গুরুত্বহীন মনে হচ্ছিল তারা সবাই বিদায় নিলেন। রয়ে গেলাম আমরা- যারা তার কথার গুরুত্ব অনুধাবন করছিলাম। তার বাক্যমাধুর্যে অভিভূত হচ্ছিলাম। কথা শেষ করে মেয়েটি আমাদের মধ্যে এক টুকরো কাগজ বিতরণ করতে লাগল। ‘ইসলাম আমাকে কী বলে’ শিরোনামে সে তার চিরকুটে ইসলাম গ্রহণের কারণগুলো তুলে ধরেছে। আলোকপাত করেছে হিজাবের মাহাত্ম্য ও উপকারিতার ওপর। যে হিজাব নিয়ে এই সাতকাহন এর ব্যাপারে তার পবিত্র অনুভূতিও ব্যক্ত করেছে সেখানে।
বৈঠকটি অমিমাংসিতভাবেই সমাপ্ত হল। মেয়েটির অবস্থান ছিল অত্যন্ত বলিষ্ঠ। যে কোনো মূল্যে নিজের অধিকার রক্ষা করবে বলে সে প্রত্যয় ব্যক্ত করল। প্রয়োজনে আদালত পর্যন্ত যাবে সে। এমনকি তার পড়ালেখা পিছিয়ে গেলেও সে এ থেকে পিছপা হবে না। আমরা শিক্ষা কমিটির সদস্যরা কল্পনাও করি নি মেয়েটি তার ধর্মীয় অধিকার রক্ষার ব্যাপারে এমন অনমনীয় মনোভাবের পরিচয় দেবে। কতজনকেই তো এতগুলো শিক্ষকের সামনে এসে চুপসে যেতে দেখলাম। যা হোক, ঘটনার পর থেকে এ নিয়ে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিতর্ক চলতে থাকল।
কিন্তু আমি কেন জানি নিজের ভেতর হিজাবের এই ধর্ম নিয়ে প্রবল আলোড়ন অনুভব করলাম। এ ব্যাপারে অনেকের সঙ্গেই কথা বললাম। তারা আমাকে ইসলাম সম্পর্কে জানতে অনুপ্রাণিত করল। কেউ কেউ উৎসাহ যোগাল ইসলামে দীক্ষিত হতে। এর ক’মাস বাদেই আমি ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দিলাম। ক’দিন পর দু’জন অধ্যাপক আমাকে অনুসরণ করলেন। এবং সে বছরই আরও একজন ডক্টর ইসলাম গ্রহণ করলেন। আমাদের পথ ধরে চারজন ছাত্রও ইসলামে দাখিল হল। এভাবে অল্পকালের মধ্যেই আমরা একটি দল হয়ে গেলাম- আজ যাদের জীবনের মিশনই হলো, ইসলাম সম্পর্কে জানা এবং মানুষকে এর প্রতি আহ্বান জানানো। আলহামদুলিল্লাহ অনেকেই ইসলাম কবুলের ব্যাপারে সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছেন। ইনশাআল্লাহ অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ইসলাম গ্রহণের সুসংবাদ শুনতে পারবে।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য।
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]
কুরান ও সাহীহ হাদীসের আলোকে সাহীহ সালাত {বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম}
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে সালাত হল দ্বিতীয়[সাহীহ বুখারী,১ম খন্ড, বিশ্বাস অধ্যায়,হাদীস-৭] সালাত কীভাবে আদায় করতে হবে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসল্লাম) আমাদের হাতে-কলমে শিখিয়ে দিয়েছেন । আমাদের প্রিয় নবি(স) যেভাবে সালাত আদায় করছেন আমাদেরকে ও সেই একই ভাবে সালাত আদায় করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন- ‘সাল্লু কামা রাআই তুমুনী উসাল্লী’ ,আর্থাৎ ‘তোমরা যেভাবে আমাকে সালাত সম্পাদন করতে দেখ সেভাবেই সালাত আদায় কর’।-[বুখারী,১ম খন্ড,আযান অধ্যায়,হাদীস-৬০৪; বুখারী, ৯ম খন্ড,হাদীস-৩৫২] সুতরাং এ হাদীস হতে স্পষ্ট বুঝা যায় যে-এই নির্দেশটা নারীদের জন্য,এই নির্দেশটা পুরুষদের জন্য। অতএব নারী ও পুরুষের সালাতে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই,যদিও আমরা আমাদের চারপাশে নারী ও পুরুষের সালাতের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ করি। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই।অনেকেই এ প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে কি বড় বড় আলেম,পীর তাঁরা কি ভুল করছেন? এখন কথা হচ্ছে যদি কেউ কুরান ও হাদীসের কথা মত না চলে তাহলে তো সে ভুল করছে বিনা দ্বিধায় বলা যায়। তাদের বেশিরভাগই মাযহাবের কথা বলেন। কেউবলেন মাযহাব মানা ফরয, কেউ বলেন ওয়াযিব। কথা হল আল্লাহ ও তাঁর রাসূল(স) ব্যাতীত কেউ কোনো কিছুকেই ফরয,ওয়াযিব বা সুন্নাত বানাতে পারবেন না । তারা কুরানের কোন আয়াতে বা কোন হাদীসেই বা পেল যে মাযহাব মানা ফরয বা ওয়াযিব ।আবার অনেকেই বলেন যে আমাদের নবি(স) বিভিন্ন ভাবে সালাত আদায় করছেন, যদিও তাদের এ কথার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ বা দলীল নেই।আমদের নবি(স) সারাজীবন একভাবেই সালাত আদায় করেছেন, যার স্বপক্ষে জোরালো প্রমাণ রয়েছে। দ্বীনের একমাত্র অনুসরণীয় ব্যাক্তি হলেন রাসূল(স)। কারণ আল্লাহ পবিত্র কুরানের বিভিন্ন স্থানে বলেন- ‘তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর ও রাসুলের আনুগত্য কর’।[সূরা মুহাম্মাদ-৩৩;সুরা আলে ইমরান-৩২,১৩২;সুরা নিসা-৫৯;সুরা তাঘাবুন-১২;সুর মুজাদিলা-১৩,সুরা নুর-৫৪,৫৬;সুরা মুহাম্মাদ-৩৩] তাই সর্ব ক্ষেত্রে আমরা রাসুল(স) কে অনুসরণ করব।
এবার মূল আলোচনায় আসা যাক অর্থাৎ সাহীহ হাদীসের আলোকে সালাত আদায় করার নিয়ম-
১।আমরা ওযুর দোয়া বা নিয়্যাত হিসেবে ‘বিসমিল্লাহিল আলীইল আযীম…’-ইত্যাদি পড়ে থাকি যা স্পষ্ট বিদাত।শুধুমাত্র ‘বিসমিল্লাহ’ বলে ওযু শুর করতে হয় আর নিয়্যাত করতে হয় মনে মনে। [সুনানু আবু দাউদ,১ম অধ্যায়(পবিত্রতা),হাদীস-১০১; ইবনে মাজাহ; জামিই তিরমিযি,সালাত অধ্যায়, হাদীস-২৬]
২।ওযুর সময় দেখা যায় অনেকে মাথা তিন ভাগের এক ভাগ বা চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ করেন যা সাহীহ হাদীস বিরোধী।রাসুল(স) ওযুতে সম্পূর্ণ মাথা মাসেহ করেছেন।পানিতে ভিজানো উভয় হাত মাথার অগ্রভাগ(সামনের চুলের গোড়া) হতে আরম্ভ করে ঘাড় পর্যন্ত মুছে নিয়ে পুনরায় ঘাড় হতে মাথার অগ্রভাগ পর্যন্ত মুছতে হবে।[সাহীহ বুখারী, ১ম খন্ড, ওযু অধ্যায়, হাদীস-১৯৬,১৯৮; সাহীহ মুসলিম, পবিত্রতা অধ্যায়, হাদীস-৪৫৫; মালিক(মুয়াত্তা), পবিত্রতা অধ্যায়, হাদীস-৩২; সুনানু আবু দাউদ, পবিত্রতা অধ্যায়, হাদীস-১২৪; জামিই তিরমিজি, সালাত অধ্যায়, হাদীস-৩২] {লক্ষনীয়ঃ মুসলিম ও তিরমিযি তে ওযু শেষ করে যে দোয়া পড়তে হয় তা আছে}
৩।আযান শুনলে মুয়াযযিন যা বলেন তা মুখে মুখে আন্তরিকতার সাথে বলতে হবে।[সাহীহ বুখারী, ১ম খন্ড, আযান অধ্যায়, হাদীস-৫৮৫; সাহীহ মুসলিম, সালাত অধ্যায়, হাদীস-৭৪৬; মালিক(মুয়াত্তা), সালাত অধ্যায়,হাদীস-১৫০;জামিই তিরমিযি,সালাত অধ্যায়,হাদীস-২০৮] মুয়াযযিন যখন ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ বলে তখন বলতে হবে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ’[সাহীহ বুখারী, ১ম খন্ড, হাদীস-৫৮৭] তবে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ এর অনূদিত সুনানু নাসাঈ-{১ম খন্ড,পৃষ্ঠা-৩১০,হাদীস-৬৭৮} অনুযায়ী মুয়াযযিন যখন ‘হাঈয়া আলাস সালাহ’ ও ‘হাঈয়া আলাল ফালাহ’ বলে তখন ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ’-বলতে হবে। আযানের শেষে নবিজি(স) এর দূরুদ পড়ে তারপর আযানের দোয়া পড়তে হয়।[নাসাঈ(ইসলামিক ফাউন্ডেশ্ন বাংলাদেশ-ইফাবা),১ম খন্ড,পৃষ্ঠা-৩১০-৩১১,হাদীস-৬৭৯-৬৮১] {লক্ষনীয়ঃ আযানের দোয়া পড়ার সময় হাত তোলা, মুখে হাত বুলান,আযানের আগে রাসূল(স) এর প্রতি সালাম পেশ করা, রাসূল(স) এর নাম শুনে মুখে চুমো খেয়ে চোখে বুলানো ইত্যাদি প্রমাণহীন ও মনগড়া কাজ তাই এগুলো অবশ্যই পরিত্যাজ্য।} আযান ও ইকামতের বাক্য যথাক্রমে ১৫ ও ১১ বাক্যের অর্থাৎ আযানের বাক্য জোড়ায় জোড়ায় এবং ইকামতের বাক্য একবার করে বলতে হবে, শুধুমাত্র ‘কাদ কামাতিস সালাহ’ দুই বার বলতে হবে যার প্রমাণ খুবই জোরালো।[সাহীহ বুখারী,১ম খন্ড,আযান অধ্যায়, হাদীস-৫৭৯; সাহীহ মুসলিম, সালাত অধ্যায়, হাদীস-৭৩৬,৭৩৭,৭৩৯; সুনানু নাসাঈ(ইফাবা), ১ম খন্ড, আযান অধ্যায়, হাদীস-৬২৮-৬২৯;জামিই তিরমিযি,সালাত অধ্যায়,হাদীস-১৯৩] তবে আন্যান্য গুলোও জায়েয আছে।
৪।মসল্লা পাকের দোয়ার কোনো প্রমাণ নেই। অর্থাৎ, তাকবিরে তাহরিমা বা আল্লাহু আকবার বলে হাত বাধার আগে কোনো দোয়া নেই, হাত বাঁধার পর ‘আল্লহুম্মা বা’এদ বাইনী’, ‘ইন্নীওয়াজ্জাহতু…।‘ ইত্যাদি সানা হিসেবে পড়তে হয়।[ সাহীহ মুসলিম, সালাত অধ্যায়, হাদীস-৭৫৯,৭৬০,৭৬৫,৭৬৬,৭৬৭;আবু দাউদ, ৩য় বই, হাদীস-৭৬৫,৭৭৪; মালিক(মুয়াত্তা), সালাত অধ্যায়, হাদীস-১৭১]
৫। হাদীসে আনেক প্রকারের সানার উল্লেখ আছে। তবে সবচেয়ে উত্তম সানাটি হল-“আল্লহুম্মা বা’এদ বাইনী ওয়া বায়না খাত্বা-য়া-য়া, কামা বা’আদতা বায়নাল মাশরিকি ওয়াল মাগরিব,আল্লাহুম্মা নাক্কীম-মিন খাত্ব-য়া-য়া কামা ইউনাক্কাছ ছাওবুল আবইয়াযু মিনাদ দানাস,আল্লহুম্মা-ইগসিল মিন খাত্ব-য়া-য়া বিচ্ছালজি ওয়াল মা’য়ী ওয়াল বারাদ”{ ।[সাহীহ মুসলিম,সালাত অধ্যায়,হাদীস-১২৪৫; সুনানু নাসাঈ(ইফাবা),পৃষ্ঠা-৪০,হাদীস-৮৯৮]।।“আল্লহুম্মা বা’এদ বাইনী ওয়া বায়না খাত্বা-য়া-য়া, কামা বা’আদতা বায়নাল মাশরিকি ওয়াল মাগরিব,আল্লাহুম্মা নাক্কীম-মিন খাত্ব-য়া-য়া কামা ইউনাক্কাছ ছাওবুল আবইয়াযু মিনাদ দানাস,আল্লহুম্মা-ইগসিল খাত্বা-য়া-য়া বিল মা’য়ী ওয়াচ্ছালজি ওয়াল বারাদ”{অর্থঃঐ}[সাহীহ বুখারী,১ম খন্ড, সালাতের বৈশিষ্ট অধ্যায়,হাদীস-৭১১] এছাড়া অন্যান্য সানাও পড়া যায়।
৬।আমরা নিয়্যাত হিসেবে ‘নাওাইতুয়ান উছাল্লিয়ালিল্লাহী তালা…’ পড়ি তা সাহীহ বা যঈফ কোনো সূত্রে প্রমাণ নেই।নিয়্যাত মানে মনের সংকল্প। [সাহীহ বুখারী,১ম খন্ড, হাদীস-১] আপনার মনে রয়েছে যে আপনি এই ওয়াক্তের এই নামায পড়বেন এটাই হল নিয়্যাত। নিয়্যাত মুখে বলার প্রমাণ নেই।
৭।দেখা যায় সালাতে অনেকেই নাভিতে বা নাভির নিচে অর্থাৎ কোমরে হাত বাঁধেন যা সম্পূর্ণ সাহীহ হাদীস বিরোধী। হাত বুকে বা বুকের কাছে বাঁধতে হবে।[সাহীহ মুসলিম, সালাত অধ্যায়,হাদীস-১১১৩; নাসাঈ(ইফাবা),১ম খন্ড,পৃষ্ঠা-৩৮-৩৯,হাদীস-৮৯৩-৮৯৪;সুনানু আবু দাউদ,সালাত অধ্যায়(৩য় বই), হাদীস-৭৫৮]
৮।সূরা ফাতিহা ইমামের পেছনেও চুপে চুপে পড়তে হয়। সূরা ফাতিহা ব্যাতিত কোনো সালাত-ই হয় না।[সাহীহ বুখারী,১ম খন্ড,সালাতের বৈশিষ্ট অধ্যায়, হাদীস-৭২৩; সাহীহ মুসলিম, সালাত অধ্যায়, হাদীস-৭৭১-৭৮০; মালিক(মুয়াত্তা), সালাত অধ্যায়,হাদীস-৪১; সুনানু নাসাঈ, ২য় খন্ড, হাদীস-৯১৩-৯১৪,৯২৩; জামিই তিরমিযি,সালাত অধ্যায়, হাদীস-২৪৭]
৯। জাম’আতের সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ শেষে আর্থাৎ ইমাম যখন ‘গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দ-ল্লীন’ বলা শেষ করেন তখন সশব্দে ‘আমিন’ বলার জোরালো তাগিদ রয়েছে।যার ‘আমিন’ ফেরেশ্তাদের ‘আমিন’-এর সাথে মিলে যাবে তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। [সাহীহ বুখারী, সালাতের বৈশিষ্ট অধ্যায়,হাদীস-৭৪৭-৭৪৯; সাহীহ মুসলিম সালাত অধ্যায়,হাদীস-৮১১-৮১৬; মালিক(মুয়াত্তা),সালাত অধ্যায়,হাদীস-৪৭-৪৯; জামিই তিরমিযি,সালাত অধ্যায়, হাদীস-২৪৮-২৫০]
১০।তাকবিরে তাহরিমা, রুকুতে যাওয়ার সময়, রুকু হতে উঠার সময়, দুই রাকাতের বেশি সালাত থাকলে ২য় রাকাত হতে উঠার সময় দুই হাত উঠানোর বিশেষ তাগিদ রয়েছে, যাকে বলা হয় ‘রাফউল ইয়াদায়েন’ ।[সাহীহ বুখারী, ১ম খন্ড,সালাতের বৈশিষ্ট অধ্যায়,হাদীস-৭০২-৭০৬;সাহীহ মুসলিম, সালাত অধ্যায়,হাদীস-৭৫৮-৭৬৩;সুনানু আবু দাউদ,সালাত অধ্যায়(৩য় বই),হাদীস-৭২৫,৭৩৭,৭৪৩;]রাসূল(স)সিজদায় দুই হাত উত্তোলন করতেন না। আনেকেই বলে থাকেন যে ‘রাফউল ইয়াদায়েন’ মানসূখ বা রহিত হয়ে গেছে কিন্তু এর পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।
১১। সালাতের দুই সাজদা’র মাঝে স্থির হয়ে বসা ফরয-এটা অধিকাংশ ওলামাদের মতে।তবে ইমাম আবূ হানীফা(রহ) এর মতে তা ওয়াজিব।আর এ সময় দোয়া পড়তে হয়। দোয়াঃ “আল্লাহুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াহদিনী ওয়া আ’ফিনী ওয়ারযুকনি”{অর্থঃ-‘হে আল্লাহ, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন,আমার উপর রহম করুন,আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করুন,আমাকে সুস্থতা দান করুন ও আমাকে রুযী দান করুন’}[সুনানু আবূ দাউদ, সালাত অধ্যায়(৩য় বই), হাদীস-৮৪৯; জামিই তিরমিযি, সালাত অধ্যায়, হাদীস-২৮৪] এছাড়া অন্য আরেক প্রকার দোয়া আছে-“রাব্বিগ ফিরলী, রাব্বিগ ফিরলী”[সুনানু নাসাঈ(ইফাবা),২য় খন্ড,পৃষ্ঠা-১৫৩,হাদীস-১১৪৮]
১২। তাড়াতাড়ি নামায পড়লে নামায হয় না।রুকু,সিজদাহ অর্থাৎ সালাত ধীর-স্থির ভাবে আদায় করতে হয়।[সাহীহ বুখারী,১ম খন্ড,সালাতের বৈশিষ্ট অধ্যায়,হাদীস-৭২৪,৭৫৯;সাহীহ মুসলিম,সালাত অধ্যায়,হাদীস-৭৮১]
১৩।জাম’আতের সালাতে দেখা যায় বেশিরভাগ ইমাম জাম’আত শেষে দুই হাত তুলে মুনাজাত করেন আর যেসব মুক্তাদীর সালাত শেষ তারাও দুই হাত তুলে আমিন-আমিন করেন, যা স্পষ্ট বিদাত।প্রথমত এটা বিদাত, উপরন্তু যেসব মুক্তাদীর সালাত শেষ হয়নি তাদের সালাতে অসুবিধা হয়। নবি(স) কোনো ফরয সালাতের পরে এভাবে মুনাজাত করননি।বরং তিনি সালাত শেষে মুক্তাদিদের দিকে ফিরে বসতেন।[সাহীহ বুখারী,১ম খন্ড, সালাতের বৈশিষ্ট অধ্যায়, হাদীস-৮০৬-৮০৮; সাহীহ মুসলিম,সালাত অধ্যায়,হাদীস-৭৬৭; সুনানু নাসাঈ(ইফাবা),২য় খন্ড,পৃষ্ঠা-২৪৪,হাদীস-১৩৩৭, পৃষ্ঠা-২৫৮-২৫৯,হাদীস-১৩৬২-১৩৬৪; আবু দাউদ, সালাত অধ্যায়(২য় বই),হাদীস-৬১৪] এ সময় বিভিন্ন দোয়া পড়তে হয়, যা বুখারী সহ অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে আছে।
১৪। আমাদের দেশে নারী-পুরুষের সালাতে অনেক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়, তবে বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই।আমাদের প্রিয় নবি(স) বলেছেন- ‘সাল্লু কামা রাআই তুমুনী উসাল্লী’ ,আর্থাৎ ‘তোমরা যেভাবে আমাকে সালাত সম্পাদন করতে দেখ, সেভাবেই সালাত আদায় কর’।-[বুখারী,১ম খন্ড,আযান অধ্যায়,হাদীস-৬০৪; বুখারী, ৯ম খন্ড,হাদীস-৩৫২] সুতরাং এ হাদীস হতে স্পষ্ট বুঝা যায় যে-এই নির্দেশটা নারীদের জন্য,এই নির্দেশটা পুরুষদের জন্য। অতএব নারী ও পুরুষের সালাতে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। তবে নারীদের ক্ষেত্রে বেশ কিছু জিনিস আছে যেমন- নারীদের পর্দা করতে হয়, নারীদের জন্য শেষের কাতার সবচেয়ে উত্তম[সাহীহ মুসলিম,সালাত অদ্যায়,হাদীস-৮৮১] প্রভৃতি যা মৌ্লিক বিষয়ের মধ্যে পড়ে না।
১৫।দেখা যায় অনেকেই তাশাহুদ পাঠের সময় ‘আশহাদু আন লা ইলাহা’ বলার সময় শাহাদাত আংগুল টপ করে তুলে নামিয়ে ফেলেন, যার ভিত্তি নেই। সাহীহ সুন্নাহ হচ্ছে-তাশাহুদ পড়ার শুরু থেকে বৈঠকের শেষ পর্যন্ত ডান হাতের কনিষ্ঠা ও অনামিকা আংগুল মুড়ে বৃদ্ধা ও মধ্যমা আংগুলের মাথাদু’টি মিলিয়ে শাহাদাত আংগুল্কে সালাম ফিরানোর আগ পর্যন্ত ইশারার হালতে একটু একটু নাড়তে হবে।[সাহীহ মুসলিম,সালাত অদ্যায়, হাদীস-১২০২; সুনানু আবু দাউদ,সালাত ইঅধ্যায়(৩য় বই), হাদীস-৭২৫]
১৬। আমরা লক্ষ্য করলে দেখব যে, মুক্তাদীরা একজনের কাধের সাথে আরেকজনের কাধ, একজনের পায়ের সাথে আরেকজনের পা মিলিয়ে না দাঁড়িয়ে বরং ফাঁক হয়ে দাঁড়ান।আর তা সম্পূর্ণ রূপে সুন্নাতের খেলাপ ।সালাতে একজনের কাধের সাথে আরেকজনের কাধ, একজনের পায়ের সাথে আরেকজনের পা মিলিয়ে দাঁড়াতে হয়, নাহলে ফাঁকা জায়গায় শয়তান ছাগলের বাচ্চার মতো ঢুকে যায়।[সাহীহ মুসলিম,সালাত অধ্যায়,হাদীস-৮৬৪,৮৬৫; সুনানু আবু দাউদ,সালাত অধ্যায়(২য় বই),হাদীস-৬৬৬,৬৬৭,৬৮১]
১৭।ভিতিরের সালাতে দোয়া কূনুতের আগে দুই হাত তোলা হয়, যা নবি(স) এর কোনো আমলে নেই।এ বিষয়ে কোনো সহীহ হাদীস নেই। ভিতির মানে বিজোড়। ভিতিরের সালাত – এক , তিন, পাঁচ, সাত যেকোনো বিজোড় রাকাতে পড়া যায়।তবে নবি(স) তিন রাকাত-ই বেশি পড়েছেন। ভিতিরের সালাত দুই রাকাত করে পড়ে পড়ে শেষে এক রাকাত পড়ে বিজোড়(ভিতির)করা অথবা একসাথে বিজোড় রাকাত পড়লে জোড় রাকাতের মাঝে কোনো বৈঠক নেই, শুধু শেষ বিজোড় রাকাতে বৈঠক আছে।অর্থাৎ ভিতিরের সালাতের দুইটি নিয়ম আছে-
(ক)দুই রাকাত করে পড়ে পড়ে শেষে এক রাকাত পড়ে তাশাহুদ,দূরুদ(ইত্যাদি) পড়ে সালাম ফিরিয়ে বিজোড় করা [সাহীহ বুখারী,২য় খন্ড,ভিতির অধ্যায়,হাদীস-১০৫,১০৬,১০৭১০৯;সাহীহ মুসলিম, সালাত অধ্যা্য, হাদীস-১৬০৮,১৬০৯,১৬১১,১৬৩২,১৬৩৩,১৬৩৪,১৬৩৫]
(খ)দুই রাকাত পর পর না বসে কেবল শেষ বিজোড় রাকাতে বসে তাশহুদ,দুরুদ পড়ে সালাম ফিরিনো।[ সাহীহ বুখারী,২য় খন্ড, ভিতির অদ্যায়,হাদীস-১০৭;সাহীহ মুসলিম,সালাত অধ্যায়,হাদীস-১৬০৪,১৬০৫,সুনানু আবু দাউদ,সালাত অধ্যায়(৮ম বই),হাদিস-১৪১৭]
১৮।সালাতে ভুল হলে আমরা ইমাম সাহেবকে তাকবির দিয়ে সতর্ক করি,যার কোনো দলীল নেই। সালাতে ভুল হলে পুরুষ মুক্তাদী “সুবহান আল্লাহ” বলে এবং মহিলা মুক্তাদী হাত দিয়ে শব্দ করে ইমাম সাহেবকে সতর্ক করবেন।[সাহীহ বুখারী,২য় খন্ড,সালাতের মধ্যে প্রতিক্রিয়া অধ্যায়(২য় বই),হাদীস-২৯৫,২৯৬,৩০৯;সাহীহ মুসলিম,সালাত অধ্যায়,হাদীস-৮৫০-৮৫২]
১৯। সালাতে ভুল হলে আমরা সালাম ফিরিয়ে সিজদাহ করে তাশাহুদ পড়ে তারপর আবার সালাম ফিরাই, যা সুন্নাতের খেলাপ।সাহীহ সুন্নাত হল –
(ক) সালাত পড়া অবস্থায় ভুল ধরা পড়লে সালাম ফিরানোর পূর্বে দুটি সাহূ সিজদাহ করতে হয়।[সাহীহ বুখারী,২য় খন্ড, সালাতের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া অধ্যায়(২য় বই),হাদীস-৩১৫,৩১৬,৩২২;সাহীহ মুসলিম,সালাত অধ্যায়,হাদীস-১১৬৩-১১৭৪;আবু দাউদ,সালাত অধ্যায়(৩য় বই),হাদীস-১০২২,১০২৯]
(খ) সালাম ফিরানোর পর যদি সালাত কম পড়ার ভুল ধরা পড়ে তাহলে বাকি সালাত পূর্ণ করে সালাম ফিরানোর পূর্বে বা পরে দুটি সাহু সিজদাহ করতে হবে।[সাহীহ বুখারী,২য় খন্ড, সালাতের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া অধ্যায়(২য় বই),হাদীস-৩১৮,৩১৯,৩২১;সাহীহ মুসলিম,সালাত অধ্যায়,হাদীস-১১৮৪,১১৮৫,১১৮৭,১১৮৮,;আবু দাউদ,সালাত অধ্যায়(৩য় বই),হাদীস-১০১০,১০১৫]
(গ)যদি সালাম ফিরানোর পর মনে সন্দেহ জাগে যে সালাতে বেশি রাকাত পড়া হয়েছে অথবা যদি তিন নাকি চার রাকাত পড়া হয়েছে সে সন্দেহ থাকে তাহলে শুধু দুটি সাহু সিজদাহ করলেই হবে।[সাহীহ বুখারী,২য় খন্ড, সালাতের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া অধ্যায়(২য় বই),হাদীস-৩১৭,৩২৩,৩২৪;সাহীহ মুসলিম,সালাত অধ্যায়, হাদীস-১১৭৫,১১৭৭,১১৭৮,১১৭৯,১১৮০,১১৮১]
২০।জুমুয়ার সালাতে ফরয সালাতে পূর্বে দুই রাকাত ব্যাতিত আর কোনো সালাত নেই।এই দুই রাকাত খুতবা শুরু হলেও পড়ার নির্দেশ আছে।আবার জুমুয়ার ফরয সালাতের পর দুই বা চার রাকাত সালাত পড়তে হয়।[সাহীহ বুখারী,২য় খন্ড,জুমুয়ার সালাত অধ্যায়,হাদীস-৫২,৫৩,৫৯; সাহীহ মুসলিম,সালাত অধ্যায়,হাদীস-১৮৯৭,১৮৯৮,১৮৯৯,১৯০০,১৯০১,১৯০২,১৯০৩,১৯১৫,১৯১৬,১৯১৭,১৯১৮,১৯১৯,১৯২০]
২১। মসজিদে ঢুকে বসার আগে দুই রাকাত সালাত আদায়ের তাগিদ রয়েছে।[সাহীহ বুখারী,১ম খন্ড,হাদীস-৪৩৫;সাহীহ মুসলিম,সালাত অধ্যায়,হাদীস-১৫৪০-১৫৪৫]
[বিশেষ কথাঃ সালাত সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের মুসলমানদের মধ্যে বর্তমানে চরম অনৈক্য বিরাজমান। আর এ মতানৈক্যের প্রধান কারণ হল মাযহাব সহ যাবতীয় দলাদলি, কুরানে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।আল্লাহ বলেন-“নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দলে বিভিক্ত হয়ে গেছে,তাদের সাথে আপনার[নবি(স)] কোন সম্পর্ক নেই।তাদের ব্যাপার আল্লাহ তা’আলার নিকট সমার্পিত। অতঃপর তিনি বলে দেবেন
Alhumdulillah
soooo amazing
khubi valo aglo