লেখক: শায়খ মুহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল-আরিফী | অনুবাদক: কাজী মুহাম্মদ হানিফ
শৈশবের সুখ-দুঃখ ও আনন্দ বেদনার কত স্মৃতি এখনাে আমাদের মনের এ্যালবামে গভীরভাবে অঙ্কিত হয়ে আছে! ভুলতে চাইলেও তা ভােলা যায়। নিজের অজান্তে সময়ে অসময়ে তা হৃদয়ের বদ্ধ দুয়ার খুলে উঁকি দেয়। আমরা হারিয়ে যাই সেই সুদূর অতীতে। যেখানে আনন্দ আর বেদনা পরস্পরে মিশে তৈরি করে রেখেছে এক চমৎকার আবহ। তাহলে আসুন কল্পনার পাখায় ভর করে আপনার শৈশবের দিনগুলােতে একটু ঘুরে আসি। দেখবেন সেখানে পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে নানান স্মৃতি। সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না আর আনন্দ-বেদনার কি অনুপম মিশেল!
একটু রােমন্থন করলেই আপনার চোখের সামনে ভেসে ওঠবে কোনাে পুরস্কার প্রাপ্তির স্মৃতি, বিশেষ কোনাে সফলতার স্বীকতিস্বরূপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আপনাকে তা দেয়া হয়েছিল। মনে পড়বে বড় কোনাে অনুষ্ঠানে কেউ আপনার প্রশংসা করেছিল সেই সুখস্মৃতির কথা। ওগুলাে এমন স্মৃতি, যা আপনার মনের গভীরে এমনভাবে গেথে রয়েছে যা আপনি চেষ্টা করলেও মুছতে পারবেন না। এর পাশাপাশি এমন কিছু দুঃখময় স্মৃতিও আমাদেরকে তাড়া করে ফেরে যা আমাদের শৈশবে ঘটেছিল । শিক্ষকের প্রহার, সহপাঠীদের সঙ্গে ঝগড়া, পরিবারের কারাে পক্ষ থেকে অপমান-লাঞ্ছনায় জর্জরিত হওয়া, সৎ মায়ের প্রতিহিংসামূলক আচরণের শিকার হওয়া ইত্যাদি। ছােটদের সঙ্গে একটু ভালাে ব্যবহার, একটু কোমল আচরণের ফলে শুধু ছােটরাই নয়, তাদের বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও প্রভাবিত হন এবং তাদের সবার হৃদয় জয় করা সহজ হয়ে যায়। প্রাথমিক স্তরে যারা শিক্ষকতা করেন তাদের অনেকেরই এ অভিজ্ঞতা রয়েছে যে, ছােট ছােট ছাত্রদের বাবা-মায়েরা তাদের সঙ্গে যােগাযােগ করে তাদের প্রশংসা করেন। তাদের সন্তানদেরকে তারা খুব ভালােবাসেন এ জন্য তারাও তাদেরকে খুব ভালােবাসেন। কখনাে কখনাে তারা তাদের ভালােবাসার এ অনুভূতি আন্তরিক সাক্ষাৎ, হাদিয়া বা পত্র পাঠানাের মাধ্যমেও ব্যক্ত করে থাকেন। তাই ছােটদের সাথে হাসিমুখে কথা বলা, তাদের হৃদয় জয় করা এবং তাদের সঙ্গে কোমল আচরণ করতে ভুলবেন না।
একদিন আমি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছােট ছােট ছাত্রদের উদ্দেশ্যে নামায সম্পর্কে আলােচনা করেছিলাম। আলােচনার এক পর্যায়ে আমি তাদেরকে নামাযের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি হাদিস বলতে বললাম। একজন বললাে, রাসূল গল্প বলেছেন : ‘ঈমান ও কুফরের মাঝে পার্থক্য হলাে নামায।‘ (সহিহ মুসলিম: ১১৬) তার উত্তরে আমি এত বেশি খুশি হলাম যে, আমার হাতের ঘড়িটি খুলে তাকে দিয়ে দিলাম। ঘড়িটি ছিল খুবই সাধারণ মানের। শ্রমিকেরা সাধারণত যে ধরনের ঘড়ি ব্যবহার করে অনেকটাই সে রকম । আমার সে দিনের আচরণে ছেলেটি খুব অনুপ্রাণিত হয়েছিল। এরপর সে পড়াশােনায় আরাে বেশি মনােযােগী হলাে এবং কুরআন শরিফের হিফজের গুরুত্ব অনুধাবন করে তাতে মনােযােগ দিলাে।
কয়েক বছর পর একদিন এক মসজিদে নামায পড়তে গিয়ে দেখি সেদিনের ছােট্ট সে ছেলেটিই এখন এ মসজিদের ইমাম। এখন অবশ্য সে পরিপূর্ণ যুবক। ইতােমধ্যে সে শরিয়া অনুষদ থেকে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেছে। ইমামতির পাশাপাশি বর্তমানে সে বিচার বিভাগেও কাজ করে। তাকে আমি প্রথমে চিনতে পারি নি। সে আমাকে তার পরিচয় দিয়ে সে ঘটনাটির কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল। দেখুন, সামান্য একটি উপহার তার মনে কী গভীর প্রভাব ফেলেছে এবং তার জীবনের মােড় কিভাবে ঘুরিয়ে দিয়েছে। আরেকবার আমি একটি ওলিমার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলাম। সুন্দর চেহারার এক যুবক আমাকে খুবই আন্তরিকতার সাথে সালাম দিল। এরপর অনেক আগে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া একটি চমৎকার ঘটনা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিল। তার শৈশবে আমি একবার তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনাে বিষয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলাম। তখনকার সে ঘটনাটি আজও তার মনে গেথে আছে। অনেক সময় দেখবেন, মসজিদ থেকে বের হয়ে ছােট ছােট ছেলেরা বাবার হাত ধরে টেনে, একজন লােকের কাছে নিয়ে যাচ্ছে।
বাবা সে লােককে সালাম করে এবং এ কথা জানায় যে, তার ছেলে তাকে অত্যন্ত ভালােবাসে। এর কারণ এটাই যে, লােকটি ছােটদের সঙ্গে ভালাে ও সুন্দর ব্যবহার করে। বড় বড় অনুষ্ঠানেও এ ধরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটতে দেখা যায়। আমি অকপটে স্বীকার করছি, ব্যক্তিগতভাবে আমি ছােটদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিই। তাদের শিশুসুলভ মিষ্টি কথাগুলাে মনোেযােগ সহকারে শুনি। যদিও তাদের অধিকাংশ কথাবার্তাই সাধারণত বেদরকারি হয়ে থাকে। কখনাে কখনাে তাদের মা-বাবার প্রতি সম্মানার্থে এবং তাদের মন জয় করতে তাদের প্রতি একটু বেশি মনােযােগ দিয়ে থাকি। আমার এক বন্ধুর সঙ্গে প্রায়ই আমি সাক্ষাৎ করতাম। সে বন্ধুর ছােট একটি ছেলে ছিল । তার সাথেও সাক্ষাৎ হত। আমি সে ছােট ছেলেটির সাথে খুব স্নেহপূর্ণ আচরণ করতাম। আমার বন্ধুটি তার ছেলেকে নিয়ে হঠাৎ একদিন একটি বড় অনুষ্ঠানে আমার সঙ্গে দেখা করলাে। বন্ধুটি আমাকে সালাম দিয়ে বললাে, বন্ধু! বল তাে, তুমি আমার ছেলেকে কী যাদু করেছ!
কয়েকদিন আগে ওর শিক্ষক ক্লাসের প্রত্যেককে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। ভবিষ্যতে কে কী হতে চায় তা জানতে চাইলেন। একজন বললাে, সে ডাক্তার হবে। আরেকজন বললাে, সে ইঞ্জিনিয়ার হবে। আর আমার ছেলে বললাে, আমি মুহাম্মদ আরিফী হবাে! কী আশ্চর্য উত্তর! ছােটদের সঙ্গে মানুষের আচরণ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। আপনি দেখবেন, বড় কোনাে মজলিসে যখন কেউ সবার সঙ্গে মােসাফাহা করে, পেছনে পেছনে তার সন্তানও তার দেখাদেখি সকলের সঙ্গে মােসাফাহ করতে থাকে। তখন কেউ কেউ কেবল বাবার সঙ্গেই মােসাফাহ করে । ছােট সন্তানের প্রতি গুরুত্বই দেয় না। কেউ তাচ্ছিল্যের সঙ্গে হাতের সামান্য একটু অংশ বাড়িয়ে দিয়ে কোনােমতে করমর্দন করে। কিন্তু কিছু লােককে দেখতে পাবেন তারা তার সঙ্গেও হাসিমুখে মােসাফাহ করছেন। কেউ কেউ তাকে একটু বাড়তি আনন্দ দিচ্ছেন। তারা তাকে লক্ষ করে বলছেন, এই যে দুষ্ট খােকা, কেমন আছ?’ ছােট ছেলেটির অন্তরে এ লােকটির প্রতি একটি ভিন্ন ধরনের ভালবাসা তৈরি হয়। কেবল তার অন্তরেই নয়, তার বাবা-মার অন্তরেও লােকটির প্রতি ভালােবাসা জন্ম নেয়।
আদর্শ অভিভাবক রাসূল -এর আচরণও ছােটদের সঙ্গে ছিল কোমল ও অনুকরণীয়। আনাস বিন মালেক দিলৎ-এর ছােট একটি ভাই ছিল। রাসূল এত তার সঙ্গে রসিকতা করতেন। রাসূল তো তাকে ‘আবু ওমায়ের’ বলে ডাকতেন। আবু ওমায়েরের ছােট্ট একটি পাখি ছিল। পাখিটি নিয়ে আবু ওমায়ের খেলা করত। একদিন হঠাৎ পাখিটি মারা গেল। তার সঙ্গে দেখা হলে রাসূল এত রসিকতা করে তাকে বলতেন, ‘হে আবু ওমায়ের! গেল কোথায় গায়ের?! আল্লাহর রাসূল ‘নুগায়ের বলে সে পাখিটিকে বুঝিয়েছিলেন।। এভাবে রাসূল এতাে ছােটদের সঙ্গেও স্নেহপূর্ণ আচরণ করতেন। তাদের সঙ্গে নির্মল রসিকতা করতেন। তিনি উম্মে সালমার মেয়ে যয়নাবের সঙ্গেও মজা করতেন। তাকে আদর করে যুওয়াইনিব বলে ডাকতেন। রাসূল এ খেলায় মগ্ন শিশুদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে সালাম দিতেন। আনসারদের এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময়ও তাদের। ছােট ছােট বাচ্চাদেরকে সালাম দিতেন। তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করতেন।
রাসূল যখন যুদ্ধ থেকে ফিরে আসতেন তখন ছােট ছােট শিশুরা তাকে অভ্যর্থনা জানাতে ঘর থেকে বের হয়ে আসত। তারা রাসূলের সাথে উটের ওপর ওঠত। তারা রাসূলের পাশে বসত আর আনন্দে নেচে ওঠতাে। মুসলমানরা মুতার যুদ্ধ থেকে ফিরছিলেন। মুজাহিদ বাহিনী মদিনার একেবারে কাছাকাছি এলে রাসূল একার লােকজন নিয়ে তাদেরকে অভ্যর্থনা জানাতে এগিয়ে আসলেন। মদিনার শিশুরাও তাদের সাথে যােগ দিতে লাগল । আল্লাহর রাসূল শিশুদেরকে দেখে সাথীদেরকে বললেন, তােমরা এদেরকে তােমাদের উটে উঠিয়ে নাও। আর জাফরের ছেলেকে আমার কাছে দাও। জাফরের ছেলে আবদুল্লাহকে রাসূলের কাছে দিয়ে আসা হলাে। আল্লাহর রাসূল তাকে কোলে তুলে নিলেন এবং নিজের সামনে বসালেন। রাসূল তো একদিন অজু করছিলেন। পাঁচ বছরের ছােট্ট শিশু মাহমুদ বিন রবী আল্লাহর রাসূলের সামনে আসল । রাসূল আল মুখে পানি নিয়ে সে পানি মাহমুদের চেহারায় ছিটিয়ে দিলেন। এভাবেই রাসূল মাহমুদের সাথে মজা করছিলেন। আর মাহমুদও তা উপভােগ করছিল। (বুখারি)
জীবনকে উপভােগ করুন রাসূল আলা সাধারণত সবার সঙ্গে হাসি-খুশি থাকতেন। সদাচরণের মাধ্যমে মানুষের মনে আনন্দ দিতেন। তার সংস্পর্শ ও আচরণ কারাে কাছে ব্রিতকর মনে হতাে না। একদিন জনৈক ব্যক্তি রাসূল আল্লাহ-এর কাছে এসে একটি উট চাইল। উটে চড়ে জিহাদে কিংবা দূরে কোথাও সফরে যাবে। তিনি তার সঙ্গে একটু রসিকতা করে বললেন, “আমি তােমাকে একটি উন্ত্রীর বাচ্চা দেব।’ লােকটি বিস্মিত হলাে। সে উটের বাচ্চার ওপর কিভাবে চড়বে? উন্ত্রীর বাচ্চা তাে কাউকে বহন করতে পারবে না। সে বললাে, “ইয়া রাসূলুল্লাহ! উষ্ট্রীর বাচ্চা দিয়ে আমি কী করব!’ রাসূল বললেন, “আরে মিঞা! বড় উটও তাে কোনাে না কোনাে উন্ত্রীর বাচ্চাই হয়ে থাকে ।!’ এ ব্যাখ্যা শুনে লােকটির বিস্ময় কেটে গেল। আল্লাহর রাসূলের নির্মল রসিকতায় সে মুগ্ধ হলাে। একদিন আল্লাহর রাসূল রসিকতা করে আনাসকে বললেন, এই যে দু’কানওয়ালা!’
আরেকদিন জনৈক মহিলা আল্লাহর রাসূলের কাছে নিজের স্বামীর ব্যাপারে অভিযােগ নিয়ে এলাে। রাসূল আত তাকে বললেন, তােমার স্বামী কি সে লােকটি, যার চোখে সাদা?!’ আল্লাহর রাসূলের কথা শুনে মহিলা ভয় পেয়ে গেল। সে ভাবল, তার স্বামী হয়তাে অন্ধ হয়ে গেছে। কারণ আল্লাহ তাআলা তাে ইয়াকুব আলাইহিস সালামের ব্যাপারে বলেছেন, ‘দুঃখ-বেদনায় কাঁদতে কাঁদতে তার দুচোখ সাদা হয়ে গেছে।’ অর্থাৎ তার দুচোখ অন্ধ হয়ে গেছে। মহিলাটি ভয়ে অস্থির হয়ে দ্রুত তার স্বামীর কাছে ফিরে এলাে এবং ভালাে করে তার চোখ দেখতে লাগল! স্বামী তাকে জিজ্ঞেস করলাে, “কী হয়েছে? তুমি এভাবে আমার চোখ দেখছ কেন? স্ত্রী বললাে, আল্লাহর রাসূল বলেছেন, তােমার চোখ নাকি সাদা!’ তখন স্বামী বললাে, “আরে বােকা মেয়ে! আল্লাহর রাসূল বােঝাতে চেয়েছেন যে, চোখের সাদা অংশ কালাে অংশের চেয়ে পরিমাণে বেশি! অর্থাৎ প্রত্যেক মানুষের চোখের কিছু অংশ কালাে, কিছু অংশ সাদা। তবে সাদা অংশই বেশি।
রাসূলের সঙ্গে কেউ রসিকতা করলে তিনি তা উপভােগ করতেন এবং মুচকি হেসে তার জবাব দিতেন। একবার রাসূল দােদু -এর স্ত্রীগণ অধিক খােরপােষ দাবি করায় রাসূল আপন স্ত্রীগণের প্রতি কিছুটা অসন্তুষ্ট হলেন। এমন সময় ওমর আদিত্যঙ্গ উপস্থিত হলেন। ওমর বললেন, আল্লাহর রাসূল! আমাদের কোরাইশ বংশের লােকদের স্ত্রীরা সবসময় আমাদের অনুগত থাকত। কেউ অতিরিক্ত খােরপোেষ চাইলে আমরা তার ঘাড় মটকে দিতাম। কিন্তু হিজরতের পর। মদীনায় এসে দেখতে পেলাম, এখানকার মহিলারা পুরুষদেরকে পরিচালনা করে। তাদের দেখা-দেখি আমাদের মহিলারাও এমন হয়ে গেছে। তারাও এখন আমাদের উপর ছড়ি ঘােরাতে শুরু করেছে। ওমরের কথা শুনে আল্লাহর রাসূল না হেসে পারলেন না। ওমরও কথার পিঠে কথা বলতে লাগলেন। রাসূল সালাহ তার কথার সঙ্গে হাসতে লাগলেন।
ওমরও রাসূল সাঃ-এর হাসি মনভরে উপভােগ করলেন। আপনি অনেক হাদিসে পড়েছেন, আল্লাহর রাসূল অনেক সময় এতাে বেশি হেসেছেন যে, তাঁর দাঁতের মাড়ি পর্যন্ত দেখা গেছে। বস্তুত: রাসূল এলাকায় সবার সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল থাকতেন। মজলিসের সবাই তাকে মনেপ্রাণে ভালােবাসতেন। আমরাও যদি সবার সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারি তাহলে আমরাও জীবনের স্বাদ অনুভব করতে সক্ষম হব।
একটি চিন্তা… শিশুরা হলাে নরম কাদামাটির ন্যায়। আমরা তাদের সঙ্গে যেমন আচরণ করব তারাও সেভাবে বেড়ে উঠবে।
উৎসঃ Enjoy Your Life (Bangla Version) , অধ্যায়ঃ ১১, পৃষ্ঠা: ৫৫ – ৬০
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]