খুশু [আপনার ইবাদতের মান উন্নত করুন]

0
242

namaz

লেখক: ড. খালিদ আবু শাদি | অনুবাদক: হাসান মাসরুর

১. আজকের আলোচ্য বিষয়ের ফায়দা

  • সালাতের মাধ্যমে স্বাদ অর্জন করা: রাসুল (সা:) বলেন: ‘আমার চোখের শীতলতা রাখা হয়েছে সালাতে।’ [সুনানুন নাসায়ি: ৩৯৪০, মুসনাদু আহমাদ: ১৪০৩৭]
  • সালাতের বিশাল প্রতিদান লাভ: ইবনে আব্বাস বলেন, ‘তুমি সালাতের যা বুঝেছ, তা-ই তোমার জন্য।’
  • গুনাহ মাফ হয়ে যাওয়া: রাসুল (সা:) বলেন: ‘যেকোনো মুসলিম ব্যক্তি পরিপূর্ণরূপে অজু করে মনোযোগসহকারে সালাতে দণ্ডায়মান হয়, তবে সালাত থেকে সে সেদিনের মতোই নিষ্পাপ অবস্থায় ফিরে আসে, যেদিন তার মাতা তাকে ভূমিষ্ট করেছিল।‘ [আল-জামিউস সহিহ লিস সুনান ওয়াল মাসানিদ: ২৩/৩১০]
  • ইবাদতের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা: আল্লাহ তাআলা বলেন: “নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে।” [সুরা আল-আনকাবুত, ২৯ : ৪৫]
  • সালাতে যারা চুরি করে, তারা সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর: রাসুল (সা:) বলেন: ‘সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর হলো সে, যে সালাতে চুরি করে।’ সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমাদের কেউ তার সালাতে কীভাবে চুরি করে? তিনি বললেন, ‘যার রুকু পরিপূর্ণ নয়, সিজদাও পরিপূর্ণ নয় এবং খুশুও পরিপূর্ণ নয়।’ [শুআবুল ইমান : ৪/৪৮১, সহিহু ইবনি হিব্বান: ১৮৮৮]

২. কুরআনের আলো

আল্লাহ তাআলা বলেন: “আর যদি এই কুরআন পাহাড়ের ওপর অবতীর্ণ করতাম, তবে আপনি দেখতেন যে, পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহর ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে।” [সুরা আল-হাশর, ৫৯ : ২১]

মুজাহিদ (রা:) বলেন, ‘পাহাড়ের চূড়া থেকে পাথর গড়িয়ে পড়া, পাথর থেকে ঝরনা প্রবাহিত হওয়া এবং তা থেকে পানি বের হওয়া একমাত্র আল্লাহ তাআলার ভয়ের কারণেই হয়ে থাকে। তাদের এমন ভয়ের ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে আয়াত নাজিল হয়েছে।

মালিক বিন দিনার এই আয়াত পাঠ করার পর শপথ করে বলেন, ‘আমি তোমাদেরকে কসম করে বলছি, যে বান্দাই এই কুরআনের ওপর ইমান আনবে, তার হৃদয় (ভয়ে) বিদীর্ণ হয়ে যাবে।’

৩. রাসুল (সা:) আমাদের আদর্শ

  • রাসুল (সা:) একদা পুরো রাত একটি মাত্র আয়াত পাঠ করে কাটিয়ে দিলেন। আয়াতটি হলো: যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি দেন, তবে তারা আপনার দাস এবং যদি আপনি তাদেরকে ক্ষমা করেন, তবে আপনিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” [সুরা আল-মায়িদা, ৫ : ১১৮]
  • মুতাররিফ বিন আব্দুল্লাহ বিন শিখখির তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আমি নবিজি (সা:)-এর কাছে আগমন করলাম। তখন তিনি সালাত আদায় করছিলেন। আর তাঁর ভেতরে পাতিলের শব্দের মতো শব্দ হচ্ছিল। অর্থাৎ তিনি কাঁদছিলেন।’ [সুনানুন নাসায়ি: ১২১৪]
  • রাসুল (সা:) বলেন: হুদ ও তার অনুরূপ সুরাগুলো আমাকে বার্ধক্যে উপনীত করেছে।‘ [তাবারানি কৃত আল-মুজামুল কাবির: ৭৯০]

কেননা, বার্ধক্য আসে ভয় ও দুশ্চিন্তার ফলে।

  • এই তো আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রা:) আল্লাহর নবির নিকট সুরা নিসা পাঠ করছিলেন। যখন তিনি আল্লাহ তাআলার এই বাণী পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেন: “আমি যখন প্রত্যেক জাতি থেকে একজন করে সাক্ষী নিয়ে আসব এবং এদের বিরুদ্ধে আপনাকেও সাক্ষী করে আনব, তখন কেমন হবে?” [সুরা আন-নিসা, ৪ : ৪১]

নবিজি (সা:) তখন বললেন,‘থামো।’ (আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রা:) বলেন,) ‘তখন তাঁর চক্ষুযুগল থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল।‘ [সহিহুল বুখারি: ৪৫৮৩]

৪. অমূল্য বাণী

  • একদা উমর বিন খাত্তাব (রা:) মিম্বারে উঠে বললেন, ‘মানুষ ইসলামে থেকে তার গালকে বৃদ্ধ করে ফেলে; কিন্তু আল্লাহর জন্য একটি সালাতও পরিপূর্ণ করে না।’ তাকে যখন এর ব্যাখ্যা জিজ্ঞেস করা হলো, তখন তিনি বললেন, ‘সালাতে তার খুশু (বিনয়), নম্রতা ও আল্লাহর সামনে আগমন পরিপূর্ণ নয়।’
  • হাসান (রা:) বলেন, ‘এ ব্যাপারে সতর্ক থেকো যে, আল্লাহ তাআলা তোমার প্রতি দৃষ্টি দিয়েছেন; কিন্তু তুমি অন্য দিকে ফিরে আছ; অথচ তুমি তাঁর কাছে জান্নাত প্রার্থনা করছ এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছ। আর তোমার হৃদয় উদাসীন হয়ে আছে।’ অর্থাৎ সে জানে না যে, সে কী প্ৰাৰ্থনা করছে।
  • ইবনে কাসির (রা:) বলেন, ‘সালাতে ওই ব্যক্তির খুশু তৈরি হয়, যে নিজের হৃদয়কে সালাতের জন্য অবসর করে নিয়েছে। সে সবকিছু ছেড়ে সালাত নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। অন্যান্য সব বিষয়ের ওপর সালাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। আর তখন এই সালাত তার জন্য প্রশান্তি ও চক্ষু-শীতলতার কারণ হয়।’
  • উম্মে সালামা (রা:) বলেন, ‘রাসুল (সা:)-এর জমানায় লোকদের অবস্থা এরূপ ছিল যে, যখন তাদের কেউ সালাতে দাঁড়াতেন, তখন তার দৃষ্টি তার পদদয়ের স্থান অতিক্রম করত না। রাসুল (সা:)-এর ইনতিকালের পর মানুষের অবস্থা এরূপ হলো যে, যখন তাদের কেউ সালাতে দাঁড়াতেন, তখন তার দৃষ্টি সিজদার স্থান অতিক্রম করত না। অতঃপর আবু বকর (রা:) ইনতিকাল করেন এবং উমর (রা:) খলিফা হন। তখন লোকদের অবস্থা এমন হলো যে, তাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়াতেন, তখন তার দৃষ্টি কিবলার দিক অতিক্রম করত না। উসমান বিন আফফান (রা:) খলিফা হওয়ার পর থেকে বিশৃঙ্খলার সূত্রপাত হয়। অতঃপর লোকজন (সালাতরত অবস্থায়) ডানে- বামে তাকাতে থাকে!!’
  • হুজাইফা বিন ইয়ামান (রা:) বলেন, ‘তোমরা নিফাকের খুশুর ব্যাপারে সতর্ক থেকো।’ বলা হলো, ‘নিফাকের খুশু কী?’ তিনি বলেন, ‘তোমার দেহকে বিনয়ী দেখবে; কিন্তু মন বিনয়ী নয়।’

৫. একটি চমৎকার কাহিনি

মৃত ব্যক্তির আশা?

ওহে, আজ যারা সালাতে খুশু নষ্ট করছ! তোমাদের নবির জবানে শোনো! আবু হুরাইরা (রা:) এ বর্ণনা করেন যে, রাসুল (সা:) এ একটি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “এই কবর কার?” লোকেরা বলল, “অমুকের।” তিনি বললেন, “দুই রাকআত সালাত (তার আমলনামায় বৃদ্ধি পাওয়া) তার কাছে তোমাদের এ বাকি দুনিয়া থেকে বেশি প্রিয়।‘ [আল-মুজামুল আওসাত: ৯২০]

অপর বর্ণনায় এসেছে: হালকা দুই রাকআত সালাত, যা তোমরা তুচ্ছ ও অতিরিক্ত মনে করো, তা এই লোকের আমলনামায় বৃদ্ধি পাওয়া তার কাছে তোমাদের এ বাকি দুনিয়া থেকে বেশি প্রিয়।‘ [আল-জামিউস সহিহ লিস সুনান ওয়াল মাসানিদ: ১০/৩৩৯]

৬. রমাদানে খুশু

তারাবিহের সালাতে খুশু
তাহাজ্জুদের সালাতে খুশু

কুরআন যেভাবে নাজিল হয়েছে, সেভাবে চিন্তা-ফিকিরের সাথে তা শ্রবণ করা হলো হৃদয়ের খুশু। আপনার পাশে কুরআন তিলাওয়াত শ্রবণ করে কেউ নিজের গুনাহের কারণে কাঁদছে, কেউ কাঁদছে নিজের উদাসীনতা ও গাফিলতির কারণে, আর কেউ কাঁদছে আল্লাহ তাআলার ভয়ে। আল্লাহ তাআলার কৃত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে আরেকজনের হৃদয় অনবরত কেঁপে উঠছে। রমাদানে এদের বিনয় আপনার মাঝে ছড়িয়ে পড়বে এবং তাদের জীবন আপনাকে খুশুর ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করবে।

৭. খুশুর সূর্য ডুবে গেছে

আজ মানুষের অবস্থা তো এমন যে, কেউ সালাতে দাঁড়িয়ে কাপড় নিয়ে খেলা করে, কেউ তার সামনে থাকা দৃশ্য নিয়ে ফিকির করছে। কারও মন সালাতে বাজারে ঘুরাফেরা করছে। আর কেউ আছে টেলিভিশনের পাশে। এত দ্রুত সালাত আদায় করা হচ্ছে যে, এই সময়ের মাঝে একটি নাশিদও শেষ করা যাবে না। তার সালাত তাকে অশ্লীলতা ও পাপাচার থেকে দূরে রাখে না। সালাত তার চরিত্র ঠিক করছে না এবং তার বক্রতাকেও সোজা করছে না। এমন সালাত আদায় করছে, যেখানে মৃত্যুর স্মরণ নেই। আর এ কারণেই আল্লাহ থেকে তার দূরত্ব বেড়েই চলছে।

৮. দুআ

  • হে আল্লাহ, আমাদেরকে একাগ্রচিত্তে সালাত আদায়ের তাওফিক দিন এবং প্রতিটি সালাতকে বিদায়ী সালাত ভেবে আদায় করার তাওফিক দিন।
  • হে আল্লাহ, আমাদেরকে এমনভাবে সালাত আদায়ের তাওফিক দান করুন, যেন আমরা সালাত আদায়কালে ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত না হই এবং নোংরা কোনো চিন্তায় লিপ্ত না হই।

৯. যথেষ্ট কথা হয়েছে, এখন আমল দেখার বিষয়

  • আমরা সালাতে মৃত্যুর কথা স্মরণ করব। নবিজি (সা:) বলেন: তোমার সালাতে মৃত্যুর কথা স্মরণ করো। কারণ যখন কেউ তার সালাতে মৃত্যুর কথা স্মরণ করবে, তখন তার সালাত অবশ্যই উত্তম সালাত হবে এবং সে এমন ব্যক্তির মতো সালাত আদায় করবে, যার বিশ্বাস হলো সে আর সালাত আদায় করতে পারবে না।’ [আল-জামিউস সহিহ লিস সুনান ওয়াল মাসানিদ: ৯/৪৭১]
  • আমরা আমাদের তিলাওয়াতকৃত আয়াত ও অন্যান্য জিকির নিয়ে চিন্তা করব এবং সাথে সাথে আমল করতে থাকব। তবে চিন্তা তখনই তৈরি হবে, যখন আমরা যা পাঠ করছি, তার অর্থ বুঝতে সক্ষম হব । অর্থ বুঝলে ফিকির করতে পারব। আর ফিকিরের ফলে চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হবে এবং এর প্রভাব পরিলক্ষিত হবে। যেমনটি আমাদের রব বলেছেন: “যাদেরকে তাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ বুঝানো হলে তাতে অন্ধ ও বধিরসদৃশ আচরণ করে না।” [সুরা আল-ফুরকান, ২৫ : ৭৩]
  • আয়াত পাঠের সময় যখন আমরা তাসবিহের আয়াত পাঠ করব, তখন তাসবিহ পাঠ করব এবং যখন আশ্রয় প্রার্থনার আয়াত পাঠ করব, তখন আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করব।
  • আমরা প্রতিটি আয়াতের থামার জায়গায় থামব এবং একটি একটি করে আয়াত পাঠ করব। এতে অনুধাবন ও উপলব্ধি করা সহজ হবে। এবং এটি নবিজি (সা:)-এর সুন্নাতও বটে।
  • কুরআন তিলাওয়াতের সময় উত্তম সুরে কুরআন তিলাওয়াত করব। কারণ নবিজি (সা:) বলেছেন: তোমরা নিজেদের সুমিষ্ট কণ্ঠ দ্বারা কুরআনকে সজ্জিত করো। কারণ, সুন্দর কণ্ঠ কুরআনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।‘ [মুসতাদরাকুল হাকিম: ২১২৫]

সালাতে আমরা আল্লাহর স্মরণের মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রভাবিত করে নেব। রাসুল (সা:) বলেছেন: “আল্লাহ তাআলা বলেন, “আমার এবং আমার বান্দার মাঝে আমি সালাতকে অর্ধেক অর্ধেক করে ভাগ করে নিয়েছি এবং আমার বান্দার জন্য রয়েছে সে যা চায়।’ বান্দা যখন বলে: “সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।” [সুরা আল-ফাতিহা, ১ : ২]

আল্লাহ তাআলা তখন বলেন, “আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে।” সে যখন বলে: “তিনি পরম করুণাময় অসীম দয়ালু।” [সুরা আল-ফাতিহা, ১ : ৩]

তখন আল্লাহ বলেন, “বান্দা আমার প্রশংসা করেছে এবং গুণগান করেছে।” সে যখন বলে: “তিনি বিচার দিনের মালিক।” [সুরা আল-ফাতিহা, ১ : ৪]

তখন আল্লাহ বলেন, “আমার বান্দা আমার মর্যাদা বর্ণনা করেছে।”

আল্লাহ আরও বলেন, “বান্দা তার সমস্ত কাজ আমার ওপর অর্পণ করেছে।” সে যখন বলে: “আমরা কেবল আপনারই ইবাদত করি এবং আপনারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।” [সুরা আল-ফাতিহা, ১ : ৫]

তখন আল্লাহ বলেন, “এটা আমার এবং আমার বান্দার মধ্যকার ব্যাপার। (এখন) আমার বান্দার জন্য রয়েছে সে যা চায়।”

যখন সে বলে: “আমাদের সরল-সঠিক পথে পরিচালনা করুন।” [সুরা আল-ফাতিহা, ১ : ৬]

যাদের আপনি নিয়ামত দান করেছেন; তাদের পথে নয়, যাদের প্রতি আপনার গজব নাজিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।” [সুরা আল-ফাতিহা, ১ : ৭]

তখন আল্লাহ বলেন, ‘এ সবই আমার বান্দার জন্য এবং আমার বান্দার জন্য রয়েছে সে যা চায়। [সহিহু মুসলিম : ৩৯৫]

সালাত অবস্থায় পেছনে যা কিছু ঘটছে, তা থেকে নিজের দৃষ্টিকে সংযত রাখব । কেউ সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে উদ্যত হলে তাকে বারণ করব, যেভাবে শয়তানকে বারণ করতে হয়; যেন সে অতিক্রম করতে না পারে বা আমার সালাত বিনষ্ট করতে না পারে। নবিজি বলেন: ‘তোমাদের কেউ সুতরা (নামাজি ব্যক্তির সামনের ঢাল) স্থাপন করে সালাত আদায় করলে সে যেন তার কাছাকাছি থেকে সালাত আদায় করে; যাতে শয়তান তার সালাত বিনষ্ট করতে না পারে।‘ [সুনানু আবি দাউদ : ৬৯৫, সহিহু ইবনি হিব্বান : ২৩৭৩]

১০. স্বার্থপর হবেন না

  • সালাতের দুআগুলো মুখস্থ করে তার অর্থগুলো বুঝে নিন। তারপর নিজ পরিবার ও প্রিয়জনকে এগুলো শিক্ষা দিন।
  • কথাগুলো আপনার মসজিদের মুসল্লি ও আপনার সহপাঠী-সহকর্মীদের মাঝে আলোচনা করুন।
  • এই বইটি নিজে পাঠ করে অন্যদেরকেও পড়তে দিন; যেন তারা এর থেকে উপকৃত হতে পারে।
  • মসজিদের ইমামকেও বইটি হাদিয়া দিতে পারেন; যেন তিনি জুমআর খুতবা বা তারাবিহ-পরবর্তী আলোচনায় এর থেকে ফায়দা গ্রহণ করতে পারেন।

উৎস: রমাদান-আত্মশুদ্ধির বিপ্লব, পৃষ্ঠা:

Print Friendly, PDF & Email


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

আপনার মন্তব্য লিখুন