হাদিসের আলোকে সফরের আদব

1
3523

মুদ্রলেখক: শাখাওাত হোসাইন

আমরা বিভিন্ন সময় নানা কারণে সফরে বের হই। নবী (সাঃ) ও তাঁর জীবনে বহু সফরে গিয়েছেন, এবং তার উম্মতের জন্য এই সংক্রান্ত উপদেশ দিয়েছেন। এখানে সেই হাদিস গুলোর কিছু একসাথে তুলে ধরা হল-

বৃহস্পতিবার সকালে সফরে বের হওয়া উত্তম

১) কা’ব ইবনে মালেক (রা:) হতে বর্নিত: নবী (সা:) তাবুক অভিযানে বৃহস্পতিবার বের হলেন। আর তিনি বৃহস্পতিবার (সফরে) বের হওয়া পছন্দ করতেন। [১] বুখারী-মুসলিমের অন্য এক বর্ননায় আছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বৃহস্পতিবার ছাড়া অন্য দিনে কমই সফরে হতেন। (প্রকাশ থাকে যে, বৃহস্পতিবার সফরে বের হওয়ার কথা মুসলিম শরীফে নেই।)

২) স্বাখ্র ইবনে অদাআহ গামেদী (রা:) হতে বর্নিত: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “হে আল্লাহ! তমি আমার উম্মতের জন্য তাদের সকালে বরকত দাও।” আর তিনি যখন সেনার ছোট বাহিনী অথবা বড় বাহিনী পাঠাতেন, তখন তাদেরকে সকালে রওয়ানা করতেন। স্বাখ্র ব্যবসায়ী ছিলেন। সুতরাং তিনি তাঁর ব্যবসার পণ্য সকালেই প্রেরন করতেন। ফলে তিনি (এর বর্কতে)ধনী হয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর মাল প্রচুর হয়েছিল। [২]

সফরের জন্য সাথী খোঁজ করা এবং কোন একজনকে আমীর (দলপতি) নিযুক্ত করে তার আনুগত্য করা শ্রেয়

৩) ইবনে উমার (রা:) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “যদি লোকেরা জানত যে, একাকী সফরে কী ক্ষতি রয়েছে; যা আমি জানি, তাহলে কোন সওয়ারী একাকী সফর করত না।” [৩]

৪) আমর ইবনে শুআইব তাঁর পিতা হতে এবং তিনি তাঁর দাদা (আব্দুল্লাহ ইবনে আমর) হতে বর্ননা করেছেন, রাসূলুল্লাহ  (সা:) বলেছেন, “একজন (সফরকারী) আরোহী একটি শয়তান এবং দু’জন আরোহী দু’টি শয়তান। আর তিনজন আরোহী একটি কাফেলা।” [৪]

৫) আবূ সাঈদ ও আবূ হুরাইরা (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “যখন তিন ব্যক্তি সফরে বের হবে, তখন তারা যেন তাদের একজনকে আমীর বানিয়ে নেয়।” [৫]

৬) ইবনে আব্বাস (রা:) কর্তৃক বর্নিত, নবী (সা:) বলেছেন, “সর্বোত্তম সঙ্গী হল চারজন, সর্বোত্তম ছোট সেনাবাহিনী হল চারশ’ জন, সর্বোত্তম বড় সেনাবহিনী হল চার হাজার জন। আর বারো হাজার সৈন্য স্বল্পতার কারনে কখনো পরাজিত হবে না।” [৬]

সফরে চলা, বিশ্রাম নিতে অবতরণ করা, রাত কাটানো এবং সফরে ঘুমানোর আদব-কায়দা

৭) আবূ হুরাইরা (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “যখন তোমরা সবুজ-শ্যামল ঘাসে ভরা যমীনে সফর করবে, তখন উটকে তার যমীনের অংশ দাও (অর্থাৎ, কিছুক্ষন চরতে দাও)। আর যখন তোমরা ঘাস-পানিবিহীন যমীনে সফর করবে, তখন তার উপর চড়ে দ্রুত চলো এবং তার শক্তি শেষ হওয়ার পূর্বেই গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাও। আর যখন তোমরা রাতে বিশ্রামের জন্য কোন স্থানে অবতরন করবে, তখন আম রাস্তা থেকে দূরে থাকো। কারন, তা রাতে (হিংস্র) জন্তুদের রাস্তা এবং (বিষাক্ত) পোকামাকড়ের আশ্রয় স্থল।” [৭]

৮) আবূ ক্বাতদাহ (রা:) বলেন, ’রাসূলুল্লাহ (সা:) যখন সফরে থাকতেন এবং রাতে বিশ্রামের জন্য কোথাও অবতরন করতনে, তখন তিনি ডান পার্শ্বে শয়ন করতেন। আর তিনি ফজরের কিছুক্ষন পূর্বে বিশ্রাম নিলে তার হাতটা খাড়া করে হাতের চেটোর উপর মাথা রেখে আরাম করতেন।’ [৮]

উলামাগন বলেন, ‘তিনি হাত খাড়া রেখে আরাম করতেন, যাতে গভীর নিদ্রা এসে ফজরের নামাযের ওয়াক্ত অথবা প্রথম ওয়াক্ত ছুটে না যায়।’

৯) আনাস (রা:) বলেন রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “তোমরা রাতে সফর কর। কেননা, রাতে যমীনকে গুটিয়ে দেওয়া হয়।” (অর্থাৎ, রাস্তা কম মনে হয়।) [৯]

১০) আবূ সা’লাব খুশানী (রা:) বলেন, লোকেরা যখন কোন স্থানে অবতরন করতেন, তখন তাঁর গিরিপথ ও উপত্যকায় ছড়িয়ে যেতেন। রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন, “তোমাদের এ সকল গিরিপথে ও উপত্যকায় বিক্ষিপ্ত হওয়া শয়তানের কাজ।” এরপর তাঁরা যখনই কোন মঞ্জিলে অবতরন করতেন, তখন একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে থাকতেন। [১০]

১১) সাহল ইবনে আমর (রা:) মতান্তরে সাহল ইবনে রাবী ইবনে আমর (রা:) আনসারী – যিনি ইবনুল হানযালিয়্যাহ নামে প্রসিদ্ধ এবং ইনি বায়আতে রিযওয়ানে অংশ গ্রহনকারীদের মধ্যে একজন—তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) একটা উটের পাশ দিয়ে গেলেন, যার পিঠটা (দুর্বলতার কারনে) পেটের সাথে লেগে গিয়েছিল। (তা দেখে) তিনি বললেন, “তোমরা এ সব অবোলা জন্তুর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। সুতরাং তোমরা তাদের সুস্থ থাকা অবস্থায় আরোহন কর এবং তাদের সুস্থ থাকা অবস্থায় মাংস খাও।” [১১]

১২) আবূ জা’ফর আব্দুল্লাহ ইবনে জা’ফর (রা:) বলেন, ‘একদা রাসূলুল্লাহ (সা:) আমাকে সওয়ারীর উপর তাঁর পিছনে বসালেন এবং আমাকে তিনি একটি গোপন কথা বললেন, যা আমি কাউকে বলব না। আর রাসূলুল্লাহ (সা:) উঁচু জায়গা (দেওয়াল, ঢিবি ইত্যাদি) অথবা খেজুরের বাগানের আড়ালে মল-মূত্র ত্যাগ করা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন।’ (ইমাম মুসলিম এটিকে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ননা করেছেন)

বারক্বানী এতে মুসলিমের সূত্রে বর্ধিত আকারে ‘খেজুরের বাগান’ শব্দের পর বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা:) এক আনসারীর বাগানে প্রবেশ ক’রে সেখানে একটা উট দেখতে পেলেন। উটটা রাসূলুল্লাহ (সা:) কে দেখে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল এবং তার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে লাগল। নবী (সা:) তাঁর কাছে এসে তার কুঁজে এবং কানের পিছনের অংশে হাত ফিরালেন, ফলে সে শান্ত হল। এরপর তিনি বললেন, ”এ উটের মালিক কে? এই উটটা কার?” অত:পর আনসারদের এক যুবক এসে বলল, ‘এটা আমার হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, “তুমি কি এই পশুর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো না, আল্লাহ তোমাকে যার মালিক বানিয়েছেন? কারন, সে আমার নিকট অভিযোগ করছে যে, তুমি তাকে ক্ষুধায় রাখ এবং (বেশি কাজ নিয়ে) ক্লান্ত ক’রে ফেলো।” [১২]

১৩) আনাস (রা:) বলেন, ‘আমরা যখন (সফরে) কোন মঞ্জিলে অবতরন করতাম, তখন সওয়ারীর পালান নামাবার পূর্বে নফল নামায পড়তাম না।’ [১৩]

অর্থাৎ, আমরা নামাযের প্রতি আগ্রহী হওয়া সত্ত্বেও সওয়ারীর পিঠ থেকে পালান নামিয়ে তাকে আরাম না দেওয়ার আগে নামায পড়তে শুরু করতাম না।

সফরের সঙ্গীকে সাহায্য করা

আপরকে সাহায্য করার বিষয়ে অনেক হাদীস পূর্বে বর্নিত হয়েছে। যেমন ‘আল্লাহ বান্দাকে সাহায্য করেন; যতক্ষন বান্দা তার ভাইকে সাহায্য করে।’ ‘প্রত্যেক ভাল কাজ সাদকাহ স্বরূপ।’ ইত্যাদি।

১৪) আবূ সাঈদ খুদরী (রা:) বলেন, একদা আমরা সফরে ছিলাম। ইত্যবসরে এক ব্যক্তি তার সওয়ারীর উপর চড়ে এল। অত:পর তার দৃষ্টি ডানে ও বামে ফেরাতে লাগল। রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন, “যার বাড়তি সওয়ারী আছে, সে যেন তা তাকে দেয় যার সওয়ারী নেই এবং যার অতিরিক্ত সফরের সম্বল রয়েছে, সে যেন সম্বলহীন ব্যক্তিকে দেয়।” অত:পর তিনি আরো কয়েক প্রকার মালের কথা বললেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত আমরা ধারনা করলাম যে, বাড়তি মালে আমাদের কারোর কোন অধিকার নেই। [১৪]

১৫) জাবের (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) জিহাদে যাওয়ার ইচ্ছা করলেন। অত:পর তিনি বললেন, “হে মুহাজির ও আনসারের দল! তোমাদের ভাইদের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে, যাদের কোন মাল নেই, স্বগোত্রীয় লোকও নেই। সুতরাং তোমাদের প্রত্যেকে যেন দুই অথবা তিনজনকে সঙ্গে করে নেয়। কারন, আমাদের কারও এমন কোন সওয়ারী নেই, যা তাদের সাথে পালাক্রমে ছাড়া তাকে বহন করতে পারে।” জাবের (রা:) বলেন, সুতরাং আমি দু’জন অথবা তিনজনকে সাথে নিলাম। অন্যান্যদের মত আমার উটেও তাদের সাথে পালাক্রমে চড়তাম। [১৫]

১৬) উক্ত রাবী (রা:) হতে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) সফরে (সকলের) পিছনে চলতেন। তিনি দুর্বলকে চলতে সাহায্য করতেন এবং তাকে পিছনে বসিয়ে নিতেন ও তার জন্য দুআ করতেন। [১৬]

কোন সওয়ারী বা যানবাহনে চড়ার সময় দুআ

আল্লাহ তাআলা বলেন: যিনি সবকিছুর যুগলসমূহ সৃষ্টি করেছেন এবং নৌকা ও চতুষ্পদ জন্তুকে তোমাদের যানবাহনে পরিনত করেছেন। যাতে তোমরা ওদের পিঠে স্থিরভাবে বসে তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ স্মরন করতে পার, পবিত্র মহান তিনিই যিনি একে আমাদের বশীভূত ক’রে দিয়েছেন; যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সমর্থ ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তনকারী। [সুরা যুখরুফ ১২-১৪ আয়াত]

১৭) ইবনে উমার (রা:) হতে বর্নিত, রসূল (সা:) যখন সফরে বেরিয়ে উটের পিঠে স্থির হয়ে বসতেন, তখন তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ পড়ে এই দু’আ পড়তেন, ‘সুবহানাল্লাযী সাখ্ খারা লানা হা-যা অমা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন। অইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনক্বালিবুন। আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা সাফারানা হা-যাল বির্রা অত্তাক্বওয়া, অমিনাল আমালি মা তারয্বা। আল্লাহুম্মা হাওবিন আলাইনা সাফারানা হা-যা অত্ববি আন্না বু’দাহ। আল্রাহুম্মা আন্তাস সাহিবু ফিস সাফারি অলখালীফাতু ফিল আহল। আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন অ’সাইস সাফার আকাআবাতিল মানযার, অসূইল মুনক্বালাবি ফিল মা-লি অল আহলি অল অলাদ।’

অর্থাৎ, পবিত্র ও মহান যিনি একে আমাদের বশীভূত ক’রে দিয়েছেন যদিও আমরা একে বশীভুত করতে সমর্থ ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তনকারী। ওগো আল্লাহ! নিশ্চয় আমরা তোমার কাছে প্রার্থনা করছি আমাদের এই যাত্রায় পুন্যকর্ম, সংযমশীলতা এবং তোমার সন্তোষজনক কার্যকলাপ। হে আল্লাহ! আমাদের এ যাত্রাকে আমাদের জন্য সহজ ক’রে দাও। আমাদের থেকে ওর দূরত্ব গুটিয়ে নাও। হে আল্লাহ! তুমিই সফরের সঙ্গী। আর পরিবার পরিজনের জন্য (আমাদের) প্রতিনিধি। হে আল্লাহ! সফরের কষ্ট ও ক্লান্তি থেকে, ভয়ংকর দৃশ্য থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আর বাড়ি ফিরার সময় উক্ত দুআর সাথে এগুলিও পড়তেন, ‘আ-ইবূনা, তা-ইবূনা আ-বিদূনা, লিরাব্বিনা হা-মিদূন।’ [১৭]

১৮) আব্দুল্লাহ ইবনে সার্জিস (রা:) হতে বর্নিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সা:) যখন সফর করতেন, তখন তিনি সফরের কষ্ট থেকে, দুশ্চিন্তাজনক পরিস্থিতি থেকে বা অপ্রীতিকর প্রত্যাবর্তন, পূর্ণতার পর হ্রাস থেকে, অত্যাচারিতের বদ্দুআ থেকে, মাল-ধন ও পরিবারের ক্ষেত্রে অপ্রীতিকর দৃশ্য থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। [১৮]

১৯) আলী ইবনে রাবীআহ (রা:) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, আমি আলী ইবনে আবু ত্বালেব (রা:) এর নিকট হাজির ছিলাম। যখন তাঁর নিকট আরোহন করার উদ্দেশ্যে বাহন আনা হল এবং যখন তিনি বাহনের পাদানে স্বীয় পা রাখলেন তখন ‘বিসমিল্লাহ’ বললেন। অত:পর যখন তার পিঠে স্থির হয়ে সোজভাবে বসলেন তখন বললেন, ‘আমহামদু লিল্লাহিল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা ‍অমা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন। আইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনক্বালিবূন।’ অত:পর তিনবার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ পড়লেন। অত:পর তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ পড়লেন। অত:পর পড়লেন, ‘সুবহানাকা ইন্নী যালামতু নাফসী ফাগফিরলী, ইন্নাহু লা য়্যাগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আন্ত।’ অত:পর তিনি হাসলেন। তাঁকে জিঞ্জাসা করা হল, ‘হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি হাসলেন কেন?’ তিনি বললেন, ‘আমি নবী (সা:) কে দেখলাম, তিনি তাই করলেন, যা আমি করলাম। অত:পর তিনি হাসলেন। আমি প্রশ্ন করলাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আপনি হাসলেন কেন?’ তিনি বললেন, “তোমার মহান প্রতিপালক তাঁর সেই বান্দার প্রতি আশ্চর্যান্বিত হন, যখন সে বলে, ’ইগফিরলী যুনূবী’ (অর্থাৎ, আমার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দাও।) সে জানে যে, আমি (আল্লাহ) ছাড়া পাপরাশি আর কেউ মাফ করতে পারে না।” [১৯]

উঁচু জায়াগায় চড়ার সময় মুসাফির ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে এবং নীচু জায়গায় নামবার সময় ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে। ‘তকবীর’ ইত্যাদি বলার সময় অত্যন্ত উচ্চ:স্বরে বলা নিষেধ

২০) জাবের (রা:) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, আমরা (সফরে) যখন উঁচু জায়গায় চড়তাম তখন ‘আল্লাহু আকবার’ বলতাম এবং নীচু জায়গায় নামতাম, তখন ‘সুবহানাল্লাহ’ বলতাম। [২০]

২১) ইবনে উমার (রা:) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, নবী (সা:) ও তাঁর সেনা বাহিনী যখন উঁচু জায়গায় চড়তেন তখন ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন। আর যখন নিচু জায়গায় নামতেন তখন ‘সুবহানাল্লাহ’ বলতেন [২১]

২২) উক্ত রাবী (রা:) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, নবী (সা:) যখন হজ্জ কিম্বা উমরাহ সেরে ফিরে আসতেন, যখনই কোন পাহাড়ী উঁচু জায়গায় অথবা ঢিবিতে চড়তেন তখনই তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন। অত:পর তিনি বলতেন, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু অহুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। আ-ইয়বূনা তা-ইবূনা সা-জিদূনা লিরাব্বিনা হা-মিদূন। সাদাক্বাল্লাহু ওয়া’দাহ, অনাসারা আব্দাহ্, অহাযামাল আহযাবা অহদাহ।’

অর্থাৎ, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁরই সার্বোভৌম অধিকার, যাবতীয় প্রশংসা তাঁরই জন্য, আর তিনি প্রত্যেক বস্তুর উপর ক্ষমতাবান। আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তওবাকারী, ইবাদতগুযার, সাজদাহকারী, আমাদের প্রভুর প্রশংসাকারী। আল্লাহ তাঁর প্রতি্শ্রুতি সত্য প্রমানিত করেছেন, তাঁর বান্দাহকে মদদ করেছেন এবং একাই শত্রু বাহিনীকে পরাস্ত করেছেন। [২২]

মুসলিমের অন্য বর্ননায় আছে, যখন তিনি বড় অথবা ছোট অভিযান অথবা হজ্জ বা উমরাহ থেকে ফিরতেন-

২৩) আবূ হুরাইরা (রা:) হতে বর্নিত, এক ব্যক্তি নিবেদন করল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমি ইচ্ছা করেছি সফরে যাব আমাকে উপদেশ দিন।’ তিনি বললেন, “তুমি আল্লাহ-ভীতি অবলম্বন করো এবং প্রত্যেক উঁচু স্থানে নিয়মিত ‘আল্লাহু আকবার’ পড়ো।” যখন লোকটা পিছন ফিরে যেতে লাগল, তখন তিনি (তার জন্য দুআ ক’রে) বললেন, “আল্লাহুম্মাত্ববি লাহুল বু’দা অহাওবিন আলাইহিস সাফার।” অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তুমি ওর পথের দূরত্ব গুটিয়ে দিয়ো এবং ওর জন্য সফর আসান ক’রে দিয়ো। [২৩]

২৪) আবূ মূসা আশআরী (রা:) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, নবী (সা:) এর সাথে সফরে ছিলাম। আমরা যখন কোন উঁচু উপত্যকা চড়তাম তখন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার’ বলতাম। (একদা) আমাদের শব্দ উঁচু হয়ে গেল। নবী (সা:) তখন বললেন, “হে লোক সকল! তোমরা নিজেদের প্রতি নম্রতা পদর্শন কর। কেননা, তোমরা কোন বধির ও অনুপস্থিতকে ডাকছ না। তিনি তো তোমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। তিনি সর্বশ্রোতা ও নিকটবর্তী।” [২৪]

*(মহান আল্লাহ আরশে আছেন। কিন্তু তাঁর ঞ্জান, দৃষ্টি প্রভৃতি সর্বত্র আছে। সুতরাং তাঁকে শোনাবার জন্য এত উচ্চস্বরে তকবীর ইত্যাদি পড়া নিষ্প্রয়োজন।)

সফরে দুআ করা মুস্তাহাব

২৫) আবূ আব্দুল্লাহ (রা:) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “তিনজনের দুআ সন্দেহাতীতভাবে গৃহীত হয়: ১) নির্যাতিত ব্যক্তির দুআ, ২) মুসাফিরের দুআ এবং ৩) ছেলের জন্য মাতা-পিতার বদ্দুআ।” [২৫]

আবূ দাউদের বর্ননায়  “ছেলের জন্য” শব্দগুলি নেই। (অর্থাৎ, তাতে আছে, “পিতা-মাতার দুআ।”)

মানুষ বা অন্য কিছু থেকে ভয় পেলে কী দুআ পড়বে?

২৬) আবূ মূসা আশআরী (রা:) হতে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) যখন কোন শত্রুদলকে ভয় করতেন তখন এই দুআ পড়তেন, “আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআ’লুকা ফী নুহূরিহিম অনাঊযু বিকা মিন শুরূরিহিম।” অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমরা তোমাকে ওদের মুখামুখি করছি এবং ওদের অনিষ্টকারিতা থেকে তোমার নিকট পানাহ চাচ্ছি। [২৬]

কোন মঞ্জিলে (বিশ্রাম নিতে) অবতরন করলে সেখানে কী দুআ পড়বে?

২৭) খাওলা বিনতে হাকীম (রা:) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা:)-কে বলতে শুনেছি যে, “যে ব্যক্তি (সফরের) কোন মঞ্জিলে নেমে এই দুআ পড়বে, ‘আঊযু বিকালিমাতিল্লা-হিত্ তা-ম্মাতি মিন শার্রি মা খালাক্ব।’ (অর্থাৎ, আল্লাহর পরিপূর্ন বানীসমূহের অসীলায় তাঁর সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে আমি আশ্রয় চাচ্ছি।) তাহলে সে মঞ্জিল থেকে অন্যত্র রওনা হওয়া পর্যন্ত কোন জিনিস তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। [২৭]

প্রয়োজন পূরন হয়ে গেলে সফর থেকে অতি শীঘ্র বাড়ি ফিরা মুস্তাহাব

২৮) আবূ হুরাইরা (রা:) হতে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন, “সফর আযাবের অংশ বিশেষ। সফর তোমাদেরকে পানাহার ও নিদ্রা থেকে বিরত রাখে। সুতরাং যখন তোমাদের কারোর সফরের উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে যাবে, তখন সে যেন বাড়ি ফিরবার জন্য তাড়াতাড়ি করে।” [২৮]

সফর শেষে বাড়িতে দিনের বেলায় আসা উত্তম এবং অপ্রয়োজনে রাতের বেলায় ফিরা অনুত্তম

২৯) জাবের (রা:) হতে বর্নিত, রসূল (সা:) বলেন, “যখন তোমাদের কারের বিদেশের অবস্থান দীর্ঘ হবে, তখন সে যেন অবশ্যই রাত্রিকালে নিজ গৃহে না ফিরে।” [২৯]

অন্য এক বর্ননায় আছে, আল্লাহর রসূল (সা:) নিষেধ করেছেন যে, (মুসাফির) পুরুষ যেন স্ত্রীর কাছে রাতের বেলায় প্রবেশ না করে। (কেননা তাতে অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে। যেমন, স্ত্রীকে অপ্রীতিকর বা অবাঞ্জনীয় অবস্থায় দেখে দাম্পত্যে অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে অথবা স্ত্রী তার জন্য সম্পূর্ন অপ্রস্তুত থাকতে পারে ইত্যাদি। তবে পূর্বেই যদি আগমন বার্তা জানিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে রাতের বেলায় বাড়ি গেলে কোন ক্ষতি নেই।)

৩০) আনাস (রা:) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা:) সফর শেষে রাত্রিকালে স্বীয় বাড়ি ফিরতেন না। তিনি সকালে কিম্বা বিকালে বাড়ি আগমন করতেন।’ [৩০]

সফর থেকে বাড়ি ফিরার সময় এবং নিজ গ্রাম বা শহর দেখার সময় দুআ

৩১) আনাস (রা:) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, একদা আমরা নবী (সা:) এর সঙ্গে সফর থেকে ফিরে এলাম। পরিশেষে যখন মদীনার উপকন্ঠে এসে উপকন্ঠে এসে উপনীত হলাম, তখন তিনি এই দুআ পড়লেন, ‘আ-ইবূনা, তা-ইবূনা, আ-বিদূনা, লিরাব্বিনা হা-মিদূন। (অর্থাৎ, আমরা সফর থেকে প্রত্যাগমনকারী, তওবাকারী, উপাসনাকারী, আমাদের প্রভুর প্রশংসাকারী।) মদীনায় আগমন না করা পর্যন্ত তিনি এ দুআ অনবরত পড়তে থাকলেন। [৩১]

সফর থেকে বাড়ি ফিরে প্রথমে বাড়ির নিকটবর্তী কোন মসজিদে দু’রাকআত নফল নামায পড়া মুস্তাহাব

৩২) কা’ব ইবনে মালেক (রা:) হতে বর্নিত, ‘রাসূলুল্লাহ (সা:) যখন সফর থেকে বাড়ি ফিরতেন, তখন সর্বপ্রথম মসজিদে গিয়ে দু’রাকআত নামায পড়তেন।’ [৩২]

কোন মহিলার একাকিনী সফর করা হারাম

৩৩) আবূ হুরাইরা (রা:) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি যে নারী ঈমান রাখে, তার মাহরামের সঙ্গ ছাড়া একাকিনী এক দিন এক রাতের দূরত্ব সফর করা বৈধ নয়।” [৩৩]

৩৪) ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বর্নিত, তিনি নবী (সা:)-কে বলতে শুনেছেন যে, “কোন পুরুষ যেন কোন বেগানা নারীর সঙ্গে তার সাথে এগানা পুরুষ ছাড়া অবশ্যই নির্জনতা অবলম্বন না করে। আর মাহরাম ব্যতিরেকে কোন নারী যেন সফর না করে।”

এক ব্যক্তি আবেদন করল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমার স্ত্রী হজ্জ পালন করতে বের হয়েছে। আর আমি অমুক অমুক যুদ্ধে নাম লিখিয়েছি।’ তিনি বললেন, “যাও, তুমি তোমার স্ত্রীর সঙ্গে হজ্জ কর।” [৩৪]

*(যার সাথে চিরতরে বিবাহ হারাম তাকে মাহরাম বা এগানা বলা হয়; তার সাথে সফর বৈধ। বাকী যার সাথে কোনও সময় বিবাহ বৈধ, তাকে গায়র মাহরাম বা বেগানা বলা হয়। তার সাথে সফর করা বৈধ নয; এমনকি হজ্জের সফর হলেও নয়।)

অত্যাচারীদের সমাধি এবং তাদের ধ্বংস-স্থানের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় করনীয়

৩৫) ইবনে উমার (রা:) হতে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) সামূদ জাতির বাসস্থান হিজর (নামক) স্থানে পৌঁছে নিজ সাহাবীদেরকে বললেন, “তোমরা এ সকল শাস্তিপ্রাপ্তদের স্থানে প্রবেশ করলে কাঁদতে কাঁদতে (প্রবেশ) কর। যদি না কাঁদ, তাহলে তাদের স্থানে প্রবেশ করো না। যেন তাদের মত তোমাদের উপরেও শাস্তি না পৌঁছে যায়।” [সহীহুল বুখারী ৪৩৩, ৩৩৭৮, মুসলিম ২৯৮০]

অন্য এক বর্ননায় আছে, ইবনে উমার (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) হিজর অতিক্রম করার সময় বললেন, “তোমরা সেই লোকদের বাসস্থানে প্রবেশ করো না, যারা নিজেদের আত্মার প্রতি অত্যাচার করেছে। যেন তাদের মতো তোমাদের উপরও আযাব না পৌঁছে। কিন্তু কান্নারত অবস্থায় প্রবেশ করতে পার।” অত:পর রাসূলুল্লাহ (সা:) নিজ মাথা ঢেকে নিলেন এবং দ্রুত গতিতে উপত্যকা পার হয়ে গেলেন।

 


১। সহীহুল বুখারী ২৯৪৯, ২৭৫৮, ২৯৪৭, ২৯৪৮, ২৯৫০, ৩০৮৮, ৩৫৫৬, ৩৮৮৯, ৩৯৫১, ৪৪১৮, ৪৬৭৩, ৪৬৭৬, ৪৬৭৭, ৪৬৭৮, ৬২৫৫, ৬৬৯০, ৭২২৫, মুসলিম ২৭৬৯, তিরমিযী ৩১০২, নাসায়ী ৩৮২৪, ৩৮২৬, আবূ দাউদ ২২০২, ৩৩১৭, ৩৩১৯, ৩৩২১, ৬৪০০ আহমাদ ১৫৩৪৩, ১৫৩৪৫, ১৫৩৫৪

২। ইবনু মাজাহ ২২৩৬, আবূ দাউদ ২৬০৬, আহমাদ ১৫০১২, ১৫০১৭, ১৫১২৯, ১৫১৩০, দারেমী ২৪৩৫

৩। সহীহুল বুখারী ২৯৯৮, তিরমিযী ১৬৭৩, ইবনু মাজাহ ৩৭৬৮, আহমাদ ৪৭৩৭, ৫২৩০, ৫৫৫৬, ৫৬১৮, দারেমী ২৬৭৯

৪। আবূ দাউদ ২৬০৭, তিরমিযী ১৬৭৪, আহমাদ ৬৭০৯, মওয়াত্তা মালিক ‍১৮৩১

৫। আবূ দাউদ ২৬০৮

৬। আবূ দাউদ ২৬১১, তিরমিযী ১৫৫৫, দারেমী ২৪৩৮

৭। মুসলিম ১৯২৬, তিরমিযী ২৮৫৮, আবূ দাউদ ২৫৯৯, আহমাদ ৮২৩৭, ৮৭০০

৮। মুসলিম ৬৮৩, আহমাদ ২২০৪০, ২২১২৫

৯। আবূ দাউদ ২৫৭১

১০। আবূ দাউদ ২৬২৮, আহমাদ ২৭২৮২

১১। আবূ দাউদ ২৫৮৩, ২৫৮৪, তিরমিযী ১৬৯১, নাসায়ী ৫৩৭৪, দারেমী ২৪৫৭

১২। মুসলিম ৩৪২, ২৪২৯, আবূ দাউদ ২৫৪৯, ইবনু মাজাহ ২৪০, আহমাদ ১৭৪৭,দারেমী ৬৬৩, ৭৫৫

১৩। আবূ দাউদ ২৫৫১

১৪। আবূ দাউদ ১৬৬৩, আহমাদ ১০৯০০

১৫। আহমাদ ১৪৪৪৯, আবূ দাউদ ২৫৩৪

১৬। আবূ দাউদ ২৬৩৯

১৭। মুসলিম ১৩৪২, তিরমিযী ৩৪৪৭ আবূ দাউদ ২৫৯৯, আহমাদ ৬৩৩৮, দারেমী ২৬৭৩

১৮। মুসলিম ১৩৪৩, তিরমিযী ৩৪৩৯, নাসায়ী ৫৪৯৮, ৫৪৯৯, ৫৫০০, ইবনু মাজাহ ৩৮৮৮, আহমাদ ২০২৪৭, ২০২৫৭, দারেমী ২৬৭২

১৯। আবূ দাউদ ২৬০২, তিরমিযী ৩৪৪৬

২০। সহীহুল বুখারী ২৯৯৩, ২৯৯৪, আহমাদ ১৪১৫৮, দারেমী ২১৬৫, ২১৬৬, ২৬৭৪

২১। আবূ দাউদ ২৫৯৯, মুসলিম ১৩৪২, তিরমিযী ৩৪৪৭, আহমাদ ৬২৭৫, ৬৩৩৮, দারেমী ২৬৭৩

২২। সহীহুল বুখারী ১৭৯৭, ২৯৯৫, ৩০৮৪, ৪১১৬, ৬৩৮৫, মুসলিম ১৩৪৪, তিরমিযী ৯৫০, আবূ দাউদ ২৭৭০, আহমাদ ৪৪৮২, ৪৫৫৫, ৪৬২২, ৪৭০৩, ৪৯৪০, ৫২৭৩, ৫৭৯৬, ৬২৭৫, ৬৩৩৮, মুওয়াত্তা মালিক ৯৬০, দারেমী ২৬৮২

২৩। তিরমিযী ৩৪৪৫, ইবনু মাজাহ ২৭৭১

২৪। সহীহুল বুখারী ২৯৯২, ৬৩৮২, ৪২০৫, ৬৪০৯, ৬৬১০, ৭৩৮৬,মুসলিম ২৭০৪, তিরমিযী ৩৩৭৪, ৩৪৬১, আবূ দাউদ ১৫২৬ ইবনু মাজাহ ৩৮২৪ আহমাদ ১৯০২৬, ১৯০৭৮, ১৯১০২, ১৯১৫১, ১৯২৫৬

২৫। আবূ দাউদ ১৫৩৬, তিরমিযী ১৯০৫, ৩৪৪৮, ইবনু মাজাহ ৩৮৬২, আহমাদ ৭৪৫৮, ৮৩৭৫, ৯৮৪০, ১০৩৩০, ১০৩৯২

২৬। আবূ দাউদ ১৫৩৭, আহমাদ ১৯২২০

২৭। মুসলিম ২৭০৮, তিরমিযী ৩৪৩৭, ইবনু মাজাহ ৩৫৩৭, আহমাদ ২৬৫৭৯, ২৬৫৮৪, ২৬৭৬৫, দারেমী ২৬৮০

২৮। সহীহুল বুখারী ১৮০৪, ৩০০১, ৫৪২৯, মুসলিম ১৯২৭, ইবনু মাজাহ ২৮৮২, আহমাদ ৭১৮৪, ৯৪৪৭, ১০০৬৮, মুওয়াত্তা মালিক ১৮৩৫, দারেমী ২৬৭০

২৯। সহীহুল বুখারী ১৮০১, ৪৪৩, ২০৯৭, ২৩০৯, ২৩৮৫, ২৩৯৪, ২৪৭০, ২৬০৩, ২৬০৪, ২৭১৮, ২৮৬১, ২৯৬৭, ৩০৮৭, ৩০৮৯, ৩০৯০, ৪০৫২, ৫০৭৯, ৫০৮০, ৫২৪৩, ৫২৪৪, ৫২৪৫, ৫২৪৬, ৫২৪৭, ৫৩৬৭, ৬৩৮৭, মুসলিম ৭১৫, তিরমিযী ১১০০, নাসায়ী ৪৫৯০, ৪৫৯১, আবূ দাউদ ৪৩৪৭, ৩৫০৫, ৩৭৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৬০, আহমাদ ১৩৭১০, ১৩৭৬৪, ১৩৮১৪, ১৩৮২২, ১৩৮৯৪, দারেমী ২২১৬

৩০। সহীহুল বুখরী ১৮০০, মুসলিম ১৯২৮, আহমাদ ১১৮৫৪, ১২৭০৬, ১৩১৯৪

৩১। সহীহুল বুখারী ৩৭১, ৯৪৭, ১৮৬৭, ১৮৮৫, ২১৩০, ২২২৮. ২২৩৫. ২৮৮৯. ২৮৯৩. ২৮৪৫, ৩০৮৫, ৩০৮৬, ৪১৯৭, ৪১৯৮, ৪২০১, ৫২১১, ৪২১২, ৪২১৩, ৫০৮৫, ৫০৮৬, ৫১৫৯, ৫১৬৯, ৫৩৮৭, ৫৪২৫, ৬৩৬৩, মুসলিম ১৩৪৫, ১৩৬৫, ১৩৬৮, তিরমিযী ১০৯৫, ১১১৫, ১৫৫০, ৩৯২২, নাসায়ী ৫৪৭, ৩৩৪২, ৩৩৪৩, ৩৩৮০, ৩৩৮১, ৩৩৮২, ৪২৪০, আবূ দাউদ ২০৫৪, ২৯৯৫, ২৯৯৬, ২৯৯৭, ২৯৯৮, ৩০০৯, ৩৭৪৪, ইবনু মাজাহ ১০৯, ১৯০৯, ১৯১৬, ১৯৫৭, ২২৭২, আহমাদ ১১৫৪১, ১১৫৭৭, ১১৬৫৮, ১১৬৭৬, ১১৮০৭, ১২০১৩, ১২১০১, ১২২০৫, মুওয়াত্তা মালিক ৯০৮, ১০২০, ১১২৪, ১৬৩৬, ১৬৪৫, দারেমী ২২০৯, ২২৪২, ২২৪৩, ২৫৭৫।

৩২। সহীহুল বুখারী ২৭৫৮, ২৯৪৭, ২৯৪৮, ২৯৪৯, ৩০৮৮, ৩৫৫৬, ৩৮৮৯, ৩৮৫১, ৪৪১৮, ৪৬৭৩, ৪৬৭৬, ৪৬৭৮, ৬২৫৫, ৬৬৯০, ৭২২৫

৩৩। সহীহুল বুখারী ১০৮৮, মুসলিম ১৩৩৯, তিরমিযী ১০৭০, দাউদ ১৭২৩, ইবনু মাজাহ ২৮৯৯, আহমাদ ৭১৮১, ৭৩৬৬, ৮২৮৪, ৮৩৫৯, ৯১৮৫, ৯৩৭৪, ৯৮৪৮, ১০০২৯, মুওয়াজ মালিক ১৮৩৩

৩৪। সহীহুল বুখারী ৩০০৬, ১৮৬২, ৩০৬১, ৫২৩৩, মুসলিম ১৩৪১, ইবনু মাজাহ ২৯০০, আহমাদ ১৯৩৫, ৩২২১।

Print Friendly, PDF & Email
Banner Ad


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

1 COMMENT

  1. আস-সালামু আলাইকুম, আমার কিছু প্রশ্ন ছিল,
    ১. কতটুকু দূরত্ব অতিক্রম করলে সফর বলে গন্য হবে?
    ২. কততুকু দূরত্ব অতিক্রম করলে ক্বছরের সালাহ পড়া যাবে?
    ৩. মহিলাদের ক্ষেত্রে কততুকু দূরত্ব অতিক্রম করলে পুরুষ মাহরামের প্রয়োজন হবে?

    দয়া করে জানালে উপকৃত হব।

আপনার মন্তব্য লিখুন