ক্লান্তি বা বিরক্তি দূর করা [ আপনার অন্তরের অবস্থা পরিবর্তন করুন! ]

0
296

 tiredness

লেখক: ড. খালিদ আবু শাদি | অনুবাদক: হাসান মাসরুর

১. আজকের আলোচ্য বিষয়ের ফায়দা

  • ইবাদত বিভিন্ন ধরনের। আর তাই এর প্রতিদানও বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
  • যুগের বড় এক ব্যাধি অস্বস্তির বন্দী হতে হয় না।
  • বিভিন্ন ধরনের অবাধ্যতা নিয়ে শয়তানের আমাদের মাঝে অনুপ্রবেশের পথ বন্ধ হয়ে যায়।
  • আমি নফসকে বশ করে তাকে জান্নাতের দিকে পরিচালিত করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারব।

২. কুরআনের আলো

  • বনি ইসরাইল সর্বোত্তম খাবারে বিরক্তি প্রকাশ করল। কারণ, তারা সব সময় এই খাবার গ্রহণ করছিল। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন যে, তারা তখন বলেছিল, “আমরা কিছুতেই এক খাবারে ধৈর্যধারণ করতে পারব না।” [সুরা আল-বাকারা, ২ : ৬১]
  • খলিফা মামুন কখনো বসে, কখনো দাঁড়িয়ে এবং কখনো হেঁটে হেঁটে কুরআন তিলাওয়াত করতেন। এরপর স্থির হয়ে আল্লাহ তাআলার এই আয়াত পাঠ করতেন: “যারা দাঁড়ানো অবস্থায়, বসা অবস্থায় এবং শোয়া অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে।[সুরা আলি ইমরান, ৩ : ১৯১]

এই আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, মানুষ স্বভাবগতভাবেই অস্থিরতা অনুভব করে এবং সে অবস্থার পরিবর্তনে আগ্রহী। সে বিশাল অট্টালিকায় সবচেয়ে সুন্দর মানুষের সাথে সুখময় জীবন অতিবাহিত করলেও খুব দ্রুতই তাকে বিরক্তি পেয়ে বসবে।

  • জান্নাতে বিরক্তির বিষয়টি একদম অনুপস্থিত; যদিও জান্নাতবাসীরা সেথায় চিরস্থায়ীভাবেই থাকবে। জান্নাতবাসীদের চিরস্থায়ী হওয়ার সাথে সাথে তাদের বিলাসিতা ও স্বাদের ধরনের মাঝে পরিবর্তন ঘটবে। আল্লাহ তাআলা জান্নাতিদের আলোচনা করতে গিয়ে বলেন: “তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। কখনো (সেখান থেকে) স্থান পরিবর্তন কামনা করবে না।[সুরা আল-কাহফ, ১৮ : ১০৮]
  • আল্লাহ তাআলা যেহেতু আমাদের স্বভাব-প্রকৃতি সম্পর্কে জানেন, তাই তিনি নিজ রহমত ও অনুগ্রহে বিভিন্ন ধরনের জিনিস সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: “এই মৌমাছির পেট থেকে বিভিন্ন ধরনের পানীয় (মধু) বের হয়।” [সুরা আন-নাহল, ১৬ : ৬৯]

আল্লাহ তাআলা ফসলের ব্যাপারে বলেন: “একাধিক শির-বিশিষ্ট ও এক শির-বিশিষ্ট (খেজুর গাছ)।” [সুরা আর-রাদ, ১৩ : ৪]

তিনি আরও বলেন: “(ফলগুলোর) কোনোটি অন্য কোনোটির মতো এবং কোনোটি অন্য কোনোটি থেকে ভিন্ন।” [সুরা আল-আনআম, ৬ : ৯৯]

জড়বস্তুর ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন: “আর পাহাড়ের মধ্যে আছে সাদা, লাল বিভিন্ন বর্ণের গিরিপথ এবং (কিছু) নিকষ কালো।” [সুরা ফাতির, ৩৫ : ২৭]

এমনকি আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য যে দিনগুলো তৈরি করেছেন, তাও এক রকম থাকে না। পবিত্র কুরআনে তিনি বলেন: “আর এই দিনগুলো আমি মানুষের মধ্যে অদলবদল করি।” [সুরা আলি ইমরান, ৩ : ১৪০]

৩. রাসুল (সা:) আমাদের আদর্শ

  • রাসুল (সা:) আমাদের সামনে অগণিত আনুগত্যের দরজা এবং ইবাদতের ভান্ডার খুলে দিয়েছেন। তিনি হলেন আমাদের জন্য বাস্তবিক আদর্শ।
  • রাসুল (সা:) আমাদেরকে নফসের ওপর সাধ্যের বাইরে কোনো জিনিস চাপিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। এর মাধ্যমে নফস থেকে ক্লান্তি বা বিরক্তি দূর করেছেন। তিনি বলেন: ‘তোমাদের কেউ তার প্রাণবন্ত থাকা পর্যন্ত সালাত আদায় করা উচিত। যখন সে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখন যেন সে বসে পড়ে।‘ [সুনানু আবি দাউদ : ১৩১২]

এর ফলে শরীর ও নফস উভয়ই আরামবোধ করবে। কারণ, নফসের অভ্যাস হলো সে নিজের সংকল্পকে নতুন করে এবং সামনের ইবাদতের জন্য নিজেকে পরিপূর্ণ প্রস্তুত করে নেয়।

  • রাসুল (সা:) যাদেরকে এই উপদেশের বিপরীত করতে দেখেছেন, তাদেরকে নিষেধ করেছেন। আয়িশা (রা:) থেকে বর্ণিত যে: ‘নবিজি (সা:) তার কাছে প্রবেশ করলেন, তখন তার কাছে একজন মহিলা ছিল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে এই মহিলা?’ আয়িশা (রা:) বললেন, ‘অমুক’। তিনি তার সালাতের বিবরণও দিলেন। নবিজি (সা:) বললেন, ‘থামো, তোমরা যতটুকু সামর্থ্য রাখো, ততটুকুই তোমাদের আমল করা উচিত। আল্লাহর শপথ, আল্লাহ তাআলা ততক্ষণ পর্যন্ত (সাওয়াব দিতে) বিরত হন না, যতক্ষণ না তোমরা নিজেরা পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ো। আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দনীয় আমল সেটাই, যা আমলকারী নিয়মিত করে থাকে।‘ [সহিহুল বুখারি: ৪৩, সহিহু মুসলিম: ৭৮৫]
  • রাসুল (সা:) আমাদেরকে এই বাস্তবতার ব্যাপারে সংবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেন:  প্রতিটি আমলের উদ্যম আছে এবং প্রত্যেক উদ্যমের আছে নিরুদ্যমতা। সুতরাং যার নিরুদ্যমতা আমার সুন্নাহর গণ্ডির ভেতরে থাকে, সে হিদায়াত পেল। আর যার নিরুদ্যমতা এ ছাড়া অন্য কিছুতে অতিক্রম করে, সে ধ্বংস হয়ে গেল।[আস-সুন্নাহ লি ইবনি আবি আসিম: ৫১, মুসনাদু আহমাদ: ৬৯৫৮, সহিহু ইবনি হিব্বান: ১১]

হাদিসে দুটি অবস্থার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে:

সামনে অগ্রসর হওয়ার অবস্থা: নফল বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেমন: নফল সিয়াম, কিয়ামুল লাইল, গোপনে দান ইত্যাদি।

পিছিয়ে পড়ার অবস্থা: আমরা শুধু ফরজগুলোই আঁকড়ে ধরব। ফরজে কখনো ঘাটতি করব না। কিন্তু অনেক সময় নফল ছেড়ে দেবো। আর এই পরিত্যাগের ফলে আমরা প্রতিদান থেকে বঞ্চিত হব; কিন্তু শাস্তি আবশ্যক হবে না। কিন্তু যদি ফরজ ছেড়ে দিই, তাহলে শাস্তি আবশ্যক হয়ে পড়বে। সুতরাং ফরজ যেন মাড়ির দাঁত দিয়ে আঁকড়ে ধরি৷ 

৪. অমূল্য বাণী

  • আবু দারদা (রা:) বলতেন, ‘আমি ইচ্ছে করেই বাতিলের কিছু বিষয়ে মনোযোগ দিই, যেন তার মাধ্যমে সত্যের ব্যাপারে সাহায্য গ্রহণ করতে পারি।’
  • আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রা:) বলেন, “নিশ্চয় হৃদয়গুলোর উদ্যম ও অগ্রসরতা রয়েছে এবং অবসন্নতা ও পশ্চাদপসরণতাও রয়েছে। সুতরাং উদ্যম ও অগ্রসরতার সময় তাকে গনিমত মনে করো, আর অবসন্নতা ও পশ্চাদপসরণতার সময় তাকে ছেড়ে দাও।’

৫. একটি চমৎকার কাহিনি

একদা আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রা:) অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তাঁর এক সঙ্গী তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করল। তিনি তখন কাঁদতে লাগলেন। তাকে ভর্ৎসনা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তো অসুস্থতার কারণে কাঁদছি না। কেননা, আমি রাসুল (সা:)-এর কাছ থেকে শুনেছি, “অসুস্থতা হলো গুনাহের কাফফারাস্বরূপ।” কিন্তু আমি কাঁদছি এই জন্য যে, আমার দুর্বলতার সময়ে আমাকে অসুস্থতা পেয়ে বসেছে। সবলতার সময়ে নয়। কারণ বান্দা যখন অসুস্থ হয়, তখন তার জন্য এমনভাবে প্রতিদান লিপিবদ্ধ হতে থাকে, যা তার অসুস্থতার পূর্বে (আমলের কারণে) লেখা হতো—যে আমলের জন্য অসুস্থতা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।‘ [সহিহুল জামি: ৭৯৯]

আর এটি এ কারণে যে, নবিজি (সা:) বলেছেন: ‘যখন কোনো বান্দা অসুস্থ হয়ে পড়ে বা সফরে থাকে, তখন তার জন্য সুস্থ ও মুকিম থাকা অবস্থায় কৃত আমলের সাওয়াব লেখা হয়ে থাকে।‘ [সহিহুল বুখারি: ২৯৯৬]

যখন অসুস্থতার কারণে নির্ধারিত ইবাদত বন্ধ হয়ে গেল, তখন তিনি তাঁর সাওয়াব ও প্রতিদান ছুটে যাওয়ার ভয়ে কাঁদতে লাগলেন।

৬. রমাদানে ক্লান্তি

রমাদানে বিরক্তি বা ক্লান্তির কোনো অস্তিত্ব নেই। আর কীভাবেই বা বিরক্তি আসবে, যখন আপনি বিভিন্ন ধরনের ইবাদতের স্বাদ আস্বাদন করছেন। রাতে সালাতে দাঁড়াচ্ছেন এবং দিনে সিয়াম পালন করছেন। কুরআন খতম করছেন। দরিদ্র লোকদের সদাকা দিচ্ছেন। রমাদানে বিভিন্ন ধরনের ইবাদত আছে। যার কিছু ব্যক্তিগত এবং কিছু সমষ্টিগত। তেমনিভাবে কিছু ইবাদত আছে শারীরিক এবং কিছু আছে অর্থনৈতিক। এত ধরনের ইবাদতের মাঝে যদি বিরক্তি আসে, তাহলে তা ধরাশয়ী হয়ে যাবে। সাধারণত রমাদানে এর কোনো অস্তিত্বই পাওয়া যায় না।

৭. আজ উদ্যমের সূর্য ডুবে গেছে

বর্তমানে মানুষ উদ্যম হারিয়ে অবসন্নতায় ডুবে আছে। যার ফলে তারা নিম্নোক্ত ক্ষতির শিকার হচ্ছে:

  • অবাধ্যতায় লিপ্ত হওয়া: অবসন্নতা এমন যেকোনো কাজে লাগিয়ে দিতে পারে, যা সময় খেয়ে ফেলবে। শয়তান এই সুযোগকে গনিমত মনে করবে। অবাধ্যতায় লিপ্ত করবে এবং মানুষকে সে নতুন নতুন গুনাহে লিপ্ত করবে। তারা তো পূর্বের পুরাতন গুনাহগুলো করতে করতে বিরক্ত হয়ে গেছে।
  • জান-মালের ক্ষতি: জীবন সম্পদের চেয়ে দামি। তা নষ্ট করা হলো চিরস্থায়ী জীবনকে নষ্ট করা, জান্নাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করা, জাহান্নামের হতভাগ্যতা ক্রয় করা। অবসন্নতা কখনো সময়ের হিফাজত করে না। জীবনের গুরুত্ব সে ভুলে যায়। ফলে তা বিনষ্ট হয়।
  • ব্যর্থতা তৈরি হওয়া এবং আশাগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া: সাধনা, গবেষণা, আগ্রহ ও অনুসরণের প্রবণতা কমে যায়। সুতরাং সে যদি একজন ছাত্র হয়, তাহলে নিজের শিক্ষায় অবহেলা করে, কোনো চাকরিজীবী হলে নিজের দায়িত্বে অবহেলা করে। যদি স্ত্রী হয়, তাহলে নিজের স্বামী বা সন্তানের

ব্যাপারে অবহেলা করে। আর ধনী হলে নিজের সম্পদকে তুচ্ছ বিষয়ে ব্যবহার করে। যদি এই তুচ্ছ বিষয়গুলো ধ্বংসাত্মক না হয়, তাহলে তো ভালো!

৮. দুআ

  • হে আল্লাহ, আমাদের হৃদয়ে ইমানকে দৃঢ় করে দিন।
  • হে আল্লাহ, আপনি আমাদেরকে দান করার পর তা ছিনিয়ে নেওয়া থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
  • হে আল্লাহ, হিদায়াতের পর ভ্রষ্টতা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং উদ্যমের পর অবসন্নতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং আনুগত্যের পর অবাধ্যতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
  • হে আল্লাহ, অবসন্ন অবস্থায় আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না এবং উদাসীন অবস্থায় মৃত্যু দেবেন না।
  • হে আল্লাহ, আমাদের শেষ আমল যেন হয় সর্বোত্তম আমল আর আপনার সাক্ষাতের দিনকে আমাদের জন্য সর্বোত্তম দিন বানান

৯. স্বার্থপর হবেন না

  • আপনার পার্শ্ববর্তী যারা আছে, তাদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের ইবাদত ছড়িয়ে দিন এবং হারাম ও ধ্বংসাত্মক জিনিস থেকে দূরে থেকে নিজেদের সময়কে ইবাদত ও বৈধ কাজে ব্যয় করার সুরত দেখিয়ে দিন।
  • কথাগুলো আপনার মসজিদের মুসল্লি ও আপনার সহপাঠী-সহকর্মীদের মাঝে আলোচনা করুন।
  • এই বইটি নিজে পাঠ করে অন্যদেরকেও পড়তে দিন; যেন তারা এর থেকে উপকৃত হতে পারে।
  • মসজিদের ইমামকেও বইটি হাদিয়া দিতে পারেন; যেন তিনি জুমআর খুতবা বা তারাবিহ-পরবর্তী আলোচনায় এর থেকে ফায়দা গ্রহণ করতে পারেন।

১০. যথেষ্ট কথা হয়েছে, এখন আমল দেখার বিষয়

  • নফসের উদ্যমের সময় আমি তাকে নফল আদায়ে বাধ্য করব এবং যখন ক্লান্তি এসে যায়, তখন শুধু ফরজগুলোর ব্যাপারে যত্নশীল হব।
  • ক্লান্তি ও অবসন্নতার সময় আমি নেককারদের সুহবত গ্রহণ করব। এই সুহবত আমার একাকিত্বের সঙ্গী হবে, আমার প্রবৃত্তিকে হত্যা করবে এবং শয়তান থেকে আমাকে উদ্ধার করবে।
  • আমার পুরো সময়কে কাজে লাগিয়ে রাখব; যেন এমন কোনো সুযোগ তৈরি না হয়, যার ফলে আমাকে ক্লান্তি পেয়ে বসবে এবং তা আমাকে অবাধ্যতার দিকে ধাবিত করবে।
  • আমার ইবাদতগুলো ভাগ করে নেব। শুধু এক ধরনের ইবাদতে নিজেকে সীমাবদ্ধ করে রাখব না; যেন মানবিক ক্লান্তির পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে আমার জন্য উপকারী হলো, ইলম ও ইবাদতের অধ্যায়গুলো পাঠ করা ।

উৎস: রমাদান-আত্মশুদ্ধির বিপ্লব, পৃষ্ঠা: ১১৪ – ১২২

Print Friendly, PDF & Email


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

আপনার মন্তব্য লিখুন