সন্তুষ্টি [ আপনার অন্তরের অবস্থা পরিবর্তন করুন ]

0
251

 satisfaction

লেখক: ড. খালিদ আবু শাদি | অনুবাদক: হাসান মাসরুর

১. আজকের আলোচ্য বিষয়ের ফায়দা

  • বান্দা সর্বাবস্থায় আল্লাহ তাআলার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে। সর্বাবস্থায় আল্লাহ তাআলার প্রতি সন্তুষ্টি বৃদ্ধি করবে।
  • সন্তুষ্টি আত্মাকে প্রশান্ত রাখে এবং অন্তরকে স্থিরতা দান করে। বান্দা এর মাধ্যমে প্রশান্তি ও স্থিরতা অনুভব করবে। আর এটিই দুনিয়ার জান্নাত।
  • এর বিপরীতে অসন্তুষ্টি হলো চিন্তা, পেরেশানি, দুশ্চিন্তা, মন ভেঙে যাওয়া, হৃদয়ের অশান্তি ও অবস্থার অবনতি।
  • সন্তুষ্টি শোকরের ফলাফল বয়ে আনে, যা ইমানের সর্বোচ্চ পর্যায়। বরং এটিই হলো ইমানের বাস্তবতা। কারণ, চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো মাওলার শোকর আদায় করা। আর ওই ব্যক্তি আল্লাহর শোকর আদায় করতে পারে না, যাকে আল্লাহ যা দিয়েছেন, তাতে সে সন্তুষ্ট নয়।
  • সন্তুষ্টি অন্তরের কামনা দূর করে দেয়। সন্তুষ্টি অর্জনকারী ব্যক্তির কামনাবাসনা আল্লাহ তাআলা যা চান এবং যা পছন্দ করেন, তার অনুগামী হয়ে থাকে এবং আল্লাহ যা অপছন্দ করেন, তার মনও সেটিকে অপছন্দ করে। একই হৃদয়ে সন্তুষ্টি ও প্রবৃত্তির অনুসরণ একত্রিত হতে পারে না।
  • সন্তুষ্টির ফলে হৃদয় ধোঁকা, প্রতারণা ও হিংসা থেকে মুক্ত থাকে। আর আল্লাহ তাআলার আজাব থেকে সে-ই মুক্তি পাবে, যে নিরাপদ হৃদয় নিয়ে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হবে।
  • সন্তুষ্টি হলো ভালোবাসার পরীক্ষা : দুরবস্থার সময়ই প্রকৃত ভালোবাসার ব্যক্তিকে চেনা যায়। সুখের সময় এটি চেনা যায় না।

২. কুরআনের আলো

আল্লাহ তাআলা বলেন: “যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তিনি তার অন্তরকে সৎপথ প্রদর্শন করেন।” [সুরা আত-তাগাবুন, ৬৪ : ১১]

আলকামা (রা:) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘এর অর্থ হলো, কোনো ব্যক্তির ওপর মুসিবত আপতিত হলে সে মনে করে যে, এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে। ফলে সে আল্লাহর ফয়সালার সামনে আত্মসমর্পণ করে এবং এর প্রতি সন্তুষ্ট থাকে।’

আল্লাহ তাআলা বলেন: “আমি অবশ্যই তাকে উত্তম জীবন দান করব।” [সুরা আন-নাহল, ১৬ : ৯৭]

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আবু মুআবিয়া (রা:) বলেন, ‘এটি হলো সন্তুষ্টি ও অল্পেতুষ্টি।’

৩. রাসুল (সা:) আমাদের আদর্শ

রাসুল (সা:) বলেন: যে আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদকে রাসুল হিসেবে সন্তুষ্ট হয়েছে, সে ইমানের স্বাদ আস্বাদন করেছে।‘  [সহিহু মুসলিম: ৩৪]

‘আত-তাহরির’ গ্রন্থের লেখক বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে সন্তুষ্ট হয়েছি, এ ব্যাপারে পরিতুষ্ট হয়েছি এবং এর ভিন্ন কিছু প্রত্যাশা করি না।’ হাদিসের অর্থ হলো, ‘সে আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো রব খোঁজে না এবং ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্মের অনুগামী হয় না। সে শুধু সে পথেই চলে, যা মুহাম্মাদ (সা:) এ-এর শরিয়ার অনুগামী। আর এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, যার মাঝে বর্ণিত গুণাবলি থাকবে, সে তার হৃদয়ে ইমানের মিষ্টতা অনুভব করবে এবং তার স্বাদ আস্বাদন করতে পারবে।

কাজি ইয়াজ (রা:) বলেন, ‘হাদিসের অর্থ হলো তার ইমান বিশুদ্ধ হয়েছে এবং এ ব্যাপারে তার হৃদয়ও প্রশান্ত হয়েছে, তার অভ্যন্তরীণ অবস্থাও প্রশান্ত হয়েছে। কারণ, উল্লেখিত সন্তুষ্টি তার জ্ঞান, দূরদর্শিতা এবং তার আত্মিক স্বচ্ছতার প্রমাণ । কারণ, যে কোনো বিষয়ে রাজি হয়ে যায়, তার জন্য ওই বিষয়টি সহজ হয়ে যায়। মুমিনের অবস্থাও এমনই। যখন তার হৃদয়ে ইমান প্রবেশ করে, তখন তার জন্য আনুগত্য করা সহজ হয়ে যায় এবং ইমান তার জন্য সুমিষ্ট হয়ে যায়।’

৪. অমূল্য বাণী

  • উমর বিন খাত্তাব (রা:) বলেন, ‘আমি যেকোনো পরিস্থিতির শিকার হই না কেন, তার ব্যাপারে পরোয়া করি না; চাই তা আমার পছন্দনীয় অবস্থা হোক কিংবা অপছন্দনীয় অবস্থা হোক। কারণ, আমি জানি না যে, আমার জন্য কল্যাণ আমার পছন্দনীয় জিনিসে নাকি অপছন্দনীয় জিনিসে?’
  • হাসান (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যে আল্লাহর পক্ষ থেকে স্বল্প রিজিকে তুষ্ট হয়েছে, আল্লাহ তাআলা তার স্বল্প আমলে তুষ্ট হবেন।’
  • হাসান (রা:) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাকে যা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট, আল্লাহ তাআলা তার জন্য তাতে প্রশস্ততা ও বরকত দেবেন। আর যে ব্যক্তি তাতে সন্তুষ্ট থাকবে না, আল্লাহ তাতে প্রশস্ততা দেবেন না এবং তার জন্য তাতে বরকতও রাখবেন না।’
  • উমর বিন আব্দুল আজিজ (রা:) বলেন, ‘আমার আনন্দ শুধু তাকদিরের বিষয়গুলোতেই সীমাবদ্ধ।’ তাকে বলা হলো, ‘আপনার পছন্দ কী?’ তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা যা ফয়সালা করেন।’
  • ইবনে মাসউদ (রা:) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা নিজের ন্যায় ও ইনসাফের মাধ্যমে আনন্দ ও আত্মাকে ইয়াকিন ও সন্তুষ্টির ভেতরে রেখে দিয়েছেন। আর পেরেশানি ও দুশ্চিন্তাকে রেখেছেন সন্দেহ ও অসন্তুষ্টির ভেতরে। সুতরাং সন্তুষ্টি হলো, সে সুখ বা দুঃখের যে পর্যায়ে আছে, তা থেকে ভিন্ন কিছু প্রত্যাশা না করা।
  • আব্দুল ওয়াহিদ বিন জাইদ (রা:) বলেন, সন্তুষ্টি হলো, মহান আল্লাহর দরজা এবং দুনিয়ার জান্নাত এবং আবিদদের প্রশান্তির জায়গা।

৫. কিছু চমৎকার কাহিনি

  • মাসরুক (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘মরু অঞ্চলে কিছু লোক বাস করত। তাদের একটি কুকুর, একটি গাধা এবং একটি মোরগ ছিল ৷ মোরগ তাদেরকে সালাতের জন্য জাগিয়ে দিত। গাধা তাদের জন্য পানি বহন করত এবং তাদের তাঁবু টানত। আর কুকুর তাদেরকে পাহারা দিত। হঠাৎ একদিন একটি শিয়াল এসে তাদের মোরগটি নিয়ে গেল। মোরগটি হারিয়ে তারা পেরেশান হয়ে গেল। তাদের মাঝে জনৈক নেককার লোকও ছিলেন। তিনি বললেন, “হয়তো এতে কোনো কল্যাণ রয়েছে।”

তারা এভাবে বাস করতে থাকলেন যতদিন আল্লাহ চাইলেন। এরপর একদিন একটি নেকড়ে আসলো এবং গাধাটির পেটে আঘাত করে তাকে ফেঁড়ে ফেলল। গাধাটিকে নেকড়ে হত্যা করে ফেলল। এবার তারা গাধা হারিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল। নেককার লোকটি বললেন, “হয়তো এতে কোনো কল্যাণ রয়েছে।” এরপর তারা যতদিন আল্লাহ চাইলেন, এভাবে বাস করতে থাকলেন। এর কিছু দিন পর আবার তাদের কুকুরটি আক্রান্ত হলো। তখন নেককার লোকটি বললেন, “হয়তো এতে কোনো কল্যাণ রয়েছে।” এরপর আল্লাহ যতদিন চাইলেন, তারা অবস্থান করতে থাকল।

হঠাৎ একদিন সকালে তারা দেখল যে, তাদের শত্রুপক্ষ তাদের আশপাশের সকলকে বন্দী করে ফেলেছে এবং শুধু তাদেরকেই বাকি রেখেছে। শত্রুপক্ষ তাদের ছাড়া অন্যদেরকে গ্রেফতারের কারণ হলো, অন্য লোকদের কাছে শব্দ ও শোরগোল করার মতো জিনিস ছিল। যা এই লোকদের কাছে ছিল না। কেননা, এদের কুকুর, মোরগ ও গাধা (হঠাৎ আওয়াজ করে উঠবে) এমন সব আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে।’

  • ইমরান বিন হুসাইন (রা:) নিজের কষ্টের কথা ব্যক্ত করলে তার জনৈক প্রতিবেশী তার কাছে আগমন করল। তিনি তাকে তার সেবায় মন্থর দেখতে পেলেন। তখন সে বলল, ‘হে আবু নুজাইদ, আমাকে যে জিনিসটি আপনার সেবা করতে বারণ করছে, তা হলো আমি আপনার মাঝে কোনো ক্লান্তি দেখতে পাচ্ছি না।’ তিনি বললেন, ‘তুমি সেবা করো না। কেননা, আমার কাছে তা-ই পছন্দনীয়, যা আল্লাহ তাআলার কাছে পছন্দনীয়। তুমি আমার অবস্থা দেখে হতাশ হয়ে যেয়ো না। আমার অতীতের গুনাহের শাস্তির ব্যাপারে তোমার কী অভিমত! আর এখন আমি আল্লাহ তাআলার কাছে বাকি জীবনের জন্য ক্ষমার আশা করি। কারণ, তিনি বলেছেন, ‘তোমরা যে মুসিবতে পতিত হও, তা তোমাদের হাতের কামাই এবং তিনি অনেক কিছু ক্ষমা করে দেন।’

৬. রমাদানে সন্তুষ্টি

  • রমাদান হলো বাস্তবিক এক শিক্ষক, যেখানে কার্যকর পদ্ধতিতে সন্তুষ্টির অনুশীলন করা হয়। আপনি এখানে পুরো দিন পানাহার থেকে বিরত থেকে সন্তুষ্ট রয়েছেন এবং এত গরম ও ক্লান্তি সত্ত্বেও সাওয়াবের আশায় সন্তুষ্টচিত্তে কষ্ট সহ্য করছেন। আপনার আশা হলো আল্লাহর কাছে থাকা প্রতিদান এবং সাওয়াব অর্জন। এই বিষয়টি কেন রমাদানের পর আমাদের হৃদয়ে বাকি থাকে না। যদি তা রমাদানের পরে বাকি থাকত, তাহলে একই সাওয়াব ও প্রতিদানের আশায় আল্লাহর ফয়সালার ব্যাপারে সন্তুষ্ট থাকতাম।

৭. দুআ

  • হে আল্লাহ, আমাকে আপনার ফয়সালার ব্যাপারে সন্তুষ্ট রাখুন। আপনার নির্ধারিত তাকদিরে আমাকে বরকত দান করুন। যেন আমি আপনার পিছিয়ে দেওয়া কোনো বিষয়ে তাড়াহুড়া না করি এবং আপনি যে জিনিসকে দ্রুত দিতে চাচ্ছেন, তাকে বিলম্বিত করা পছন্দ না করি।
  • হে আল্লাহ, সৃষ্টির ওপর আপনার ক্ষমতা এবং আপনার অদৃশ্যের ইলমের মাধ্যমে যতক্ষণ আমার জীবনে কল্যাণ বাকি থাকবে, ততক্ষণ আমাকে জীবিত রাখুন এবং যখন আমার মৃত্যুতে কল্যাণ, তখন আমাকে মৃত্যু দান করুন।
  • হে আল্লাহ, আপনার ফয়সালার পর তার প্রতি আমার সন্তুষ্টি দান করুন।

৮. যথেষ্ট কথা হয়েছে, এখন আমল দেখার বিষয়

  • আজকের পর থেকে আমি আর কখনোই মানুষকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে আল্লাহ তাআলাকে অসন্তুষ্ট করব না। স্রষ্টার অবাধ্য হয়ে সৃষ্টির কোনো আনুগত্য নেই। মানুষের সন্তুষ্টি প্রত্যাশা করা হলো, দারিদ্র্যের আলামত। যে মানুষের সন্তুষ্টি অন্বেষণ করে, সে আল্লাহর অসন্তুষ্টিতে পতিত হয়। আর যে আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করে, সে মানুষ থেকে তার আশা ছেড়ে দিয়েছে।
  • আল্লাহ তাআলা আমার ব্যাপারে যে ফয়সালা করেছেন, সে ব্যাপারে আমি কখনোই আপত্তি করব না। আর এ বিশ্বাস রাখব যে, আল্লাহ আমার জন্য যা ফয়সালা করেছেন, তা-ই আমার জন্য কল্যাণকর। হয়তো অনেক জিনিস আমরা অপছন্দ করি; কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাতে অনেক কল্যাণ রেখে দিয়েছেন।
  • আমার থেকে ওপরে যে আছে, তার প্রতি হিংসুক হয়ে তাকাব না। আর আমার থেকে ছোট যে আছে, তার প্রতি অহংকারী হয়ে তাকাব না।

৯. সন্তুষ্টির সূর্য ডুবে গেছে

আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত তাকদিরের ওপর আপত্তি করা এবং অসন্তুষ্ট হওয়ার মতো ব্যাধি অনেকের মাঝে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমন ব্যক্তিরা ভেতরে ভেতরে প্রতিশোধপরায়ণ; যদিও তারা মুখে বলে না, কিন্তু বাস্তবিকই তারা খুব ক্রোধান্বিত। তাদের অন্তরে অনেক আপত্তি ও প্রশ্ন থেকে যায়। তার প্রশ্ন, কেন এমনটি হলো? এটি কীভাবে হয়েছে?…

  • অসন্তুষ্টি আল্লাহ তাআলা, তাঁর ফয়সালা এবং তাকদির, হিকমত ও ইলমের ব্যাপারে সন্দেহের দুয়ার খুলে দেয়। অসন্তুষ্ট ব্যক্তির হৃদয় খুব কমই সন্দেহ থেকে মুক্ত থাকে। ফলে সে নিরাপদ হৃদয় নিয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করতে পারে না
  • অসন্তুষ্টি দুনিয়াতে পরিতাপের জন্ম দেয়। আর এটি পরীক্ষিত বিষয়। আর আখিরাতের অনুশোচনা তো আরও বেশি। কারণ, আপনি দুনিয়াতে আল্লাহর প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়ার কারণে আখিরাতে আল্লাহ আপনার প্রতি অসন্তুষ্ট হবেন।

১০. স্বার্থপর হবেন না

  • ওই সব আজকারের ব্যাপারে যত্নশীল হোন, যা বান্দাকে তাকদিরের ব্যাপারে সন্তুষ্ট থাকতে সাহায্য করবে।
  • কথাগুলো আপনার মসজিদের মুসল্লি ও আপনার সহপাঠী-সহকর্মীদের মাঝে আলোচনা করুন।
  • এই বইটি নিজে পাঠ করে অন্যদেরকেও পড়তে দিন; যেন তারা এর থেকে উপকৃত হতে পারে।
  • মসজিদের ইমামকেও বইটি হাদিয়া দিতে পারেন; যেন তিনি জুমআর খুতবা বা তারাবিহ-পরবর্তী আলোচনায় এর থেকে ফায়দা গ্রহণ করতে পারেন।

উৎস: রমাদান-আত্মশুদ্ধির বিপ্লব, পৃষ্ঠা: ১৮৭ – ১৯৪

Print Friendly, PDF & Email
Banner Ad


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

আপনার মন্তব্য লিখুন