লেখক: ড. খালিদ আবু শাদি | অনুবাদক: হাসান মাসরুর
১. আজকের আলোচ্য বিষয়ের ফায়দা
- আল্লাহ তাআলার ক্ষমা ও দয়া: তিনি বলেন: “তাদের ক্ষমা করা উচিত এবং দোষত্রুটি উপেক্ষা করা উচিত। তোমরা কি কামনা করো না যে, আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করেন?” [সুরা আন-নুর, ২৪ : ২২]
- আল্লাহ তাআলা আপনার হৃদয়ের স্বচ্ছতা পর্যবেক্ষণ করছেন, এতটুকুই আপনার জন্য যথেষ্ট।
- নফসের ওপর বিজয় লাভ করা এবং তার ওপর কঠোর হওয়া। যে বান্দাই নফসের ওপর কঠোর হয়, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি সদয় হন। আর যে আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাআলা তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন ৷
- বড় বড় কাজের জন্য নিজেকে অবসর করে নেওয়া। তুচ্ছ কোনো বিষয়ের সামনে দাঁড়ানোর জন্য বড়দের হাতে কোনো সময় থাকে না।
- একতা, প্রতিভা এবং বিচ্ছিন্ন হওয়া থেকে বেঁচে থাকার শক্তি অর্জন করা।
- আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত প্রাপ্তির মাধ্যমে নিজেকে সফল করা।
নবিজি (সা:) বলেন: ‘যে ব্যক্তি তার রাগ প্রয়োগের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সংযত থাকে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সকল সৃষ্টিকুলের মধ্য হতে ডেকে নেবেন এবং তাকে হুরদের মধ্য থেকে তার পছন্দমতো যেকোনো একজনকে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দেবেন।‘ [সুনানু আবি দাউদ: ৪৭৭৭, সুনানুত তিরমিজি: ২৪৯৩ ]
- সহনশীলতা ব্যক্তির শক্তিশালী ইচ্ছার প্রমাণ:
নবিজি (সা:) বলেন: ‘প্রকৃত বীর সে নয়, যে কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে দেয়; বরং সেই প্রকৃত বীর, যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে।‘ [সহিহুল বুখারি: ৬১১৪, সহিহু মুসলিম: ২৬০৯]
- সনহশীলতা হলো বিপক্ষীয় লোকদেরকে হাতে আনা এবং তাদেরকে বন্ধুতে পরিণত করার সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম।
আল্লাহ তাআলা বলেন: “জবাবে তা-ই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন, আপনার সাথে যে ব্যক্তির শত্রুতা রয়েছে, সে অন্তরঙ্গ বন্ধু।” [সুরা ফুসসিলাত, ৪১ : ৩৪]
সুতরাং নিজেকে নিয়ে ফিকির করার সময় বের করতে হবে এবং নিজের আত্মশুদ্ধির কাজ করতে হবে।
- মানসিক স্থিরতা লাভ এবং অভ্যন্তরীণ অস্থিরতাও দূর হয়ে যাওয়া। কারণ, হৃদয় তখন ভর্ৎসনা ও ধিক্কার থেকে নিরাপদ থাকে।
- সহনশীল হওয়া অনেক রোগের চিকিৎসা, যেমন : মিথ্যা, কৃপণতা, রাগ, ভীরুতা, ভয় ও উৎকণ্ঠা।
- ভালোবাসা বাকি থাকা। যাকে বেশি ভর্ৎসনা করা হয়, তার সঙ্গী কমে যায়।
২. কুরআনের আলো
“ক্ষমা করুন, সৎকাজের আদেশ করুন এবং মূর্খদের এড়িয়ে চলুন।” [সুরা আল-আরাফ, ৭ : ১৯৯]
‘ক্ষমা করুন’ বলে নবিজি (সা:)-কে উত্তম চরিত্রের ব্যাপারে আদেশ করা হয়েছে। অর্থাৎ আপনি মানুষের সাথে লেনদেন ও আচরণে সহজতা অবলম্বন করুন। ইবনে কাসির (রা:) বলেন, ‘এটিই সবচেয়ে প্রসিদ্ধ কথা। এ ব্যাপারে রাসুল (সা:)-এর উদ্দেশে বলা জিবরাইল (রা:)-এর এ কথাও সাক্ষ্য বহন করে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা আপনাকে যে আপনার প্রতি জুলুম করে, তাকে ক্ষমা করার আদেশ করেছেন; যে আপনাকে বঞ্চিত করেছে, তাকে দান করার এবং যে আপনার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার আদেশ করেছেন।’
‘সৎ কাজের আদেশ করুন।’ অর্থাৎ সৎ কাজ এবং কথা ও কাজের সর্বোত্তম বিষয়ের ব্যাপারে আদেশ করুন এবং মূর্খদের এড়িয়ে চলুন।’ অর্থাৎ মূর্খদের মোকাবিলা তাদের অনুরূপ কাজের মাধ্যমে করবেন না; বরং আপনি তাদের ব্যাপারে সহনশীল হোন। কুরতুবি (রা:) বলেন, ‘যদিও এখানে নবিজি -কে আদেশ করা হয়েছে; কিন্তু এটি সকল মানুষের জন্য শিক্ষা।
৩. রাসুল (সা:) আমাদের আদর্শ
রাসুল (সা:) পুরো সমাজের পক্ষ থেকেই বিভিন্ন গালিগালাজের সম্মুখীন হয়েছেন। কবিরা তাঁকে ভর্ৎসনা করেছিল, কুরাইশ সর্দাররা তাঁকে নিয়ে উপহাস করেছিল এবং অজ্ঞরা তাঁকে পাথর নিক্ষেপ করেছিল। তারা বলেছিল, তিনি জাদুকর, পাগল ইত্যাদি। কিন্তু রাসুল (সা:) উদারতা, ক্ষমা, সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছিলেন। যারা তাঁকে উপেক্ষা করেছিল এবং কষ্ট দিয়েছিল, তাদের জন্য তিনি হিদায়াতের দুআ করেছিলেন। তাদের জন্য ক্ষমা ও রহমতের দুআ করেছিলেন।
বেদুইনকে তাঁর ক্ষমা করে দেওয়ার একটি দৃষ্টান্ত: এক বেদুইন নবিজি (সা:)-এর কাছে এসে অনেক রূঢ় আচরণ করল। সে খুব কঠিনভাবে নবিজি (সা:)-এর চাদর টানতে লাগল। এমনকি এতে তাঁর ঘাড়ে দাগও পড়ে গেল। বেদুইন লোকটি চিৎকার করে বলতে লাগল, “আল্লাহ তাআলা তোমাকে যে সম্পদ দিয়েছেন, তা থেকে আমাকে কিছু দান করতে আদেশ করো।’ নবিজি (সা:) মুচকি হাসির মাধ্যমে তার উত্তর দিয়েছিলেন। তাঁর পাশে থাকা সাহাবিগণ বেদুইন লোকটির এ কাণ্ড দেখে রাগে ফেটে পড়লেন। কিন্তু তাঁরা অবাক হয়েছিল নবিজি (সা:)-এর মুচকি হাসি ও লোকটিকে ক্ষমা করে দেওয়া দেখে। সব শেষে নবিজি (সা:) তাঁর সাথিদের আদেশ করলেন, তাঁরা যেন এই লোকটিকে মুসলিমদের বাইতুল মাল থেকে কিছু দিয়ে দেয়।
৪. অমূল্য বাণী
- ইবনুল কাইয়িম (রা:) বলেন, ‘মাখলুক সহনশীল হয় অজ্ঞতার কারণে এবং ক্ষমা করে দুর্বলতার কারণে। আর আল্লাহ তাআলা সহনশীল তাঁর পূর্ণ জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও এবং ক্ষমা করেন পূর্ণ সক্ষমতা সত্ত্বেও। ইলমের সাথে সনহশীলতা এবং সক্ষমতার সাথে ক্ষমার সম্পর্কের চেয়ে সুন্দর কোনো সম্পর্ক নেই।
এ জন্যই পেরেশানি থেকে মুক্তির দুআয় আল্লাহ তাআলার গুণ হিসেবে সহনশীলতার সাথে মহত্ত্বের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলার সত্তাগত আবশ্যকীয় বৈশিষ্ট্যের একটি হলো সহনশীলতা।
- আহনাফ (রা:) বলেন, ‘তোমরা ইতর লোকদের মতামতের ব্যাপারে সতর্ক থেকো।’ লোকেরা জিজ্ঞেস করল, “ইতর লোকদের মতামত কী?’ তিনি বললেন, ‘যারা ক্ষমা ও উপেক্ষাকে লজ্জাজনক মনে করে।’
- আহনাফ (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমার সাথে যে-ই শত্রুতা করে, আমি তার ব্যাপারে তিনটি বৈশিষ্ট্যের যেকোনো একটি গ্রহণ করি: যদি সে আমার চেয়ে উত্তম হয়, আমি তার মর্যাদা বুঝতে পারি। আর যদি সে আমার চেয়ে অনুত্তম কেউ হয়, তাহলে তার থেকে আমার মর্যাদাকে উঁচু করে রাখি। আর যদি আমার সমপর্যায়ের কেউ হয়, তাহলে তার ওপর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করি।’
- আবু বকর বিন আব্দুল্লাহ (রা:) বলেন, ‘জাহান্নামের আগুনের কথা স্মরণ করে ক্রোধের আগুনকে নির্বাপিত করো।’
৫. কিছু চমৎকার কাহিনি
- ইবনে আব্বাস (রা:) কে জনৈক লোক গালি দিয়েছিল। যখন তাকে হত্যার ফয়সালা করা হলো, তখন তিনি বললেন, “হে ইকরামা, দেখো তো, লোকটির কোনো প্রয়োজন বাকি রয়েছে কি না, যা আমরা পুরো করে দেবো?’ লোকটি এ কথা শুনে মাথা নত করে ফেলল এবং লজ্জিত হলো।
- মুআবিয়া (রা:) -কে জনৈক লোক অনেক কঠিন কথা বলল। তখন তাঁকে বলা হলো, ‘যদি আপনি তাকে শাস্তি দিতেন!’ তিনি বললেন, ‘আমি লজ্জাবোধ করি যে, আমার কোনো প্রজার অন্যায়ের কারণে আমার সহনশীলতা সংকীর্ণ হয়ে পড়ক।’
- আবু জার (রা:) -এর এক গোলাম বকরির একটি পা ভেঙে তাঁর কাছে আসলো। তিনি বললেন, ‘এটির পা ভাঙল কে?’ সে বলল, ‘আমি আপনাকে রাগান্বিত করার জন্য ইচ্ছাকৃত এমনটি করেছি। যেন আপনি আমাকে প্রহার করে রাগান্বিত হন।’ তিনি বললেন, ‘আমাকে রাগাবার প্রতি তোমার এত আগ্রহ দেখে অবশ্যই আমি রাগ হয়েছি।’ এরপর তিনি তাকে আজাদ করে দেন।
- জনৈক লোক আদি বিন হাতিম (রা:)-কে গালি দিলে তিনি চুপ থাকলেন। অতঃপর লোকটি তার কথা শেষ করলে তিনি বললেন, ‘যদি তোমার বলার মতো আর কিছু বাকি থাকে, তাহলে এলাকার যুবকরা আসার আগেই বলে ফেলো। কারণ, যদি তারা দেখে যে, তুমি তাদের সর্দারের ব্যাপারে এসব বলছ, তাহলে তারা অসন্তুষ্ট হবে।’
- জনৈক লোক আলি বিন হুসাইন (রা:) -এর সামনে এসে তাকে গালি দিল। ফলে আলি বিন হুসাইনের গোলাম তার দিকে লাফিয়ে গেল। তিনি বললেন, ‘তাকে ছেড়ে দাও।’ এরপর লোকটির কাছে গিয়ে বললেন, ‘আমাদের ব্যাপারে তোমার মাঝে যা লুকিয়ে আছে, তা আরও বেশি। তোমার কি কোনো প্রয়োজন আছে, যা পূর্ণ করে আমরা তোমাকে সাহায্য করতে পারি?’ এ কথা শুনে লোকটি বেশ লজ্জিত হলো। তিনি নিজের গায়ের একটি কালো কাপড় খুলে রাখলেন এবং তাকে এক দিরহাম দিয়ে দেওয়ার আদেশ করলেন। এরপর লোকটি বলল, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি আওলাদে রাসুল।’
- আবু দারদা (রা:)-এর জনৈক বাঁদি তাঁকে বলল, ‘আমি এক বছর আগ থেকে আপনাকে বিষ পান করিয়েছিলাম; কিন্তু তা আপনার মাঝে কোনো ক্রিয়া করেনি।’ তিনি বললেন, “তুমি কেন এমনটি করেছিলে?’ সে বলল, ‘আমি আপনার কাছ থেকে মুক্তি চেয়েছিলাম।’ তিনি বললেন, ‘যাও, আল্লাহর জন্য তুমি মুক্ত।’
- ইমাম জুহরি (রা:) বলেন, ‘আমি কোনো গোলামকে “আল্লাহ তোমাকে লাঞ্ছিত করুক” এ কথা বললেই সে আজাদ।
- মুআবিয়া (রা:) একটি পশমি বস্ত্র ভাগ করে দামেস্কের জনৈক বৃদ্ধকে তার একটি টুকরো দিলেন। কিন্তু এটি তার পছন্দ হলো না। তাই সে কসম করে বলল, এটি দিয়ে সে মুআবিয়ার মাথায় আঘাত করবে। সে মুআবিয়া (রা:)-এর কাছে এসে নিজের কসমের কথা বর্ণনা করল। মুআবিয়া (রা:) তাকে বললেন, ‘আমি আপনার কসম পুরা করে দেবো; তবুও যেন এক বৃদ্ধ আরেক বৃদ্ধের ওপর সদয় হয়।’
৬. রমাদানে সহনশীলতা
রাসুল (সা:) বলেন: ‘যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সঙ্গে লড়াই (ঝগড়া) করে, তাহলে সে যেন বলে, “আমি রোজাদার।‘ [সহিহুল বুখারি: ১৯০৪]
সহনশীলতা ও ক্ষমা রমাদানের সবচেয়ে সুন্দর চরিত্র। কারণ, এটি তো ক্ষমা ও দয়ারই মাস। যা বান্দাকে তার প্রতি জুলুম বা অন্যায়কারীকে ক্ষমা করতে অনুপ্রাণিত করে। সুতরাং শক্তি থাকা সত্ত্বেও অন্যকে শাস্তি প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে। আশা রাখতে হবে যে, সে অন্যকে ক্ষমা করে দিলে আল্লাহ তাআলাও তার সাথে অনুরূপ আচরণ করবেন। আর সাথে সাথে এ কথা স্মরণ রাখবে: “তাদের ক্ষমা করা উচিত এবং দোষত্রুটি উপেক্ষা করা উচিত। তোমরা কি কামনা করো না যে, আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করেন?” [সুরা আন-নুর, ২৪ : ২২]
৭. সহনশীলতার সূর্য ডুবে গেছে
ফলে মানুষ তাদের রোজাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে:
- গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে নিজেদের ক্রোধের মাধ্যমে।
- অধিকার অর্জনে ক্রোধের মাধ্যমে।
- সরকারি কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তির সাথে ঝগড়া করে।
- পরস্পর ঝগড়া করে, যার সমাপ্তি হয়েছে গালি ও তর্কের মাধ্যমে।
- স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মতানৈক্যের মাধ্যমে, যা অনেক বড় বিবাদে গড়িয়েছে এবং একে অপরকে পরিত্যাগ করেছে।
৮. দুআ
- হে আল্লাহ, আমাকে সহনশীলতা ও ধৈর্যধারণের শক্তি দান করুন এবং এমন লোকদের অন্তর্ভুক্ত করুন, যাদের প্রতি অজ্ঞতাসুলভ আচরণ করা হলে তারা সবর করে। এবং আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন, যাদেরকে অজ্ঞরা সম্বোধন করলে তারা বলে, ‘সালাম।’
- হে আল্লাহ, যে লোকই আমাকে গালি দিয়েছে, আমাকে কষ্ট দিয়েছে অথবা আমার থেকে কষ্ট পেয়েছে, তাকে আমি ক্ষমা করে দিলাম; আপনিও তাকে ক্ষমা করে দিন।
- হে আল্লাহ, আমি আপনার বান্দাদের ক্ষমা করে দিলাম; তাই আমার জন্য এমন কোনো পথ বের করে দিন, যার কারণে আপনার বান্দারা আমাকে ক্ষমা করে দেবে।
৯. স্বার্থপর হবেন না
- কথাগুলো আপনার মসজিদের মুসল্লি ও আপনার সহপাঠী-সহকর্মীদের মাঝে আলোচনা করুন।
- এই বইটি নিজে পাঠ করে অন্যদেরকেও পড়তে দিন; যেন তারা এর থেকে উপকৃত হতে পারে।
- মসজিদের ইমামকেও বইটি হাদিয়া দিতে পারেন; যেন তিনি জুমআর খুতবা বা তারাবিহ-পরবর্তী আলোচনায় এর থেকে ফায়দা গ্রহণ করতে পারেন।
১০. যথেষ্ট কথা হয়েছে, এখন আমল দেখার বিষয়
- ক্রোধ যখন আপনাকে পেয়ে বসবে, সাথে সাথে আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবেন। আর বলবেন যে, ‘আমি রোজাদার, আমি রোজাদার।’
- নিজের ব্যক্তিগত কারণে কারও থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন না। বরং যখন কাউকে আল্লাহর দ্বীনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখবেন, তখন এই ক্রোধকে কাজে লাগাবেন। সুতরাং নিজের জন্য কখনো রাগ করবেন না; বরং রাগের পুরো শক্তি আল্লাহর জন্য ব্যয় করবেন।
- অজ্ঞদের ওপর দয়া করুন। আর তা এভাবে যে, তাদের অনুরূপ উত্তর প্রদান করবেন না। তাহলে আপনি আল্লাহর এ সকল বান্দার অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন, যাদের প্রশংসায় আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন: “রহমানের বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাদের সাথে যখন মূর্খরা কথা বলতে থাকে, তখন তারা বলে, “সালাম।” [সুরা আল-ফুরকান, ২৫ : ৬৩]
উৎস: রমাদান-আত্মশুদ্ধির বিপ্লব, পৃষ্ঠা: ৯৫ – ১০৩
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]