আমরা কেন বই পড়বো?

0
492

লেখক: মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ | অনুবাদক: আবদুল্লাহ আল মাসউদ

একজন মুসলিম বেশ কিছু উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বই পড়ে। সেগুলো হল-

১. নেকী অর্জন করার জন্য। যেমন কুরআন পড়া।

২. শরীয়তের জ্ঞান অর্জন ও দ্বীনী বিষয়ে গভীর অবগতি লাভ করার জন্য।

৩. বারবার পড়া হয় মুখস্থ করার জন্য।

৪. কাফেরদের চক্রান্ত জানা এবং মুনাফিক ও বাতিলপন্থীদের সংশয়-সন্দেহ সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য।

৫. ভাষা-সৌকর্য বৃদ্ধি ও পার্থিব উপকারী বিষয়ের জ্ঞান লাভের জন্য।

৬. ভ্রান্ত বিষয় থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার জন্য। কারণ অন্তর এমন জিনিস, যাকে ইবাদাতের মাঝে ব্যস্ত না রাখলে সে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।

৭. আত্মিক প্রশান্তি ও বৈধ বিনোদন লাভের জন্য।

এ ছাড়াও আরও অনেক দ্বীনি ও দুনিয়াবী উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য আমরা বই পড়ে থাকি।

জাহেল সমাজ সেই জাতিকে সুসভ্য বলে দাবি করে, যার বড় একটা অংশ বইপাঠে অভ্যস্ত। তারা কি ধরনের বই পড়ছে সে বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য করা হয় না। জাহেল সমাজ ব্যবস্থার লোকেরা বলে থাকে,‘পড়া শুধুই পড়ার জন্য।’

তারা পড়াকেই মূল উদ্দেশ্য বানিয়েছে। ফলে বাছ-বিচার ছাড়া যা সামনে পায় তা-ই পড়ে। কিন্তু একজন মুসলিমের কাছে পড়াটা হল মূল উদ্দেশ্যে পৌঁছার একটা মাধ্যম। আর সেটা হল, আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন। তাই সে আলেম-ওলামাদের সাথে টেক্কা দিতে কিংবা অজ্ঞদের সাথে তর্ক করতে অথবা মানুষের মনোযোগ নিজের দিকে আকর্ষণ করার জন্য পড়ে না। কারণ যে এমনটি করবে আল্লাহ তাআলা তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। অন্যদের ভুল-ত্রুটি পর্যবেক্ষণ করা কিংবা তাদের পদস্খলন ও ভ্রান্তি অনুসন্ধান করার উদ্দেশ্যেও একজন মুসলিম বই পড়ে না।

কারণ এতে ইখলাসের অভাব থাকে। একজন মুসলিম এমন বইপত্রও পড়ে না, যার মাঝে তার দ্বীনী বা দুনিয়াবী কোন ধরনের ফায়দা নাই। কারণ তার সময় এরচে আরও অনেক বেশি দামি। বর্তমান সময়ে আমরা যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ভিন্ন চিন্তাচেতনার মানুষদের বইপত্র পড়ার রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছি। এর ফলশ্রুতিতে মুসলিম সমাজে তৈরি হচ্ছে চরিত্রহীন শ্রেণির পাঠকগোষ্ঠী।

যারা ইসলামের শত্রুদের আক্রমণকে আরও প্রসারিত করছে। কারণ এই ধরনের পাঠক পড়ার ক্ষেত্রে ভালমন্দের বাছ-বিচার করে না। ফলে সে এমন জিনিসও শিখে, যা তাকে ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার করতে পারে না। সে ওইসব বইও পড়ে, যা ইসলামের শত্রুরা রচনা করেছে। পরবর্তীতে সেগুলো আবার সে মানুষের মাঝে না বুঝে না জেনে প্রচারও করে থাকে।

উৎস: কী পড়বেন কীভাবে পড়বেনপৃষ্ঠা: ২৪ – ২৬

Print Friendly, PDF & Email
Banner Ad


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

আপনার মন্তব্য লিখুন