আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বিশুদ্ধ নিয়তে কাজ করুন

0
724

লেখক: শায়খ মুহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল-আরিফী | অনুবাদক: কাজী মুহাম্মদ হানিফ

অনেক বছর যাবত আমি কিছু মানুষের আচরণ খুব গভীরভাবে লক্ষ্য করেছি। কিন্তু কখনাে তাদেরকে একটু মুচকি হাসতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না। এমনকি হাসির কোনাে কথা শুনেও তাদের মুখে হাসির সামান্যতম রেখাও ফুটে ওঠে নি। কারাে সঙ্গে কথা বলার সময় আবেগের সাথে একটু হেসেছে, এমনটাও দেখি নি। তাদেরকে দেখে আমার মনে হয়েছে, তারা এভাবেই বড় হয়েছে। এর বিপরীত কিছু করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

কিন্তু আমার এ ধারণা পাল্টে গেল। আমি আশ্চর্যের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, নির্দিষ্ট কিছু মানুষের সঙ্গে তাদের আচরণ ভিন্নধর্মী ও প্রাণােচ্ছল। ধনী ও বড় বড় পদমর্যাদার অধিকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে তারা মুচকি হেসে ও কোমল স্বরে কথা বলে। বস্তুত তারা এটা করছে কিছু পার্থিব স্বার্থ হাসিলের জন্য। এটা যদি তারা পার্থিব স্বার্থ হাসিলের জন্য না করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করত তাহলে তারা পরকালে বিপুল সওয়াব ও প্রতিদানের অধিকারী হাত পারত। কিন্তু এটা না করার কারণে তারা তাদের এ সুন্দর আচরণের পরকালীন প্রতিদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। — মুমিন ব্যক্তির সদাচরণ তাে ইবাদত।

আর তা হবে কেবল আল্লাহর জন্য। এর মাধ্যমে সে আল্লাহর নিকট হতে মহা পুরস্কার লাভ করবে। এটা কোনাে পদ বা সম্পদ লাভের হীন উদ্দেশ্যে, মানুষের প্রশংসা লাভের আশায় কিংবা কোনাে সুন্দরী নারীকে বিবাহ করার অভিপ্রায় নিয়ে করা যাবে না। তা করতে হবে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ভালবাসা লাভের মহান উদ্দেশ্যে। আল্লাহ যেন তাকে ভালবাসেন এবং তাকে মানুষের মধ্যে প্রিয় করে দেন। আসল কথা হলাে, সদাচরণকে যে ইবাদত মনে করে, সে ধনী-গরিব, ম্যানেজার আর পিয়ন সবার সঙ্গেই সমান ও সুন্দর আচরণ করে। মনে করুন, আপনি শহরের রাজপথ ধরে হেটে চলছেন। সে রাজপথ ঝাড় দিচ্ছে এক জীর্ণ-শীর্ণ ঝাড়ুদার । সে আপনাকে দেখার সাথে সাথে আবেগ নিয়ে তার হাতদুটো বাড়িয়ে দিল আপনার সঙ্গে মােসাফার জন্য । আরেকদিন আপনি উচ্চপদস্থ কোনাে কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।

সেও মােসাফার জন্য হাত বাড়িয়ে দিল। উভয়ের প্রতি অপনার মনােযােগ, অনুভূতি, আপনার মুখের হাসি ও অঙ্গভঙ্গি কি সমান হবে? আমার জানা নেই। তবে উভয়ক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর মনােযােগ, অনুভূতি ও মুখের হাসি এক রকম ছিল। আপনি যাকে তুচ্ছ মনে করছেন, হতে পারে সে আল্লাহর কাছে অনেক দামী। পদ ও পদবীর কারণে যাদের সঙ্গে আপনি কোমল আচরণ করছেন, তাদের হাজারজনের চেয়েও এ সাধারণ মানুষটি আল্লাহর কাছে অনেক বেশি প্রিয় হতে পারে। আপনি জানেন না, আপনার কাছে যিনি তুচ্ছ, আল্লাহর কাছে হয়তাে তার মর্যাদা অনেক ঊর্ধ্বে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তােমাদের মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় এবং কিয়ামতের দিন সবচেয়ে কাছের ব্যক্তি হবে সে, যার আখলাক সবচেয়ে সুন্দর।‘ (সুনামে তিরমিযী: ১৯৪১)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশাজ বিন আবদে কায়েস রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কে বলেছিলেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল পছন্দ করেন, এমন দুটি গুণ তােমার মধ্যে আছে। —— আল্লাহর রাসূলের কথা শুনে আশাজ বিন আবদে কায়েস আনন্দচিত্তে জিজ্ঞেস করলেন, “আল্লাহর রাসূল! সে গুণ দু’টি কী কী? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবললেন, ‘কর্মে স্থিরতা ও আচরণে সহনশীলতা।(সহীহ মুসলিম: ২৪, সুনানে তিরমিযী: ১৯৩৪)

রাসূল সাঃ-কে একদিন সর্বশ্রেপুণ্যের কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলাে। রাসূল (সাঃ) বললেন, ‘সর্বশ্রেপুণ্য ও নেক কাজ হলাে মানুষের সঙ্গে সদাচরণ। ও সুন্দর ব্যবহার।‘ (সুনানে তিরমিযী: ২৩১১, সহীত মুসলিম: ৪৬৩২) একদিন রাসূল সাঃ-কে জিজ্ঞেস করা হলাে, কী কারণে মানুষ জান্নাতে বেশি প্রবেশ করবে? তিনি বললেন, ‘আল্লাহর ভয় ও সুন্দর ব্যবহার।(সুনানে তিরমিযী: ১৯২৭, মুসনাদে আহমদঃ ৯৩১৯) তিনি আরাে বলেছেন, ‘পূর্ণ ঈমানদার সে ব্যক্তি, যার আচরণ সুন্দর ও বি। যে অন্যের সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ আচরণ করে, অন্যরাও তার সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ আচরণ করে। আর তার মধ্যে কোনাে কল্যাণ নেই, যার সঙ্গে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে চলাফেরা করতে পারে না এবং সেও অন্যের কাছে । যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবােধ করে না।‘ (সুনামে তিরমিযী: ১০৮২, আল মুজামুস সগীর:৬০৬)

জীবনকে উপভােগ করুন রাসূল (সাঃ) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আমলের পাল্লায় কোনাে আমল সদাচরণের মতাে ভারী হবে না।‘ (সুনানে তিরমিযী: ১৯২৫)। তিনি আরাে বলেছেন, ‘একজন ইবাদতকারী রাত জেগে ইবাদত করে এবং সারাদিন রােযা রেখে যে মর্যাদা অর্জন করতে পারে, উত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে একজন মানুষ সে মর্যাদায় উন্নীত হতে পারে।(সুনানে তিরমিযী: ১৯২৬, সুনানে আবু দাউদ: ৪১৬৫)

যে সদাচরণ রপ্ত করতে পারে সে ইহকাল পরকাল উভয় জগতে লাভবান হতে পারে। উম্মে সালামার সে ঘটনাটি এখানে আলােচনা করা যেতে পারে। একদিন তিনি রাসূলের সঙ্গে বসে ছিলেন। এ সময় পরকাল ও পরকালের নিয়ামতসমূহের কথা আলােচনা করা হলে তিনি আল্লাহর রাসূলকে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! দুনিয়াতে কোনাে মহিলার দু’জন স্বামী থাকল মৃত্যুর পর তাদের সবাই জান্নাতবাসী হলে সে মহিলা জান্নাতে কার সঙ্গে থাকবে? আল্লাহর রাসূল কী উত্তর দিলেন? যে স্বামী রাত জেগে ইবাদত করত, তার সঙ্গে? যে বেশি বেশি রােযা রাখত, তার সঙ্গে? ইলম ও জ্ঞানের ক্ষেত্রে যে অগ্রসর ছিল, তার সঙ্গে?

আল্লাহর রাসূল এগুলাের কোনােটিই বললেন না। আল্লাহর রাসূল বললেন, ‘যার আচার-আচরণ বেশি সুন্দর ছিল তার সঙ্গে। থাকবে। এ কথা শুনে উম্মে সালামা খুব বিস্মিত হলেন। রাসূল তার এ বিস্ময়ভাব চোখ দেখে বললেন, ‘উম্মে সালামা! উত্তম ব্যবহারের মধ্যে তাে দুনিয়া ও আখিরাতের সব কল্যাণ নিহিত। বস্তুতঃ সদাচরণ ও উত্তম ব্যবহারের মধ্যেই উভয় জগতের কল্যাণ রয়েছে। ইহকালিন কল্যাণ হলাে মানুষ তাকে ভালবাসে। আর পরকালের কল্যাণ হলাে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সীমাহীন প্রতিদান। একজন মানুষ যতই নেক আমল করুক, তার আচরণ যদি সুন্দর ও মার্জিত হয় তাহলে সব আমল অকেজো হয়ে যেতে পারে।

একদিন রাসূলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে জনৈক মহিলার আলােচনা করতে গিয়ে বলা হলাে, ‘সে রােযা রাখে। বহু নামায আদায় করে। দান-সদকাও অনেক করে। তবে কথাবার্তা ও আচার আচরণে সে প্রতিবেশীদেরকে কষ্ট দেয়। রাসূল সাঃ এ কথা শুনে বললেন, “সে তাে জাহান্নামী। সকল ভাল গুণের ক্ষেত্রে রাসূল (সাঃ) আলাদা ছিলেন সর্বোত্তম আদর্শের প্রতীক। দয়া ও দানশীলতায়, বীরত্ব ও সাহসিকতায়, ধৈর্য ও সহনশীলতায় তার তুলনা তিনি নিজেই। সততা লাজুকতা ও শালীনতায় তিনি ছিলেন ঘরের কোণের পর্দাবৃত কুমারী নারীর চেয়েও বেশি লাজুক, দ্রতা, বিশ্বস্ততা ও অতিথি পরায়ণতায় তিনি ছিলেন সর্বোত্তম আদর্শ। তাই মুমিনদের আগে কাফেররা, নেককারদের আগে বদকারেরাই এর সাক্ষ্য দিচ্ছে।

প্রথম যেদিন রাসূলের ওপর আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী অবতীর্ণ হলাে, এ গুরুভার নিয়ে রাসূল বিচলিত হয়ে পড়লেন। দায়িত্ববােধের চাপে তিনি। অসুস্থ হয়ে পড়লেন। সেদিন খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছিলেন, “আল্লাহর শপথ ! আল্লাহ আপনাকে কখনাে অপদস্থ ও ব্যর্থ করবেন না। এর কারণ কী ? খাদিজা নিজেই দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে এর কারণ বলছেন, ‘আপনি তাে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখেন। এতিম-অসহায়দের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। নিঃস্বদের ভরণপােষণ। অতিথিদের আপ্যায়ন করেন। সত্যের দুর্যোগে সদা এগিয়ে যান। সদা সত্য কথা বলেন। :নত রক্ষা করেন। আর স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা রাসূলের প্রশংসায় যে শাশ্বত বাণী অবতীর্ণ করেছেন তা কিয়ামত পর্যন্ত আমরা তিলাওয়াত করছি : “নিশ্চয় তুমি সমুন্নত চরিত্রের অধিকারী। [সূরা কলাম : আয়াত-৪] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুজাে-এর চরিত্র ছিল কুরআনের প্রতিচ্ছবি। কুরআনের প্রতিটি আদেশ নিষেধ মূর্ত হয়ে উঠেছিল তার আচরণে ও কথাবার্তায়।

জীবনকে উপভােগ করুন তিনি পাঠ করেছেন কুরআনের এ আয়াত : “তােমরা সদাচরণ কর। নিশ্চয় আল্লাহ সদাচরণকারীদের পছন্দ করেন।” [সূরা বাকারা:১৯৫] সাথে সাথে তিনি ভাল ব্যবহার করেছেন সবার সঙ্গে। ছােট-বড়, ধনীগরিব, ইতর-ভদ্র তথা সকল পেশা ও শ্রেণির মানুষের সঙ্গে সর্বোত্তম ব্যবহার করেছেন । তিনি শুনেছেন কুদরতি প্রত্যাদেশ: “তােমরা ক্ষমা কর এবং অন্যের অসদাচরণকে উপেক্ষা কর।” [সূরা বাকারা : আয়াত-১০৯] সাথে সাথে তিনি ক্ষমা করেছেন অন্যকে, মাফ করেছেন অন্যদের সকল অসদাচরণকে। তিনি তিলাওয়াত করেছেন: “তােমরা মানুষের সঙ্গে ভাল কথা বল। তখন তিনিও সর্বোত্তম ভাষায় মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন।” [সূরা বাকারা: ৮৩]

আল্লাহর রাসূল আমাদের সব সময়ের আদর্শ। রাসূল সাঃ-এর জীবনাদর্শের প্রতি একটু লক্ষ করুন। খেয়াল করে দেখুন, রাসূল মানুষের সঙ্গে কেমন আচরণ করতেন। তিনি কীভাবে মানুষের ভুল সংশােধন করতেন। কীভাবে অন্যদের অশােভন আচরণ সহ্য করতেন। কীভাবে অন্যের শান্তির জন্য নিজে কষ্ট করতেন। মানুষকে কল্যাণের পথে ডাকতে কীভাবে পরিশ্রম করতেন। আজ তিনি একজন অসহায় ব্যক্তির প্রয়ােজন পুরা করার জন্য চেষ্টা করছেন। আগামীকাল বিবাদমান দুই দলের মধ্যে সমঝােতা করছেন। আরেকদিন কাফেরদেরকে শান্তির পথে দাওয়াত দিচ্ছেন। এভাবেই দিনের পর রাত এসেছে। যৌবন পেরিয়ে বার্ধক্য এসেছে। অস্থি-মজ্জা দুর্বল হয়েছে। তিনি জীবন সায়াহ্নে উপনীত হয়েছেন।

আয়েশা রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  রাসূলের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, বার্ধক্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ অধিকাংশ সময় (নফল) নামায বসে পড়তেন। কেন? আমরা কি ধারণা করতে পারি কেন এমন হয়েছিল? আয়েশা দিহ-এর কারণ বলেছেন, মানবতার কল্যাণ কামণায় তিনি নিজেকে একেবারে নিঃশেষ করে দিয়েছিলেন। জীবন যৌবন সব শেষ করে দিয়েছিলেন। মানুষের আত্মিক কামনা ও ইচ্ছাশক্তি যখন অনেক বড় হয় তখন তা পূর্ণ করতে গিয়ে তার দেহ অক্ষম দুর্বল হয়ে পড়ে। উন্নত চরিত্র লাভের ক্ষেত্রে রাসূল এতাে আগ্রহী ছিলেন যে, তিনি দোয়ায় বলতেন: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার বাহ্যিক অবয়বকে যেমন সুন্দর করছেন, তেমনই আমার চরিত্রকে সুন্দর করুন।‘ (মুসনাদে আহমদ:৩৬৩২)

তিনি আরাে দোয়া করতেন: ‘হে আল্লাহ! আপনি ছাড়া আমার কোনাে রব নেই। আমি আপনার গােলাম। আমি আমার উপর জুলুম করেছি। আমার গুনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। আপনি আমার যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দিন। আপনি ছাড়া কেউ গুনাহ মাফ করতে পারবে না। আপনি আমাকে উত্তম আচরণের দিশা দিন। আপনি ছাড়া কেউ উত্তম আচরণের দিশা দিতে পারে না। আমাকে অসদাচরণ থেকে দূরে রাখতে। আপনি ছাড়া কেউ অসদাচরণ থেকে দূরে থাকতে পারে না।‘ (মুসনাদে আহমদ:৭৬৪)

জীবনকে উপভােগ করুন মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে সবার সাথে আচরণের ক্ষেত্রে রাসূলের আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই। মুসলমানের সাথে সুন্দর আচরণ করতে হবে তার হৃদয় জয় করার জন্য এবং তাকে ভাল আমলের দিকে দাওয়াত দেয়ার জন্য। আর অমুসলিমের সাথে ভাল ব্যবহার করলে সে ইসলামের প্রকৃত রূপ ও তাৎপর্য বুঝে ইসলাম গ্রহণ করতে সক্ষম হবে।

ইঙ্গিত …নিয়তকে পরিশুদ্ধ করুন। তাহলে মানুষের সঙ্গে আপনার আচরণও ইবাদতে পরিণত হবে। আর এর মাধ্যমে আপনি লাভ করবেন আল্লাহর নৈকট্যের কাঙ্ক্ষিত স্তর।

উৎসঃ Enjoy Your Life (Bangla Version) , অধ্যায়ঃ ১৬, পৃষ্ঠা: ৮৩ – ৮৯

Print Friendly, PDF & Email
Banner Ad


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

আপনার মন্তব্য লিখুন