আল্লাহর কাছে আপনার প্রাপ্তি রয়েছে

0
612

লেখকঃ ড. আয়িদ আল করনী | অনুবাদঃ ডা. হাফেজ মাওলানা মােহাম্মদ নূর হােছাইন

মহান আল্লাহ যখন আপনার কাছ থেকে কোন কিছু ছিনিয়ে নেন, তখন যদি আপনি শুধুমাত্র ধৈর্য ধারণ করেন এবং তাঁর কাছ থেকে আপনার পুরস্কার প্রার্থনা করেন, তবে তিনি আপনাকে তার চেয়েও ভালাে কোন কিছু দিয়ে ক্ষতিপূরণ করবেন। নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: “যার দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে অথচ সে ধৈর্য ধরে, তাকে এর বিনিময়ে জান্নাত (বেহেশত) দিয়ে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।”

অন্য হাদীসে নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: “যদি কেহ এ জগত থেকে তার প্রিয় কাউকে হারিয়ে তার প্রভুর নিকট এর প্রতিদান প্রার্থনা (কামনা) করে তবে তাকে জান্নাত দিয়ে এর খেসারত দেয়া হবে।”

অতএব, কোন দুভাগ্যজনক ঘটনার জন্য অত্যন্ত দুঃখবােধ করবেন না। কারণ, যে মহান সত্তা এর হুকুম (আদেশ) দিয়েছেন, তাঁর নিকট এর ক্ষতিপূরণ ও এক মহাপুরস্কার জান্নাত রয়েছে। যারা এ পৃথিবীতে দুর্দশা কবলিত ও আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত তারা জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে প্রশংসিত হবে।

তােমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হােক; কেননা, তােমরা ধৈর্য ধারণ করেছিলে; চূড়ান্ত গৃহ কতই না চমৎকার।” [১৩-সূরা রা’আদ : আয়াত-২৪]

কষ্ট সহিষ্ণুতার কারণে কেউ যে পুরস্কার পায় আমাদেরকে অবশ্যই তা গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে।

তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তাদের ওপরেই কল্যাণ (অর্থাৎ তারাই ধন্য এবং তাদেরকে ক্ষমা করা হবে) ও তারাই তাঁর অনুগ্রহ লাভ করে এবং তারাই সঠিকপথ প্রাপ্ত।” [২-সূরা বাকারা : আয়াত-১৫৭]

বাস্তবিক এ পার্থিব জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত ও এর ধন ভাণ্ডার খুবই নগণ্য। পরকাল উত্তম ও চিরস্থায়ী এবং এ জগতে যে সমস্যা জর্জরিত পরজগতে সে তার পুরস্কার পাবে। এখানে (দুনিয়াতে) যে-ই কঠোর পরিশ্রম করবে সেখানে (আখিরাতে) সে-ই শান্তি পাবে। যারা এ জগতের প্রতি আসক্ত, যারা এর সাথে গভীর সম্পর্ক রাখে, যারা এর প্রেমে পড়েছে, তাদেরকে যে সর্বাপেক্ষা কঠিন ভােগান্তি পােহাতে হবে তা হলাে- তারা এ পরকালীন সুখ-সমৃদ্ধ (শান্তি ও সম্পদ) হারাবে। তারা শুধুমাত্র ইহজীবনকেই উপভােগ করতে চায়। তাদের এ কামনার কারণেই তারা এ জগতের মুসিবতকে কঠিন ভাবে। তারা তাদের চারপাশে ইহজীবন ছাড়া আর কিছুই দেখতে পায়

তারা দুনিয়ার অস্থায়িত্ব ও নগণ্যতা (তুচ্ছতা) দেখতে পায় না। হে দুর্দশা কবলিতরা! যদি আপনারা ধৈর্য ধারণ করেন তবে আপনারা কোন কিছু হারাবেন না; আর আপনারা বুঝতে না পারলেও এতে আপনারা লাভবান হবেন। দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তির উচিত পরকালের ফলাফলকে ভেবে দেখা যে। ফলাফল ধৈর্যশীলদের জন্য নির্ধারিত।

তঃপর উভয় দলের মাঝে একটি এক দরজাওয়ালা প্রাচীর খাড়া করা হবে। এর ভিতরে রহমত থাকবে আর এর বাইরে থাকবে আযাব (শাস্তি)।” [৫৭-সূরা আল হাদীদ : আয়াত-১৩]

উৎসঃ লা তাহযান [হতাশ হবেন না], ক্রমিক নংঃ ১৬, পৃষ্ঠা: ৫৫ – ৫৬

Print Friendly, PDF & Email


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

আপনার মন্তব্য লিখুন