লিখেছেনঃ সাদাত
লেখাটিতে আমরা যা জানবো-
- ইসলামের দৃষ্টিতে নারী কি পুরুষের উপভোগের যৌন মেশিন?
- ইসলামে কি পুরুষকে স্ত্রীর ওপর যথেচ্ছ যৌনাচারের ফ্রি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে?
- স্ত্রীরা তোমাদের শস্যক্ষেত্র – কেন এই আয়াত?
- ইসলামে কি নারীদের যৌন চাহিদার কোন স্বীকৃতি নেই?
- ইসলামে কি যৌন অধিকার একতরফাভাবে পুরুষকে দেওয়া হয়েছে?
ভূমিকা
ইসলামের সমালোচকরা অনেকে বুঝাতে চান যে ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন মূল্য নাই, বরং এই ব্যাপারে পুরুষকে একতরফা অধিকার দেওয়া হয়েছে, পুরুষ যখন ইচ্ছা তখন যৌন চাহিদা পূরণ করবে আর স্ত্রী সেই চাহিদা পূরণের জন্য সদা প্রস্তুত থাকবে। এই ধারণার পেছনে কুরআন আয়াত এবং হাদিসের অসম্পূর্ণ পাঠের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। বস্তুত কুরআনের কিছু আয়াত বা কিছু হাদিস দেখে কোন বিষয় সম্পর্কে ইসলামের শিক্ষাকে পুরোপুরি উপলব্ধি করা সম্ভব নয়, বরং তা অনেক ক্ষেত্রেই পাঠককে বিভ্রান্ত করতে পারে। কোন বিষয় সম্পর্কে ইসলামের শিক্ষাকে সঠিকভাবে উপলদ্ধি করতে হলে সেই সংক্রান্ত কুরআনের সবগুলো আয়াত এবং সবগুলো হাদিসকে সামনে রাখতে হবে। যা হোক, আমার এই লেখার উদ্দেশ্য শুধু এতটুকু দেখানো ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন স্বীকৃতি আছে কি-না। আসুন চলে যাই মূল আলোচনায়।
পরিচ্ছেদ ১
কেন এই দাবি? সূরা বাকারার ২২৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: “তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।”
হঠাৎ করে এই আয়াতাংশ কারো সামনে পেশ করা হলে মনে হতে পারে যে এখানে পুরুষকে যখন ইচ্ছা তখন তার স্ত্রীর সাথে যৌনাচার অবাধ অনুমতি দেওয়া হচ্ছে- এমনকি স্ত্রীর সুবিধা-অসুবিধার দিকেও তাকানোর কোন প্রয়োজন যেন নেই। যারা এই ধরণের ধারণার প্রচারণা চালান তারা সাধারণত এই আয়াতটি উল্লেখ করার পর তাদের ধারণার সাপোর্টে কিছু হাদিসও পেশ করেন, যেমন: কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর বিছানা পরিহার করে রাত কাটায় তবে ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত তাকে অভিশাপ দিতে থাকে। [মুসলিম, হাদিসের ইংরেজি অনুবাদ-৩৩৬৬]
উপরিউক্ত আয়াতাংশ এবং এই ধরণের কিছু হাদিস পেশ করে অনেকই এটা প্রমাণ করতে চান ইসলাম কেবল পুরুষের যৌন অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করেছে এবং নারীকে যৌন মেশিন হিসেবে যখন তখন ব্যবহারের ফ্রি লাইসেন্স দিয়ে রেখেছে। সোজা কথায় ইসলামে যৌন অধিকার যেন একতরফাভাবে পুরুষের! আসলেই কি তাই?
পরিচ্ছেদ ২
২.১ কুসংস্কারের মূলোচ্ছেদকারি কুরআনের ২:২২৩ আয়াত সংক্রান্ত বিভ্রান্তির নিরসন
মদিনার ইহুদিদের মধ্যে একটা কুসংস্কার এই ছিল যে, কেউ যদি তার স্ত্রীর সাথে পেছন দিক থেকে যোনিপথে সঙ্গম করত তবে বিশ্বাস করা হতো যে এর ফলে ট্যারা চোখবিশিষ্ট সন্তানের জন্ম হবে। মদিনার আনসাররা ইসলামপূর্ব যুগে ইহুদিদের দ্বারা যথেষ্ট প্রভাবিত ছিল। ফলে আনসারগণও এই কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ছিলেন। মক্কাবাসিদের ভেতর এই কুসংস্কার ছিল না। মক্কার মুহাজিররা হিজরত করে মদিনায় আসার পর, জনৈক মুহাজির যখন তার আনসার স্ত্রীর সাথে পেছন দিক থেকে সঙ্গম করতে গেলেন, তখন এক বিপত্তি দেখা দিল। আনসার স্ত্রী এই পদ্ধতিকে ভুল মনে করে জানিয়ে দিলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অনুমতি ব্যতিত এই কাজ তিনি কিছুতেই করবেন না। ফলে ঘটনাটি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত পৌঁছে গেল। এ প্রসঙ্গেই কুরআনের আয়াত (২:২২৩) নাযিল হয়, যেখানে বুঝানো হচ্ছে- সামনে বা পেছনে যেদিক দিয়েই যোনিপথে গমন করা হোক না কেন, তাতে কোন সমস্যা নেই। শস্যক্ষেত্রে যেদিক দিয়ে বা যেভাবেই গমন করা হোক না কেন তাতে শস্য উত্পাদনে যেমন কোন সমস্যা হয় না, তেমনি স্বামী তার স্ত্রীর যোনিপথে যেদিক দিয়েই গমন করুক না কেন তাতে সন্তান উত্পাদনে কোন সমস্যা হয় না এবং এর সাথে ট্যারা চোখবিশিষ্ট সন্তান হবার কোন সম্পর্ক নেই। বিস্তারিত তাফসির পড়ে দেখতে পারেন। আরেকটা বিষয় হচ্ছে পায়ুপথে গমন (Anal Sex) করা হারাম। বিস্তারিত এই লিংক ক্লিক করুন।
কাজেই এই আয়াতের উদ্দেশ্য ইহুদিদের প্রচারিত একটি কুসংস্কারের মূলোত্পাটন, স্ত্রীর সুবিধা অসুবিধার প্রতি লক্ষ না রেখে যখন তখন অবাধ যৌনাচারের অনুমোদন নয়। যারা মনে করেন কুরআনে ইহুদি খৃষ্টানদের কিতাব থেকে ধার করা হয়েছে বা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহুদি খৃষ্টানদের থেকে শুনে শুনে কুরআন রচনা করেছেন, এই আয়াত তাদের জন্য বেশ অস্বস্তিকর বটে! প্রকৃত মুক্তচিন্তার অধিকারীদের বরং এই আয়াতের প্রশংসা করার কথা ছিল, কিন্তু প্রশাংসার যোগ্য আয়াতটিকে সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।
২.২ ফেরেশতাদের অভিশাপ সংক্রান্ত হাদিসটির বিশ্লেষণ
এবার ফেরেশতাদের অভিশাপ করা সংক্রান্ত ওপরের হাদিসটার কথায় আসি। এই হাদিসটা বুখারিতেও এসেছে আরেকটু পূর্ণরূপে এভাবে: যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে (যেমন- সঙ্গম করার জন্য), আর সে প্রত্যাখান করে ও তাকে রাগান্বিত অবস্থায় ঘুমাতে বাধ্য করে, ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত তাকে অভিশাপ করতে থাকে। [বুখারি, ইংরেজি অনুবাদ ভলি- ৪/বুক-৫৪/৪৬০]
একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন,
- স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাড়া না দেওয়ায় স্বামী রাগান্বিত হয়ে কী করছে?
- স্ত্রীর ওপর জোর-জবরদস্তি করে নিজের যৌন অধিকার আদায় করে নিচ্ছে?
- নাকি ঘুমিয়ে পড়েছে?
এই হাদিসে নারী কর্তৃক স্বামীর ডাকে সাড়া না দেওয়ার কারণে স্ত্রীর সমালোচনা করা হলেও পুরুষকে কিন্তু জোর-জবরদস্তি করে নিজ অধিকার আদায়ে উত্সাহিত করা হচ্ছে না। আবার স্ত্রী যদি অসুস্থতা বা অন্য কোন সঙ্গত ওজরের কারণে যৌনাচার হতে বিরত থাকতে চান, তবে তিনি কিছুতেই এই সমালোচনার যোগ্য হবেন না, কেননা ইসলামের একটি সর্বস্বীকৃত নীতি হচ্ছে:
- আল্লাহপাক কারো ওপর তার সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপান না।
- আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না [২:২৮৬]
- আমি কাউকে তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব অর্পন করি না। [২৩:৬২]
২.৩ ইসলাম কি শুধু নারীকেই সতর্ক করেছে?
এটা ঠিক যে ইসলাম স্ত্রীদেরকে স্বামীর যৌন চাহিদার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছে, কিন্তু স্বামীকে নিজ চাহিদা আদায়ের ব্যাপারে উগ্র হবার কোন অনুমতি যেমন দেয়নি তেমনি স্বামীকেও স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি যত্মবান হবার নির্দেশ দিয়েছে। ইসলাম স্ত্রীকে বলেছে যদি রান্নরত অবস্থায়ও স্বামী যৌন প্রয়োজনে ডাকে তবে সে যেন সাড়া দেয়, অন্য দিকে পুরুষকে বলেছে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে ভালো আচরণ করে, স্ত্রীর কাছে ভালো সাব্যস্ত না হলে সে কিছুতেই পূর্ণ ঈমানদার বা ভালো লোক হতে পারবে না। এই কথা জানার পরও কোন পুরুষ কি স্ত্রীর সুবিধার প্রতি কোনরূপ লক্ষ না রেখেই যখন তখন তাকে যৌন প্রয়োজনে ডাকবে? ইসলাম পুরুষকে এব্যাপারেও সাবধান করে দিয়েছে যে নিজের যৌন চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে স্ত্রীর যৌন চাহিদার কথাকে সে যেন ভুলে না যায়। অনেকে হয়ত ভাবছেন, কী সব কথা বলছি, কোথায় আছে এসব?
চলুন সামনে এগিয়ে দেখি।
পরিচ্ছেদ ৩
৩.১ ইসলামে স্ত্রীর সাথে সদাচরণের গুরুত্ব
নিচের হাদিসগুলো একটু ভালো করে লক্ষ করুন:
হাদিস-১
আবুহুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ঈমানওয়ালাদের মধ্যে পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি, যার আচার-আচরণ উত্তম। আর তোমাদের মাঝে তারাই উত্তম যারা আচার-আচরণে তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম। [তিরমিযি, হাদিস নং ১০৭৯]
হাদিস-২
আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মুমিন মু’মিনা(স্ত্রী)র প্রতি বিদ্বেষ রাখবে না। যদি তার একটি অভ্যাস অপছন্দনীয় হয় তবে আরেকটি অভ্যাস তো পছন্দনীয় হবে। [মুসলিম হাদিস নং- ১৪৬৯, ২৬৭২]
হাদিস-৩
আয়িশা (রা.) হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ঈমানওয়ালাদের মধ্যে পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি যার আচার-আচরণ উত্তম এবং নিজ পরিবারের জন্য অনুগ্রহশীল। [তিরমিযি, হাদিস নং- ২৫৫৫]
- ৩.১.১ তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে:
- ৩.১.১.১ মু’মিন পুরুষ তার মু’মিনা স্ত্রীর প্রতি বিদ্বেষ রাখতে পারবে না।
- ৩.১.১.২ সদাচারী এবং স্ত্রী-পরিবারের প্রতি কোমল, নম্র, অনুগ্রহশীল হওয়া ঈমানের পূর্ণতার শর্ত।
- ৩.১.১.৩ কোন পুরুষ যদি উত্তম হতে চায় তাকে অবশ্যই তার স্ত্রীর কাছে উত্তম হতে হবে।
একজন মুসলিমের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় সেটা হচ্ছে তার ঈমান- যে ঈমানের জন্য সে নিজের প্রাণ বিসর্জন করতেও কুন্ঠিত হয় না- সেই ঈমানের পরিপূর্ণতার জন্য স্ত্রীর সাথে সদাচারী, নমনীয় এবং অনুগ্রহশীল হওয়া ছাড়া উপায় নেই। কোন মুসলিম উত্তম বলে বিবেচিত হতেই পারবে না যদি না স্ত্রীর সাথে তার আচার-আচরণ উত্তম হয়।
৩.১.২ এখন প্রশ্ন হলো-
- ৩.১.২.১ যে স্বামী তার স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি কোন লক্ষ্য রাখে না, সে কি তার স্ত্রীর কাছে উত্তম হতে পারে?
- ৩.১.২.২ অথবা যে স্বামী তার স্ত্রীর সুবিধা অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য না রেখে যখন তখন তার স্ত্রীর সাথে যৌনকার্যে লিপ্ত হয় সে কি তার স্ত্রীর কাছে উত্তম হতে পারে?
- ৩.১.৩ উত্তর হচ্ছে, পারে না। একজন ভালো মুসলিম যেমন স্ত্রীর জৈবিক চাহিদার প্রতি যত্নবান হবে, তেমনি নিজের জৈবিক চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে এমন অবস্থার সৃষ্টিও করবে না যা তার স্ত্রীর জন্য কষ্টকর হয়। স্ত্রীর প্রতি অসদাচরণ করে কেউ তার স্ত্রীর কাছে ভালো হতে পারে না আর পরিপূর্ণ মু’মিনও হতে পারে না।
৩.২ ইসলামে স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি গুরত্ব
ইসলাম নারীর যৌন অধিকারকে শুধু স্বীকৃতিই দেয় না বরং এ ব্যাপারে কতটুকু সচেতন নিচের হাদিসটি তার একটি প্রকৃষ্ট প্রমাণ।
আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন পুরুষ তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তখন সে যেন পরিপূর্ণভাবে (সহবাস) করে। আর তার যখন চাহিদা পূরণ হয়ে যায় (শুক্রস্খলন হয়) অথচ স্ত্রীর চাহিদা অপূর্ণ থাকে, তখন সে যেন তাড়াহুড়া না করে। [মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং-১০৪৬৮]
কী বলা হচ্ছে এখানে? সহবাসকালে পুরুষ তার নিজের যৌন চাহিদা পুরো হওয়া মাত্রই যেন উঠে না যায়, স্ত্রীর যৌন চাহিদা পূরণ হওয়া পর্যন্ত যেন বিলম্ব করে। এরকম একটা হাদিস চোখ দিয়ে দেখার পরও কারো জন্য এমন দাবি করা কি ঠিক হবে যে ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন স্বীকৃতি নেই! এসব তো গেল উপদেশ। কিন্তু বাস্তবে কেউ যদি এসব উপদেশ অনুসরণ না করে তাহলে এই ধরণের পুরুষদের সতর্ক করা তার অভিভাবক এবং বন্ধুদের যেমন দায়িত্ব তেমনিস্ত্রীরাও তাদের স্বামিদের বিরূদ্ধে ইসলামি রাষ্ট্রের কাছে নালিশ করার অধিকার রাখে। এধরণের কিছু ঘটনা পরিচ্ছেদ চারে আসছে। এছাড়া সঙ্গমকালে স্ত্রীকে যৌনভাবে উত্তেজিত না করে সঙ্গম করাকে ইসলামে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা তাতে স্বামীর চাহিদা পূরণ হলেও স্ত্রীর চাহিদা পূরণ হয় না এবং স্ত্রীর জন্য তা কষ্টকর হয়। পরিচ্ছেদ পাঁচে এই ব্যাপারে আলোকপাত করা হবে।
পরিচ্ছেদ ৪
এই পরিচ্ছেদে আমরা কিছু দৃষ্টান্তমূলক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করবো যেখানে স্ত্রীর যৌন অধিকারের প্রতি অবহেলা করার কারণে স্বামীকে সতর্ক করা হয়েছে, এমনকি স্বামীর বিরূদ্ধে ইসলামি শাসকের কাছে নালিশ পর্যন্ত করা হয়েছে।
দৃষ্টান্ত-১
আবু মুসা আশয়ারী (রা.) থেকে বর্ণিত: হযরত ওসমান ইবনে মাযউন (রা.) এর স্ত্রী মলিন বদন এবং পুরাতন কাপড়ে নবী করিম (সা.) এর বিবিদের কাছে এলেন। তাঁরা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার এই অবস্থা কেন? কুরাইশদের মাঝে তোমার স্বামী থেকে ধনী কেউ নেই। তিনি বললেন, এতে আমাদের কি হবে? কেননা আমার স্বামীর রাত নামাযে কাটে ও দিন রোযায় কাটে। তারপর নবী করিম (সা.)প্রবেশ করলেন। তখন নবীজীর স্ত্রীগণ বিষয়টি তাকে বললেন। অত:পর হযরত ওসমান ইবনে মাযউন (রা.) এর সাথে সাক্ষাত হলে তিনি তাকে বললেন,-“আমার মধ্যে কি তোমার জন্য কোন আদর্শ নাই?”হযরত ওসমান (রা.) বললেন, কী বলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ? আমার পিতামাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত! তখন তিনি বললেন-“তবে কি তোমার রাত নামাযে আর দিন রোযায় কাটে না? অথচ তোমার উপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে, আর তোমার উপর তোমার শরীরেও হক রয়েছে, তুমি নামাযও পড়বে, আবার ঘুমাবেও, আর রোযাও রাখবে আবার ভাঙ্গবেও”। তিনি বললেন তারপর আরেকদিন তার স্ত্রী পরিচ্ছন্ন ও সুগন্ধিত অবস্থায় এলেন যেন নববধু। [মাজমায়ে জাওয়ায়েদ, হাদিস নং ৭৬১২; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-৩১৬]
দৃষ্টান্ত-২:
আবু জুহাইফা (রা.) বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালমান (রা.) এবং আবু দারদা (রা.) এর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন স্থাপন করেছিলেন। সালমান (রা.) আবু দারদা (রা.) এর সাথে সাক্ষাত করতে গেলেন আর উম্মে দারদা (রা.) [আবু দারদা (রা.)এর স্ত্রী]-কে ময়লা কাপড় পরিহিত অবস্থায় দেখতে পেলেন এবং তাকে তার ঐ অবস্থার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, “আপনার ভাই আবু দারদার দুনিয়ার চাহিদা নাই”। এর মধ্যে আবু দারদা এলেন এবং তার (সালমানের) জন্য খাবার তৈরি করলেন আর বললেন, “খাবার গ্রহণ করো কারণ আমি রোযা আছি”। সালমান(রা.) বললেন, “তুমি না খেলে আমি খাচ্ছি না”। কাজেই আবু দারদা(রা.) খেলেন। যখন রাত হলো, আবু দারদা (রা.) উঠে পড়লেন (রাতের নামায পড়ার জন্য)। সালমান (রা.) বললেন, “ঘুমাও”; তিনি ঘুমালেন। পুনরায় আবু দারদা উঠলেন (নামাযের জন্য), আর সালমান (রা.) বললেন, “ঘুমাও”। রাতের শেষ দিকে সালমান (রা.) তাকে বললেন, “এখন ওঠো (নামাযের জন্য)”। কাজেই তারা উভয়ে নামায পড়লেন এবং সালমান (রা.) আবু দারদা (রা.)কে বললেন, “তোমার ওপর তোমার রবের হক রয়েছে; তোমার ওপরে তোমার আত্মার হক রয়েছে, তোমার ওপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে; কাজেই প্রত্যেককে তার প্রাপ্য হক প্রদান করা উচিত”। পরে আবু দারদা (রা.) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সাক্ষাত করলেন এবং একথা তার কাছে উল্লেখ করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “সালমান সত্য বলেছে।” [বুখারি, হাদিস নং -১৮৬৭]
দৃষ্টান্ত-৩:
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন: আমার পিতা একজন কুরাইশি মেয়ের সাথে আমাকে বিয়ে করিয়ে দিলেন। উক্ত মেয়ে আমার ঘরে আসল। আমি নামায রোযা ইত্যাদি এবাদতের প্রতি আমার বিশেষ আসক্তির দরুণ তার প্রতি কোন প্রকার মনোযোগ দিলাম না। একদিন আমার পিতা- আমর ইবনে আস (রা.) তার পুত্রবধুর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার স্বামীকে কেমন পেয়েছ? সে জবাব দিল, খুবই ভালো লোক অথবা বললো খুবই ভালো স্বামী। সে আমার মনের কোন খোঁজ নেয় না এবং আমার বিছানার কাছেও আসে না। এটা শুনে তিনি আমাকে খুবই গালাগাল দিলেন ও কঠোর কথা বললেন এবং বললেন, আমি তোমাকে একজন কুরাইশি উচ্চ বংশীয়া মেয়ে বিয়ে করিয়েছি আর তুমি তাকে এরূপ ঝুলিয়ে রাখলে? তিনি নবী করিম (সা.) এর কাছে গিয়ে আমার বিরূদ্ধে নালিশ করলেন। তিনি আমাকে ডাকালেন। আমি উপস্থিত হলে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি দিনভর রোযা রাখ? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি রাতভর নামায পড়? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন, কিন্তু আমি রোযা রাখি ও রোযা ছাড়ি, নামায পড়ি ও ঘুমাই, স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করি। যে ব্যক্তি আমার সুন্নতের প্রতি আগ্রহ রাখে না সে আমার দলভুক্ত না। [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং- ৬৪৪১]
দৃষ্টান্ত-৪:
কাতাদাহ (রহ.) বলেন, একজন মহিলা উমর (রা.)-এর কাছে এসে বললেন: আমার স্বামী রাতভর নামায পড়েন এবং দিনভর রোযা রাখেন। তিনি বললেন, তবে কি তুমি বলতে চাও যে, আমি তাকে রাতে নামায পড়তে ও দিনে রোযা রাখতে নিষেধ করি? মহিলাটি চলে গেলেন। তারপর আবার এসে পূর্বের ন্যায় বললেন। তিনিও পূর্বের মতো উত্তর দিলেন। কা’ব বিন সূর (রহ.) বললেন, আমিরুল মু’মিনিন, তার হক রয়েছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কীরূপ হক? কা’ব (রহ.) বললেন, কা’ব (রহ.) বললেন, আল্লাহ তাআলা তার জন্য চার বিবাহ হালাল করেছেন। সুতরাং তাকে চারজনের একজন হিসেব করে প্রত্যেক চার রাতের এক রাত তার জন্য নির্ধারিত করে দিন। আর প্রত্যেক চার দিনের একদিন তাকে দান করুন। উমর(রা.) তার স্বামীকে ডেকে বলে দিলেন যে, প্রতি চার রাতের একরাত তার কাছে যাপন করবে এবং প্রতি চারদিনের একদিন রোযা পরিত্যাগ করবে। [মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং: ১২৫৮৮]
পরিচ্ছেদ ৫
ইসলামে শৃঙ্গারের গুরুত্ব
ইসলাম সঙ্গমের পূর্বে স্ত্রীর সাথে অন্তরঙ্গতা সৃষ্টি বা শৃঙ্গার করার প্রতি যথেষ্ঠ গুরুত্ব আরোপ করে। স্ত্রীর যৌনাঙ্গকে সঙ্গমের জন্য প্রস্তুত না করেই তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়াকে- যা স্ত্রীর জন্য অত্যন্ত কষ্টকর- ইসলামে ‘পশুর ন্যায় সঙ্গম করা’ বলে অভিহিত করা হয়েছে এবং সঙ্গমের আগে শৃঙ্গার এবং আবেগপূর্ণ চুম্বন করাকে সুন্নাতে মু্ওয়াক্কাদাহ বলা হয়েছে। এই পরিচ্ছদে জনৈক মহিলা প্রশ্নের প্রেক্ষিতে দারুল-ইফতা, Leicester, UK থেকে প্রদানকৃত একটি ফতোয়ার অংশ বিশেষ উদ্ধৃত করবো যাতে ইসলামে শৃঙ্গারের গুরুত্ব সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হবে:
ইমাম দাইলামি(রহ.) আনাস বিন মালিক(রা.) এর বরাতে একটি হাদিস লিপিবদ্ধ করেছেন যে: রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করা হয়েছে যে, “কেউ যেন পশুর মতো তার স্ত্রী হতে নিজের যৌন চাহিদাকে পূরণ না করে, বরং তাদের মধ্যে চুম্বন এবং কথাবার্তার দ্বারা শৃঙ্গার হওয়া উচিত।” [দাইলামি’র মুসনাদ আল-ফিরদাউস, ২/৫৫]
ইমাম ইবনুল কাউয়্যিম(রহ.) তাঁর বিখ্যাত ‘তিব্বে নববী’তে উল্লেখ করেছেন যে: রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শৃঙ্গার করার আগে সঙ্গম করতে নিষেধ করেছেন। [দেখুন: ‘তিব্বে নববী’, ১৮৩, জাবির বিন আবদুল্লাহ হতে]
আল্লামা আল-মুনাবি(রহ.) বলেন: “সঙ্গমের আগে শৃঙ্গার এবং আবেগপূর্ণ চুম্বন করা সুন্নাতে মু্ওয়াক্কাদাহ এবং এর অন্যথা করা মাকরূহ।” [ফাইজ আল-ক্বাদির, ৫/১১৫, দ্রষ্টব্য: হাদিস নং ৬৫৩৬] [সূত্র]
শেষের কথা:
শুরুতেই বলেছিলাম, আমার এই লেখার উদ্দেশ্য শুধু এতটুকু দেখানো ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন স্বীকৃতি আছে কি-না। কাজেই ইচ্ছা করেই কুরআন এবং হাদিসের উল্লেখযোগ্য অনেক কিছুই এখানে যোগ করি নাই। কিন্তু যতটুকু উল্লেখ করেছি তা জানবার পরও ‘ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন মূল্য নেই’, ‘ইসলামে পুরুষকে স্ত্রীর ওপর যথেচ্ছ যৌনাচারের ফ্রি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে’, ‘ইসলামে যৌন অধিকার একতরফাভাবে পুরুষকে দেওয়া হয়েছে’ এই জাতীয় অভিযোগ সুস্থবুদ্ধিসম্পন্ন কেউ আশা করি করবেন না।
বইঃ বাসর রাতের আদর্শ
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]
hujur, apnar porichhhod 2.1 e kichhu kotha achhe , ami jodio sure na, tobe amar mone hoy, beparta pichhon dike diye gomoner jonno jhamela hoeachhilo na, jhamela ta hoeachhilo oral mane mukhmehon er jonno, mane narir mukhe kora jabe ki na, karon amra jani, payupothe gomon islam e nishiddho, apni jodi ar ektu kosto kore dekhe shothik ta janaten ,tahole bhalo hoto, allah apnar mongol koruk,
This are excellent topic.Thanks a lot
Jazaak Allah Khairan… Islam e Anal Intercourse Haram. kichu typing mistake chilo, amra oitake thik korechi.. apni bistarito ae link theke jante parben – http://islamqa.com/en/ref/91968/anal
awesome post…like it tooooooo much
oShadharon post
sukria.jajakallah khayer
Ftyntutu……….er question er answer ta jodi banglai translate korten khub valo hoto…….plz jodi korten valo hoto. oi website a jeye kisu ta bujteperesi. but onek kisui bujhini.
huzur, apnar article ta sotti khub chomotkar … kintu amar prosno holo Quran othoba Hadis a kothao ki amon ullakh aacha ki j – meye’ra tar shamir kacha tar jouno akankha prokas korta parba … kano na islam a nari o purush ar soman odhikar bola jani …
oshonkho dhonnobad, ami chintao korinai eto druto amar moto odhomer answer apni korben, allah apnar mongol koruk, ashole alochonar maddhomei shothik bishoyta uthe ashe, je link ta apni dieachhen,shekhane gieachilam, oikhane kintu proshne mukhmehoner bepare jante chaileo biggo alem oi bepare ekta kotha na bole shudhu pichhone gomoner kharap dikgulo nie alochona korechhen,mukhmehoner bepare ekta kothao bolennai, khub shombhoboto tini prosno ta bujhte paren nai, ar tader kotha onujayee kintu pichhon gomon tao haram, shei hishabe apnar 2.1 porichhod ta baad die dea tai uttom bole ami mone kori, allah amader shobaike hefajot koruk
শৃঙ্গার কি একটু বুঝাইয়া বলিবেন???
ashoole http://www.islamQA.com website e shob bishoy alochona kora hoyeche.. apni oral sex er fatawa ae link theke jante parben – http://www.salafimanhaj.com/pdf/SalafiManhaj_OralSexRuling
apni thik bolechen, amra 2.1 ta tokhoni shorai diyechilam… Jazaak Allah Khairan.. Allah amader shobaike shothik poth dekhak. Ameen
Bhai, purata ekhon translate korte parchi nah, but shonkhepe bolte gele hocche pichon dik (anal) theke korate haram.. ae bishoye onek sohih hadith dewa ache article ti te..
bhai islam onek easy.. jei bishoy gula nished kora hoyeche, ta chara duniyar shob kichui Halal.. apni jeirokom bollen aerokom kono nished Islam e nei..
শৃঙ্গার – যোনীতে লিঙ্গ প্রবিষ্টকরণের পূর্বে কামোদ্দীপক কার্যকলাপকে বলা হয় শৃঙ্গার। আলিঙ্গন, চুম্বন, অঙ্গমর্দন, লেহন, দংশন প্রভৃতি স্বাভাবিক শৃঙ্গার হিসেবে পরিগণিত। বাৎসায়নের কামসূত্রে ৬৪টি কলার কথা উল্লিখিত আছে যা শৃঙ্গারের অন্তর্ভূত। Source: http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%8C%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AE
Welcome bro :)
anal haram ….r kisu ki haram ai khetre
vai aesha (ra)bolesen hajrot muhammad (sa)kokhono tar gopon ongo dekheni r aesha o hojorer gopon ongo dekheni.to apni bollen songomer porbe dorshon kora ochit.sothik ans dile khushi hobo.alamin from cyprus
kothai bolechen bhai? reference ta den…
Khob sonddor .khob balo laglo
vary good hadies
Assalamualikum
Hugur, Bahir onno site link gulu new tab e korben. html link e target=”blank” diben.
Apnake hazaro mubarokbad..Allah apnar sathe thakuk……….
vai amar arek bishoi janar silo, seta holo AMI DINE / MONTH/ YEAR a amar wife er shate kotobar shohobash korte parbo, erokom sunirdisto kore quran or hadis a bola ase ki ? kindly janale upokrito hotam. karom ami joto tuku jani islam a BIRJO nosto kora haram. amra jemon condom use kori, ete to BIRJO ta to thik jaigate porse na taina. islam a erokom kisu bola ase ki je kokhon wife er shate jouno shompoko kora jabe r kokhon jabe na ?
Bai,
ami ekti bishoy jante chai, r ta holu- Islame Hosthomoithunno/ Hendelling er ki bidhan? Jodi ami amar Sex Na sam-laite pari Se khetre ami jodi Hathe kaj ta ses kori tobe ki eta Ekjon potitar darostho hoya theke better noy?
R jodi henelling kore e thaki ta theke Ekhon bachar upay ki?
Bishoy ta jana amar motho hajaroo Male ( unmarried) der ekti Jiggasa.
Utto dile upokritho hobu.
amio ai answer jante chai
আসসালামু আলাইকুম। কিছু আয়াত বুঝতে না পারায় সমস্যা হচ্ছিল তা এই লেখা পড়ে জানতে পারায় কুরআনের আলোর প্রতি কৃতজ্ঞ। খোদা হাফেজ।
আসসালামু আলাইকুম। এই লেখা পড়ে জানতে পারায় কুরআনের আলোর প্রতি কৃতজ্ঞ। খোদা হাফেজ।
Assalamualaikum vai, ami akta bishoy clear hote cai tha holo backside dia sex kora jabe kina??
ওয়ালাইকুম সালাম, জি না করা যাবে না। এটা সম্পূর্ণ নিষেধ। হারাম।
khub valo laglo
আপনার সমস্যার উত্তর রাসুল (সাঃ) এভাবে দিয়েছেন- “হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য
রাখে তারা যেন বিয়ে করে। কেননা, বিবাহ তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং যৌনতাকে সংযমী
করে; এবং যাদের বিয়ে করার সামর্থ্য নেই, সে যেন রোজা পালন করে। কেননা, রোজা তার
যৌনতাকে দমন করবে।” (সহীহ বুখারী
৪৬৯৬, ইফা)
হস্তমৈথুনকে আলিমগন “হারাম” বলে মত দিয়েছেন। এবং এবিষয়ে দ্বিমত হবার অবকাশ নেই। যদিও এ সম্পর্কে একদম সরাসরি কোন কোরান-হাদীস এর আয়াত আমি দেখিনি কিন্তু কিছু আয়াত এবং অনেক হাদীস রয়েছে যাতে যৌন কামনা থেকে বেঁচে থাকার উপায় বলা হয়েছে, সেগুলোর কোনটিতে হস্তমৈথুন করতে বলা হয়নি।
হস্তমৈথুন কেন হারাম হওয়া উচিৎ এ সম্পর্কে আমার নিজস্ব কিছু অভিমত রয়েছে।
হস্তমৈথুন যদি হালাল হত তবেঃ
১। মানুষ বিয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলত। অথবা দেরীতে বিয়ে করত। ইসলামে বিয়ে করার গুরুত্ব অনেক।
২। অভিমান করে থাকা দম্পতিরা, বিশেষ করে পুরুষ, রাগ ভেঙ্গে, স্ত্রীর কাছাকাছি যায়, যৌন চাহিদা মেটাতে। এতে অনেক রাগ অভিমান নিমিষেই দূর হয়ে যায়। হস্তমৈথুন হালাল হলে, পুরুষ হস্তমৈথুন করেই নিজের চাহিদা মিটিয়ে রাগ বজায় রাখত। স্বামী স্ত্রীতে আরও দূরত্ব তৈরি হত।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিংক দেখুন।
http://islamqa.info/en/ref/329/masturbation
Handjob cannot be haram . cause there is no source of Quran and Hadith for this forbidding this act like interest, lottery and zina etc..
Handjob cannot be haram . cause there is no source of Quran and Hadith for forbidding this act like interest, lottery and zina etc..
do u know about lut story if u dont know read sura lut
ONEK VHALO LAGLO AI WEB SITE A DHUKE. AMDER JIBONTA ASHOLE E BICHITRO.JOKHON MANUSH KONO BIVRANTI TE VHUGE TOKHON E ALLAH KONO NA KONO POTH DAKHAY DAY……… ALHAMDULILLAH.
কোরানে [সুরা বাকারাঃ২২৩] লেখা “তোমাদের
স্ত্রীরা তোমাদের শস্য ক্ষেত্র। তোমরা তোমাদের শস্য ক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পার।”
এখানে কিন্তু স্ত্রীর সম্মতিকে গুরুত্ব
দেওয়া হয়নি, এবং অবশ্যই
একজন মুসলমান স্বামীকে যখন তখন তার স্ত্রীর উপর যৌনাচার ফলানোর অধিকার দেওয়া হয়েছে। যদিও আবার হাদিসে লেখা “মু’মিন পুরুষ তার মু’মিনা স্ত্রীর প্রতি বিদ্বেষ রাখতে পারবে না, সদাচারী এবং স্ত্রী-পরিবারের প্রতি কোমল, নম্র, অনুগ্রহ-শীল হওয়া ঈমানের পূর্ণতার শর্ত, কোন পুরুষ যদি উত্তম হতে চায় তাকে অবশ্যই তার স্ত্রীর কাছে
উত্তম হতে হবে”। স্ববিরোধীটার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছেনা? একযায়গায় যখন তখন যৌন অধিকার ফলানোর license, স্ত্রীর সম্মতি অনুপস্থিত, আরেকযায়গায় “উত্তম পুরুষ হতে হলে স্ত্রীর কাছে উত্তম হতে হবে”……………… নারীর সম্মতিহীন সঙ্গমের আরেক নাম
ধর্ষণ, তা করলে কখনই স্ত্রীর চোখে উত্তম হওয়া যায়না। কোরানে নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে দেখানো হয়েছে, এবং পুরুষকে দেওয়া হয়েছে যখন তখন যেভাবে খুশি তাদের উপর যৌনাচার
ফলানোর অধিকার, কিন্তু হাদিসে
বলা হয়েছে ইমানের পূর্ণতার শর্ত স্ত্রীদের প্রতি কোমল, নম্র হওয়া, এবং উত্তম পুরুষ হতে হলে স্ত্রীর কাছে উত্তম হতে হবে………
যদি তাই মানি তাহলে কোরানে কেন সে আয়াত? স্ত্রীদের কেন দেখানো হয়েছে শস্য ক্ষেত্র হিসেবে, কেন বলা হয়েছে পুরুষরা যখন খুশি যৌনাচার ফলাতে পারবে স্ত্রীদের
উপর, স্ত্রীদের সম্মতির কথা অনুপস্থিত কেন? আপনি বলেছেন “যে স্বামী তার স্ত্রীর
যৌন চাহিদার প্রতি কোন লক্ষ্য রাখে না, সে কি তার
স্ত্রীর কাছে উত্তম হতে পারে?………… উত্তর হচ্ছে, পারে না” আপনি কি বলতে চেয়েছেন যে এই আয়াতের (সুরা
বাকারাঃ২২৩) অর্থ স্ত্রীদের যৌন চাহিদা পূরণ করা? একি আপনার চূড়ান্ত মূর্খতার পরিচয় না? আপনি
সুরা বাকারার ২২৩ আয়াত-এ ঠিক কি বুঝানো হয়েছে সে বিষয়ে বিশ্লেষণ করেননি।
কোরানে [সুরা নিসাঃ৩৪] স্পষ্ট লেখা আছে
“পুরুষ নারীর কর্তা, কারণ আল্লাহ
এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন…………… স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার
আশংকা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তারপর তাদের শয্যা বর্জন কর এবং তাদের
প্রহার কর।” কেন প্রহার? স্ত্রী কি পুরুষের ক্রীতদাসী? নারী পুরুষকে সমান চোখে দেখে ইসলাম নারীকে ৪টি স্বামী গ্রহণের
অনুমোদন দিতে পারেনি,
অথচ পুরুষদের ক্ষেত্রে কোরান বলেছে [সুরা
নিসাঃ৩]-“বিয়ে করবে নারীদের মধ্যে যাদের ভাল লাগে,দুই,তিন অথবা চার।” মুসলমান পুরুষ যেকোনো ধর্মের নারীকেই বিয়ে করার অধিকারী, কিন্তু মুসলমান নারী বিধর্মীকে বিয়ে করার অধিকারী নয়। মুসলমান পুরুষের ধর্মীয় অধিকার রয়েছে কোনও কারণ না দেখিয়ে
শুধুমাত্র ৩ বার “তালাক” শব্দটি উচ্চারণ করে যেকোনো স্ত্রীকে তাড়িয়ে
দেওয়ার। না, শত অত্যাচারের পরও স্ত্রীর কোনও অধিকার নেই অত্যাচারী স্বামীর
কাছ থেকে মুক্তি পাওয়ার, তাকে “তালাক” দেওয়ার। বেহেশতের সুখ বিষয়ে কোরান বলেছে “ওদের সঙ্গিনী দেব আয়তনয়না হূর”, “সাবধানীদের জন্যে রয়েছে সাফল্যঃ উদ্যান, দ্রাক্ষা, সমবয়স্কা উদ্ভিন্নযৌবনা
তরুণী এবং পূর্ণ পানপাত্র” (সুরা দুখানঃ৫৪, সুরা নাবাঃ৩১-৩৪)।পুরুষদের সঙ্গিনী দেওয়া হবে হূরপরী,
যারা সৌন্দর্যে চন্দ্র, সূর্যকেও মলিন করে, এবং এইসব স্বর্গসুন্দরীরা যে হবে
অনাঘ্রাত ফুল (virgin) সে নিশ্চিন্ততার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে কোরানে (সুরা রহ্মানঃ৫৬)। কল্পিত
স্বর্গ বেহেশতে নারীদের কোনও স্থান হয়নি।
“ইদ্দা” নামক ধর্মীয় বিধান সম্পর্কে জানেন? নারী-খৎনা নামক
প্রচণ্ড রকম বীভৎস প্রথা যা মুসলিম দুনিয়ার বহু দেশেই উপস্থিত তার সম্পর্কে জানেন?
সেগুলো সম্পর্কে কি বলবেন?
Is it fair to kiss on the wife’s sexual organ and is it fair for a wife to suck the husband’s penis.
Is it fair to kiss on the wife’s sexual organ and is it fair for a wife to suck the husband’s penis.
Is it halal to kiss on the wife’s sexual organ and is it fair for a wife to suck the husband’s penis.? please tell me as soon as possible..
ALL PRAISE BE TO ALLAH….ISLAM GIVES MUSLIM WOMEN LOTS OF RIGHTS ASA DAUGHTER,WIFE & A MOTHER….
SOME PPL QUESTIONING ABT WT KIND OF RIGHTS GIVES ISLAM TO WOMAN…I HOPE THESE VEDIOS & HOLY QURAN’S AYAT & HADIAH WILL HELP…MAY ALLAH BLESS US ALL MUSLIM BROTHERS & SISTERS
https://www.youtube.com/watch?v=GPQUgM7oTjE
And women shall have rights similar to the rights against them, according to what is equitable; but men have a degree (of responsibility) over them. And Allah is Exalted in Power, Wise(2:228).(read tafsir of this verse at:http://www.answering-christianity.com/karim/men_and_women_daraja.htm )
One basic right of every husband and wife taking on a contract never to have sex other than with their own legitimate partner is that each spouse should therefore provide sexual fulfillment (imta’) to the other, as part of the bargain.
A women’s right for sex with their husband is established from the Qur’an and authentic Sunnah (hadith) from the Prophet (peace be upon him).
In the Qur’an we read: {turn not away (from a woman) altogether, so as to leave her (as it were) hanging} (4:129) . Further the Prophet approved Salman’s word to Abu al-Darda’: “_and your wife has a right over you.” (Sahih Bukhari, Vol.7, No. 127)) This unanimously means cohabitation.
And al-Qurtubi said: “She has over him the same right of sexual cohabitation he has over her.” (Tafsir for 2:178).
“Permitted to you, on the night of the fasts, is the approach to your wives. They are garments for you and you are garments for them.” [Qur’an, 2.187]
Commentary note 195, page 75, The Meaning of the Holy Quran ‘Abdullah Yusuf Ali: ’Men and women are each other’s garments i.e. they are for mutual support, mutual comfort, and mutual protection, fitting into each other as a garment fits the body. A garment also is both for show and concealment.
The husband is obligated to keep his wife chaste. While scholars have distinguished between a man’s right to “demand” sex and a woman’s right to “request” sex, it is nonetheless a man’s religous duty to keep his wife sexually satisfied. A woman may not have an explicit legal right to demand sex in the same fashion as a man; however, this distinction merely accounts for the inherent temperamental, physical, and emotional differences between the sexes. Ustadha Hedaya Hartford, in her excellent guide to Islamic marriage, states that both Hanafi and Shafi’i scholars hold that a man should make love to his wife at least every four nights. [Hedaya Hartford, Islamic Marriage: Starting Off On the Right Foot. Beirut and Damascus: Dar al-Fikr, 2000]
Husband should fulfill her needs. A common misunderstanding among some men is that it is his right to call his wife to bed whenever he wants (and it is his right), but he may desert her for whatever time he wants to though it is not lawful. As Allah said, “Those who take an oath not to have sexual relations with their wives must wait for four months, then if they return (change their idea in this period), verily,Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful.” (Qur’an, 2:226)
If the wife has a good and valid reason not to have sex and refuses, he can’t force her. The marriage is about cooperation. If a Muslim woman is in the mood, she should tell her husband and if he doesn’t have a valid reason to reject, he should fulfill her wishes, too. If he’s unjust, he will have to answer to his Creator in the afterlife. The Prophet(PBUH) said ~ “Among my followers the best of men are those who are best to their wives, and the best of women are those who are best to their husbands.”
Allah says in the Holy Quran Chapter 50 Surah Qaaf verse 35:There they (the men and women ofParadise) shall have all that they will desire, and We have with Us yet more for them!
Ref: Relationship between the people ofParadise….
Allah says in the Holy Quran Chapter 43 Surah Zukhruf verse 67:When the Day (of Judgment) comes,all friends shall become enemies of one another; except the pious(or righteous)!
While a man will get many Hurs in jannah, a women would be made the queen of Jannah. Her beauty will far outshine the beauty of the hurs.
Umme Salamah R.A narrates that she said to Rasûlullah SAW “O Rasûlullah, are the women of this world superior or the hûrs?” He replied, “The women of this world will have superiority over the hûrs just as the outer lining of a garment has superiority over the inner lining.”
Allah, Exalted be He, mentioned both men and women in terms of promise of reward and the attainment of reward in the verses of the Noble Qur’ân. Allah the Almighty Says, “And their Lord responded to them, ‘Never will I allow to be lost the work of [any] worker among you, whether male or female; you are of one another. So those who emigrated or were evicted from their homes or were harmed in My cause or fought or were killed – I will surely remove from them their misdeeds, and I will surely admit them to gardens beneath which rivers flow as reward from Allah , and Allah has with Him the best reward.'” [Âlu `Imrân: 195]
i hope this ll help who r questining abt islam.. learn more & know islam properly then question..bcz its a gr8 sin..PLZ BRITHERS 7 SISTERS…
MARRIED LIFE AS HUSBAND WIFE ITS A BEUTIFUL THING IN THE WORLD.. THEIR LOVE IS PART OF PRAYING…FOR A HUSBAND WIFE FULFIL HIS HALF OF IMAN….
ALLAH KNOWS THE BEST.. MAY ALLAH HELP US & FORGIVE US….
vai bou ar সোনা চাটা ki juna hoy?
Please———–please———please———— Answer me in quran or hadis if anyboy know about this
what is it liggle the eye of islam to eat women সোনা ?
@ @মানুষ islame purosh ke onno dhormer meye ke bibah korara onumoti dey nai jodi kore tahole obossoy muslim hote hobe ar (সুরা
বাকারাঃ২২৩) er kotha bolcen age apnake bujte hobe ki karone ar ki bojhate cheyese ekhane ja bojache ta onek boro apni er tafsir ta porle bujte parben,
Comments are closed.