জেনে রাখুন! আল্লাহর জিকিরেই আত্মা শান্তি পায়

0
817

লেখকঃ ড. আয়িদ আল করনী | অনুবাদঃ ডা. হাফেজ মাওলানা মােহাম্মদ নূর হােছাইন

জেনে রাখ! আল্লাহর জিকির করেই হৃদয় প্রশান্তি লাভ করে।” [১৩-সূরা রা’আদ : আয়াত-২৮]

সততা আল্লাহর প্রিয় এবং আত্মাকে পরিষ্কার করার সাবান। আর আল্লাহর জিকির ছাড়া এমন কোন কাজ নেই যা আত্মাকে এমন শান্তি দিতে পারে যার পুরস্কার এর চেয়ে বেশি।

অতএব আমাকে স্মরণ কর, আমিও তােমাদেরকে স্মরণ করব।” [৫২ সূরা বাক্বারা : আয়াত-১৫২]

আল্লাহর জিকির (স্মরণ)-ই দুনিয়াতে তাঁর বেহেশত। আর এতে যে প্রবেশ করেনি সে আখেরাতের বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না। জিকির শুধুমাত্র এ পৃথিবীর সমস্যা ও উদ্বিগ্নতা থেকে এক নিরাপদ স্বৰ্গই নয়; অধিকন্তু, চূড়ান্ত সাফল্য লাভের এক সংক্ষিপ্ত ও সহজ পথও বটে। আল্লাহর জিকির সম্বন্ধে বিভিন্ন আয়াত পড়ে দেখুন তাহলেই আপনি এর উপকারিতা বুঝতে পারবেন।

যখন আপনি আল্লাহর জিকির করবেন তখন দুশ্চিন্তা ও ভয়ের কালােমেঘ দূরীভূত হয়ে যাবে ও আপনার সমস্যার পাহাড় সরে যাবে।

যারা আল্লাহর জিকির করেন তারা শান্তিতে আছেন বা থাকেন- একথা শুনে আমাদের আশ্চর্য হওয়া উচিত নয়। যা সত্যিই আশ্চর্য তা হল অবহেলাকারীরা ও অমনােযােগীরা তাকে স্মরণ না করে কীভাবে বেঁচে থাকে।

তারা নিষ্প্রাণ, নির্জীব আর তারা জানেনা কখন তাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে।” [১৬-সূরা আন নাহল : আয়াত-২১]

ওহে! যে নাকি বিনিদ্র রজনীর অভিযােগ করে ও তার দুর্দশার ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত, তাঁর পবিত্র নাম ধরে ডাকুন।

তার মতাে কারাে কথা কি তােমরা জান?” [১৬-সূরা আন নাহল : আয়াত-৬৫]

তাঁর মতাে কিছুই নেই, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।” [৪২-সূরা শূরা : আয়াত-১১]

তুমি আল্লাহকে যে পরিমাণ স্মরণ করবে, তােমার আত্মা সে পরিমাণই শান্ত ও সন্তুষ্ট হবে। তাঁর জিকিরের অর্থই হলাে তাঁর ওপর পূর্ণ নির্ভরতা, সাহায্যের জন্য তাঁর মুখাপেক্ষী হওয়া, তাঁর সম্বন্ধে সুধারণা পােষণ করা এবং তাঁর পক্ষ থেকে বিজয়ের অপেক্ষায় থাকা। সত্যিই যখন তাঁর কাছে আবেদন করা হয় তখন তিনি নিকটেই থাকেন; যখন তাঁকে ডাকা হয়, তিনি তখন শুনতে পান ও তার নিকট আকুল আবেদন করা হলে তিনি সাড়া দেন।

তাই তাঁর সামনে নিজেকে বিনীত কর ও একনিষ্ঠভাবে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা কর। বারবার তার কল্যাণময় (বরকতময়) নামের তাসবীহ পাঠ কর ও তাঁর একমাত্র উপাস্য হওয়ার কথা উল্লেখ কর। তাঁর প্রশংসা কর, তার নিকট কাকতি-মিনতি করে প্রার্থনা কর ও তার নিকট ক্ষমা ভিক্ষা চাও, তাহলেই ইনশাআল্লাহ (আল্লাহ চাহে তাে) তুমি সুখ, শান্তি ও অন্তরে আলােকফুরণ পাবে।

তাই আল্লাহ তাদেরকে এ জগতের পুরস্কার ও পরকালের চমৎকার পুরস্কার দান করলেন।” [সূরা আলে ইমরান : আয়াত-১৪৮]

উৎসঃ লা তাহযান [হতাশ হবেন না], ক্রমিক নংঃ ১৯, পৃষ্ঠা: ৬০ – ৬২

Print Friendly, PDF & Email


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

আপনার মন্তব্য লিখুন