লেখক: ড. খালিদ আবু শাদি | অনুবাদক: হাসান মাসরুর
১. আজকের আলোচ্য বিষয়ের ফায়দা
-
পূর্বের সব গুনাহ মাফ:
রাসুল (সা:) বলেন: ‘যে ব্যক্তি ইমানসহ পুণ্যের আশায় রমাদানের সিয়াম পালন করবে, তার পূর্বের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।‘ [সহিহুল বুখারি: ৩৮]
-
অগণিত প্রতিদান লাভ:
রাসুল (সা:) বলেন: ‘আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “সিয়াম ব্যতীত আদম-সন্তানের প্রতিটি কাজই তাঁর নিজের জন্য; কিন্তু সিয়াম আমার জন্য। তাই আমিই এর প্রতিদান দেবো।‘ [সহিহুল বুখারি: ১৯০৪]
-
কিয়ামত দিবসে সুপারিশ লাভ:
রাসুল (সা:) বলেন: ‘সিয়াম ও কুরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে।‘ [মুসনাদু আহমাদ: ৬৬২৬]
-
কল্পনাতীত সাওয়াব অর্জন:
আবু উমামা (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: ‘আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে কোনো আমলের আদেশ করুন।” তিনি বললেন, “তুমি সিয়ামকে আঁকড়ে ধরো। কারণ, এর সমকক্ষ কিছু নেই।” আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে কোনো আমলের আদেশ করুন।” তিনি বললেন, “তুমি সিয়ামকে আঁকড়ে ধরো। কারণ, এর সমকক্ষ কিছু নেই।” আমি বললাম, আল্লাহর রাসুল, আমাকে কোনো আমলের আদেশ করুন।” তিনি বললেন, “তুমি সিয়ামকে আঁকড়ে ধরো। কারণ, এর সমকক্ষ কিছু নেই ৷‘ [নাসায়ি কৃত আস-সুনানুল কুবরা: ২৫৪৪]
-
দুআ কবুল হওয়া:
রাসুল (সা:) বলেন: ‘তিন ব্যক্তির দুআ ফিরিয়ে দেওয়া হয় না : পিতার দুআ, রোজাদারের দুআ এবং মুসাফিরের দুআ।‘ [বাইহাকি কৃত আস-সুনানুল কুবরা: ৬৩৯২]
-
কামনার আগুনকে নিভিয়ে দেওয়া:
নবিজি (সা:) বলেন: ‘আর যদি সে তা (বিয়ে) করতে সক্ষম না হয়, তাহলে সিয়াম পালন করবে। কেননা, এটি তার কামভাব দমন করবে।‘ [সহিহুল বুখারি: ৫০৬৬, সহিহু মুসলিম : ১৪০০]
-
জাহান্নাম থেকে দূরে থাকা:
আবু সাইদ খুদরি (রা:) কে বলতে শুনেছি: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি নবিজি কে ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিনও সিয়াম পালন করে, আল্লাহ তার মুখমণ্ডলকে জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছরের রাস্তা দূরে সরিয়ে নেন ৷‘ [সহিহুল বুখারি: ২৮৪০]
-
জান্নাতে মর্যাদা লাভের মাধ্যমে সফল হওয়া:
রাসুল (সা:) বলেন: ‘জান্নাতে একটি বালাখানা রয়েছে। এর ভেতর হতে বাইরের অংশ এবং বাইর হতে ভেতরের অংশ দেখা যায় । আল্লাহ তাআলা এটি ওই ব্যক্তির জন্য প্রস্তুত করেছেন, যে (অন্যকে) আহার করায়, নম্র ভাষায় কথা বলে, সিয়াম পালন করে এবং মানুষ ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় সালাত আদায় করে।‘ [মুসনাদু আহমাদ : ২২৯০৫, সহিহু ইবনি খুজাইমা : ২১৩৭]
আপনি জানেন কি এই বালাখানা কেমন হবে? নবিজি (সা:) বলেন: ‘জান্নাতিরা নিজেদের মর্যাদা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে একে অপরকে ওপরে দেখতে পাবে, যেভাবে তোমরা পূর্বাকাশে উদয়াচলে অথবা পশ্চিমাকাশে অস্তাচলে উজ্জ্বল নক্ষত্রসমূহ দেখতে পাও।‘ [সহিহু মুসলিম : ২৮৩১]
২. কুরআনের আলো
আল্লাহ তাআলা বলেন: “হে ইমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।” [সুরা আল-বাকারা, ২: ১৮৩]
> আল্লাহ তাআলাই আমাদের সৃষ্টিকর্তা আর তিনিই আমাদের জন্য উপযোগী ও কল্যাণকর বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন; তাই তিনি সিয়ামের বিধান দিয়েছেন ।
> সিয়াম এমন এক বিধান, যা বান্দাদের মাঝে আগ্রহ ও ভালোবাসা সৃষ্টি করে।
> সিয়াম পূর্ববর্তী সকল উম্মতের মাঝে একটি পরীক্ষিত আমল। তার কার্যকারিতা প্রমাণিত। এটি শুধু এ উম্মতের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়। শুধু মুসলিম জাতিই সিয়ামের ব্যাপারে আদিষ্ট নয়। ইসলামে সিয়ামের বিধান আসার আগেও মানুষ সিয়াম পালন করত। যেন মুসলিমগণ এই ধারণা না করে যে, সিয়াম শুধু তাদের ওপরই ফরজ করা হয়েছে। এই আয়াতে পূর্ববর্তী সভ্যতাকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। পূর্ববর্তী লোকেরা সিয়াম পালন করে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, তাকে উচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে । যেন আমরা অন্যদের থেকে ফায়দা গ্রহণ করতে পারি।
> সিয়াম তাকওয়া অর্জনের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত পথ । আর তাকওয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য ও তাঁর পক্ষ থেকে প্রতিদান অর্জন করা যায়।
৩. রাসুল (সা:) আমাদের আদর্শ
> আবু দারদা (রা:) বলেন: ‘কোনো এক সফরে প্রচণ্ড গরমের দিনে আমরা নবিজি -এর সাথে যাত্রা শুরু করলাম। গরম এতটাই প্রচণ্ড ছিল যে, প্রত্যেকে আপন আপন হাত নিজের মাথার ওপর তুলে ধরেছিলেন। এ সময় নবিজি (সা:) ও ইবনে রাওয়াহা ব্যতীত আমাদের কেউ সিয়ামরত ছিলেন না।‘ [সহিহুল বুখারি: ১৯৪৫]
> রাসুল (সা:) বলেন: ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় সিয়াম হলো দাউদ-এর সিয়াম। তিনি একদিন সিয়াম পালন করতেন এবং একদিন (সিয়াম পালন থেকে) বিরত থাকতেন।‘ [সহিহুল বুখারি: ৩৪২০]
৪. অমূল্য বাণী
> আহনাফ বিন কাইসকে বলা হলো, ‘আপনি তো বৃদ্ধ মানুষ। সিয়াম আপনাকে আরও দুর্বল করে দেবে।’ তিনি বললেন, ‘আমি লম্বা এক সফরের জন্য তা প্রস্তুত করছি।’
> ইবনুল কাইয়িম (রা:) বলেন, ‘কেবল পানাহার থেকে বিরত থাকার নামই সিয়াম নয়। সিয়াম হলো অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে গুনাহ থেকে বিরত রাখা, অনর্থক কথা থেকে জবানকে চুপ রাখা, হারামের দিকে দৃষ্টিপাত করা থেকে নিজেকে সংযত রাখা।’
> ইয়াকুব বিন ইউসুফ আল-হানাফি (রা:) বলেন, ‘আমাদের কাছে এই সংবাদ পৌছেছে যে, কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তাআলা নিজ বন্ধুদের বলবেন, “হে আমার বন্ধুগণ, দুনিয়াতে আমি যতবার তোমাদের দিকে তাকিয়েছি, (দেখেছি) তোমাদের মুখ শরাবের ব্যাপারে সংকুচিত ছিল, তোমাদের চোখ অবনত ছিল এবং তোমাদের পেট ছিল খালি। সুতরাং আজ তোমরা জান্নাতের নিয়ামত উপভোগ করো। আর পরস্পরের মাঝে পানপেয়ালা গ্রহণ করো।’
> হাসান (রা:) বলেন, ‘আল্লাহর অলি (প্রিয় বান্দা) আয়তলোচনা হুরের সাথে হেলান দিয়ে মধুর ঝরনার পাড়ে বসে থাকবে। তখন হুর তাকে পানপাত্র দিয়ে বলবে, “আল্লাহ তাআলা গ্রীষ্মকালের দীর্ঘতম দিনে তোমার দিকে তাকিয়েছিলেন। তুমি তখন দ্বিপ্রহরের তীব্র পিপাসায় কাতর ছিলে। তোমাকে নিয়ে আল্লাহ ফেরেশতাদের সাথে গর্ব করেছেন এবং বলেছেন, “আমার বান্দার দিকে লক্ষ করো! সে আমার জন্য এবং আমার কাছে যা আছে তার আশায় নিজের স্ত্রী, নিজের চাহিদা, নিজের স্বাদ ও পানাহার পরিত্যাগ করেছে। সুতরাং তোমরা সাক্ষী থাকো, আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।” ফলে আল্লাহ সেদিন তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং আমার সাথে তোমাকে বিয়ে দিয়েছেন।”
৫. কিছু চমৎকার কাহিনি
হাজ্জাজ ও এক বেদুইনের মাঝে কথোপকথন
প্রচণ্ড গরমের কোনো এক দিনে হাজ্জাজ (কোথাও) বের হলো। সেখানে তার জন্য খাবার পরিবেশন করা হলো। হাজ্জাজ বলল, ‘আমাদের সাথে আহার করবে এমন কাউকে খুঁজে আনো।’ লোকজন খোঁজ করে শুধু একজন বেদুইনকেই পেল। তারা তাকে হাজ্জাজের কাছে নিয়ে আসলো । তখন হাজ্জাজ ও বেদুইনের মাঝে নিম্নের কথোপকথন হলো:
হাজ্জাজ: হে বেদুইন, এসো, আমরা খাবার খেয়ে নিই ।
বেদুইন: তোমার চেয়ে উত্তম এক সত্তা আমাকে দাওয়াত করেছেন । আর আমি তাঁর দাওয়াতে সাড়া দিয়েছি।
হাজ্জাজ: কে সে?
বেদুইন: আল্লাহ তাআলা আমাকে সিয়ামের দাওয়াত করেছেন; তাই আমি রোজাদার।
হাজ্জাজ: তুমি এত গরমের দিনে রোজা রাখছ!
বেদুইন: আমি সেদিনের জন্য রোজা রাখছি, যেদিন এর চেয়ে বেশি গরম হবে।
হাজ্জাজ: আজ রোজা ভেঙে ফেলো—আগামীকাল রেখো।
বেদুইন: গভর্নর সাহেব কি আমার আগামীকাল বেঁচে থাকার গ্যারান্টি দিতে পারবেন!
হাজ্জাজ: এটি আমার সাধ্যে নেই। এ ব্যাপারে তো শুধু আল্লাহই ভালো জানেন।
বেদুইন: তাহলে কীভাবে আপনি চিরস্থায়ী জিনিসের মোকাবিলায় ক্ষণস্থায়ী জিনিস কামনা করছেন; অথচ সে চিরস্থায়ী জিনিসের কোনো বিকল্প নেই ।
হাজ্জাজ: আজ খুব মজাদার খাবার আছে !
বেদুইন: আল্লাহর শপথ, আপনার রুটিওয়ালা ও বাবুর্চিরা যা প্রস্তুত করেছে, তা উত্তম নয়; বরং আল্লাহর আফিয়াতই উত্তম ।
হাজ্জাজ: আল্লাহর শপথ, আমি এর মতো আর কাউকে দেখিনি । হে বেদুইন, আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
হাজ্জাজ তার জন্য কিছু পুরস্কারের আদেশ করলেন।
আপনি প্রথম প্রজন্মের কেউ? !
হাসান বসরি(রা:)-এর সামনে খাবার পেশ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি রোজাদার।’ বলা হলো, ‘এত গরমের দিনে আপনি রোজা রাখছেন!’ তিনি বললেন, ‘আমি প্রথম প্রজন্মের একজন হতে চাই!’
৬. রমাদানের রোজা
রমাদানের ৩০ দিন আপনি রোজা রাখছেন। যত গরম বা ক্লান্তিই আসুক আপনি রোজা রাখছেন। একদিনও রোজা ছেড়ে দিচ্ছেন না। এ সময় আপনি নিজের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে রোজা বিনষ্টকারী সব বিষয় থেকে বিরত রাখছেন । আপনি ভয় করছেন যে. আপনার রোজা আবার অনর্থক হয়ে যায় কি না। কিন্তু রমাদানের পরে প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখার মতো শক্তি আপনি পাচ্ছেন না। কেন আপনি রমাদান-পরবর্তী দিনগুলোতে নিজের জিহ্বাকে সংযত রাখতে পারছেন না! হারাম থেকে নিজের দৃষ্টিকে সরিয়ে রাখতে পারছেন না!
৭. সিয়ামের সূর্য ডুবে গেছে
> (বর্তমানে অনেকের অবস্থা হলো) রমাদান মাসটা তাদের জন্য খাবারের মাসে পরিণত হয়েছে! তাদের জন্য এটি রাতের সালাতের মাস নয়।
> অনেকে আজ তাদের অনুভূতি হারিয়ে ফেলেছে। তাই রমাদানে পূর্বাকার ঝগড়া-বিবাদ যেন আরও বেড়ে গেছে। পরস্পরের মাঝে তর্ক-বিতর্ক, ঝগড়া-বিবাদ ও মতানৈক্য এই সময়েও চলে।
> কিছু মানুষ হারাম দৃষ্টি ও কষ্টদায়ক কথার মাধ্যমে নিজেদের রোজাকে নষ্ট করেছে। তারা রোজা রেখে কেবল ক্ষুধা আর তৃষ্ণাই সহ্য করে। কোনো ফল লাভ করতে পারে না।
> কতক মুসলিম রমাদানে বিনা ওজরে সিয়াম নষ্ট করে এবং তারা এটি প্রকাশ্যে করে থাকে। হাফিজ জাহাবি বলেন, ‘মুমিনদের কাছে এই বিষয়টি স্থিরীকৃত যে, যে বিনা ওজরে রমাদানের রোজা ছেড়ে দেবে, সে জিনাকারী ও মাদকাসক্ত ব্যক্তির চেয়ে নিকৃষ্ট। বরং মুমিনগণ তার ইসলাম নিয়েই সন্দেহ পোষণ করেন এবং তার ব্যাপারে জানদাকা ও নষ্টামির ধারণা করেন।’
৮. দুআ
- হে আল্লাহ, আমাদেরকে এ মাসে জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত লোকদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
- হে আল্লাহ, আমাদের সালাত, সিয়াম এবং আমাদের সকল আমল কবুল করুন।
- হে আল্লাহ, আমাদেরকে যেমন রমাদানে নিরাপদ রেখেছেন, তেমনই রমাদানকে আমাদের উদাসীনতা ও অবাধ্যতা থেকে নিরাপদ রাখুন৷
- হে আল্লাহ, প্রত্যাখ্যাত সিয়াম ও অগ্রাহ্য আমল থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
- হে আল্লাহ, আপনার প্রতি একনিষ্ঠতার মাধ্যমে আমাদের অভ্যন্তরীণ অবস্থাকে সুন্দর করুন এবং আপনার রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে আমাদের আমলগুলো সুন্দর করে দিন।
- হে আল্লাহ, উদাসীনতা থেকে আমাদের জাগ্রত করুন এবং নীচুতা থেকে আমাদের মুক্তি দিন । আমাদের গুনাহ ও মন্দগুলো মিটিয়ে দিন । হে রব্বুল আলামিন, আমাদের সিয়াম কবুল করে নিন!
৯. যথেষ্ট কথা হয়েছে, এখন আমল দেখার বিষয়
- সামনে আমি হারাম থেকে অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে বিরত রাখার মাধ্যমে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সিয়াম বাস্তবায়ন করব। কারণ, এটিই হলো সবচেয়ে বড় সিয়াম এবং সবচেয়ে বড় সাধনা। সুতরাং যখন আমি এমনভাবে সিয়াম পালন করব, তখন আমার কর্ণ, চক্ষু ও জবানও সিয়াম পালন করবে। সুতরাং আমার সিয়াম পালন করা এবং না করা উভয় আর বরাবর হবে না ৷
- রমাদানে আমি ধূমপান একেবারেই ছেড়ে দেবো। যদি আল্লাহ তাআলা আমাকে এই বিপদ থেকে মুক্তি দেন, তাহলে অন্যকেও এ ব্যাপারে দাওয়াত প্রদানে উৎসাহিত হব ।
- ইন্টারনেট বা রাস্তাঘাটে নারীদের প্রতি তাকিয়ে আমি আমার সিয়াম নষ্ট করব না। আর শয়তানকেও আমার প্রতি তাকিয়ে হাসার সুযোগ দেবো না। কেননা, সে হয়তো দিনের বেলা যে কাজে আমাকে লিপ্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে, রাতের বেলা তাতে লিপ্ত করিয়ে ছাড়বে।
- শয়তান যেন ধীরে ধীরে আমার মাঝে অন্যের প্রতি বিদ্বেষ ছড়িয়ে না দেয়; ফলে আমি রাগান্বিত হয়ে পড়লাম, তারপর ভুল করে আফসোস করলাম !!
১০. স্বার্থপর হবেন না
- কথাগুলো আপনার মসজিদের মুসল্লি ও আপনার সহপাঠী-সহকর্মীদের মাঝে আলোচনা করুন।
- এই বইটি নিজে পাঠ করে অন্যদেরকেও পড়তে দিন; যেন তারা এর থেকে উপকৃত হতে পারে।
- মসজিদের ইমামকেও বইটি হাদিয়া দিতে পারেন; যেন তিনি জুমআর খুতবা বা তারাবিহ-পরবর্তী আলোচনায় এর থেকে ফায়দা গ্রহণ করতে পারেন।
উৎস: রমাদান-আত্মশুদ্ধির বিপ্লব, পৃষ্ঠা: ১৭ – ২৭
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]