ঘুম [ আপনার অভ্যাস পরিবর্তন করুন ]

0
522

sleep

লেখক: ড. খালিদ আবু শাদি | অনুবাদক: হাসান মাসরুর

১. আজকের আলোচ্য বিষয়ের ফায়দা

  • ঘুমকে ইবাদতে পরিণত করা।
  • ক্ষমা ও ফেরেশতাদের দুআর মাধ্যমে সফলতা লাভ করা: রাসুল বলেন: যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় ঘুমায়, তার শিয়রে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত থাকে। যখনই সে জাগ্রত হয়, ফেরেশতা বলে, “হে আল্লাহ, আপনার অমুক বান্দাকে ক্ষমা করুন; কেননা, সে পবিত্র অবস্থায় ঘুমিয়েছে।’ [সহিহু ইবনি হিব্বান: ১০৫১, শুআবুল ইমান : ২৫২৬]
  • সময় থেকে উপকৃত হওয়া এবং জীবনকে দীর্ঘায়ত করা।
  • জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নবিজি -এর অনুসরণ করে উপকৃত হওয়া।

২. কুরআনের আলো

আল্লাহ তাআলা বলেন: তারা রাতের কম সময়ই ঘুমাত।‘ [সুরা আজ-জারিয়াত, ৫১ : ১৭]

মুতাররিফ বিন আব্দুল্লাহ বিন শিখখির (রা:) বলেন, ‘এমন রাত খুব কমই আসত,যে রাত তারা পূর্ণ ঘুমে কাটিয়ে দিত।’ মুজাহিদ (রা:) বলেন, ‘তারা পুরো রাতে ঘুমাত না।’

ইমাম রাজি (রা:) বলেন, ‘আয়াতে ইশারা করা হয়েছে যে, তারা তাহাজ্জুদ আদায় করত এবং মুজাহাদা করত; এরপরও আরও বেশি আমল করার ইচ্ছা করত এবং আমলগুলো ইখলাসের সাথে করত। নিজেদের ত্রুটির কারণে তারা ইসতিগফার করত। আর এটিই ছিল নবিজি (সা:)-এর আদর্শ যে, তিনি পরিপূর্ণরূপে আমল করতেন; কিন্তু এরপরেও এগুলোকে কম মনে করতেন। বিপরীতে মন্দ লোকেরা অল্প আমল করে অধিক মনে করে।

এখানে আরেকটি সূক্ষ্ম বিষয় রয়েছে, আল্লাহ তাআলা যেহেতু বর্ণনা করেছেন যে, তারা স্বল্প ঘুমায়। আর ঘুম হলো মানব স্বভাবের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু তারা নিজেদের এই স্বল্প ঘুমের কারণেও আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। আল্লাহ তাদের স্বল্প ঘুমের প্রশংসা করেছেন। কারণ, এই স্বল্প ঘুমের কারণেই তারা অন্য একটি আমলে লিপ্ত হতে পারে। আর তা হলো শেষ রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। আল্লাহ তাদেরকে আত্মগরিমা ও অহংকার থেকে বারণ করেছেন। 

৩. রাসুল (সা:) আমাদের আদর্শ

  • নবিজি (সা:) ঘুমালে তাঁর চোখ ঘুমাত; কিন্তু হৃদয় ঘুমাত না ৷
  • নবিজি (সা:) সুরা আস-সাজদা ও সুরা আল-মুলক পাঠ না করে ঘুমাতেন না। [মুসনাদু আহমাদ: ১৪৬৫৯] অন্য হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘তিনি সুরা আজ-জুমার ও সুরা বনি ইসরাইল পাঠ না করে ঘুমাতেন না।’  [সুনানুত তিরমিজি: ৩৪০৫]
  • তিনি যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন, তখন ডান হাত গালের নিচে রাখতেন এবং বলতেন: ‘হে আল্লাহ, যেদিন আপনার বান্দাদেরকে ওঠাবেন, সেদিন আমাকে আপনার আজাব থেকে রক্ষা করবেন।[মুসনাদু আহমাদ : ৪২২৬]

৪. অমূল্য বাণী

  • আবু হামিদ গাজালি (রা:) বলেন, ‘বেশি খানা খেয়ে বেশি পান করো না। অন্যথায় বেশি ঘুমাবে এবং বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর বেশি ঘুমের ফলে নিজের জীবন (সময়) নষ্ট হয়, তাহাজ্জুদ ছুটে যায়, অলসতা পেয়ে বসে এবং হৃদয় কঠিন হয়ে যায় । কেননা, জীবন তো কিছু শ্বাসের সমষ্টি । এটি বান্দার মূলধন, যা দিয়ে সে ব্যবসা করবে। আর ঘুম হলো মৃত্যু। বেশি ঘুমে হায়াত কমে যায়।’
  • ফুজাইল বিন ইয়াজ (রা:) বলেন, ‘দুটি অভ্যাস মানুষের হৃদয়কে কঠিন করে দেয়: অধিক ঘুম ও অধিক আহার।
  • ইবনুল কাইয়িম (রা:) বলেন, ‘ঘুম হৃদয়কে মেরে ফেলে এবং শরীরকে ভারী করে তোলে, সময় নষ্ট করে, উদাসীনতা ও অলসতা তৈরি করে। আর উপকারী নিদ্রা হলো, যা কঠিন প্রয়োজনে গ্রহণ করা হয়ে থাকে । রাতের শুরু অংশের নিদ্রা অধিক প্রশংসনীয় এবং শেষের অংশের চেয়ে উপকারী।

আর দিনের মধ্যভাগে নিদ্রা তার উভয় প্রান্তের নিদ্রা থেকে বেশি উপকারী। আর যে নিদ্রা উভয় প্রান্তের যত কাছাকাছি হবে, তা তত ক্ষতিকর হবে এবং উপকারও কম হবে। বিশেষ করে আসরের পরের নিদ্রা এবং দিনের শুরু অংশের নিদ্রা অধিক ক্ষতিকর। তবে বিনিদ্র ব্যক্তির কথা ভিন্ন।

আলিমগণ ফজরের সালাত ও সূর্যোদয়ের মাঝামাঝি সময়ে ঘুমানোকে মাকরুহ মনে করেন। কারণ, এটি খুবই মূল্যবান সময়। আল্লাহর পথের পথিকরা এই সময়ে ভিন্ন কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করতেন। এমনকি যদি তারা সারা রাত সফর করতেন, তবুও এই সময়ে নিজের সফর বন্ধ করে দিয়ে বসে পড়তেন, যতক্ষণ না সূর্যোদয় হতো। কারণ, এটি হলো দ্বীনের শুরু অংশ এবং তার চাবিকাঠি। আর এর মাধ্যমেই দিনের সূচনা হয়। সুতরাং তার ঘুম যেন হয় অপারগ ব্যক্তির ঘুমের ন্যায়।

৫. কিছু চমৎকার কাহিনি

দুই আশঙ্কার মাঝে নিদ্ৰা !!

উমর বিন খাত্তাব (রা:)-এর চেহারায় তাঁর স্বল্প নিদ্রার চিহ্ন দেখা যেত। এমনকি তাঁকে বলা হলো, ‘আপনি কি ঘুমান না?’ তিনি বলেন, ‘যদি দিনের বেলায় আমি শয্যা গ্রহণ করি, তাহলে আমার প্রজাদের ক্ষতি; আর যদি রাতের বেলা শয্যা গ্রহণ করি, তাহলে আমার নিজের ক্ষতি !!”

স্বল্প নিদ্রা গ্রহণকারী সফল

জাফর বিন জাইদ (রা:) বলেন, ‘আমরা কাবুলের দিকে একটি অভিযানে বের হলাম। আমাদের সেনাবাহিনীতে সিলাহ বিন আশইয়ামও ছিল। রাতের বেলা সে মানুষের কাছ থেকে সরে পড়ল। আমি মনে মনে বললাম, সে কী করে, আমি তা পর্যবেক্ষণ করব। মানুষ তার ইবাদতের ব্যাপারে যা বলে, আমি তা দেখে নেব। তিনি সালাত আদায় করলেন। এরপর শয্যা গ্রহণ করলেন। মানুষ গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে পড়ল। এমনকি আমি বললাম, মানুষের চোখগুলো ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে গেছে। তিনি তখন লাফ দিয়ে ওঠে পড়লেন এবং আমার কাছাকাছিই একটি বাগানে প্রবেশ করলেন। আমিও তার পিছু পিছু সেখানে

প্রবেশ করলাম। তিনি অজু করে সালাতে দাঁড়ালেন । যখন তিনি সালাত আরম্ভ করলেন, তখনই একটি সিংহ আসলো এবং তার খুব কাছাকাছি চলে এল। আমি একটি গাছে ওঠে বসলাম।’ তিনি বলেন, ‘আমি সেখান থেকে তার প্রতি দৃষ্টি রাখলাম। সিংহটি তাকে ছেড়ে দেয় নাকি খেয়ে ফেলে? অতঃপর তিনি সিজদা করলেন। আমি ধারণা করলাম, এখন নিঃসন্দেহে সিংহটি তাকে আক্রমণ করবে। তিনি সিজদা থেকে ওঠে বসলেন, তারপর সালাম ফেরালেন ৷ এরপর বললেন, “হে হিংস্র প্রাণী, অন্য কোথাও হতে নিজের রিজিক অন্বেষণ করো।” এ কথা শুনে সিংহটি ফিরে গেল। কিন্তু তার গর্জনে পাহাড় কেঁপে উঠেছিল। তিনি এভাবেই ভোর হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করতে থাকলেন। তখন তিনি আল্লাহ তাআলার এমন প্রশংসা করলেন, যা আমি আর কখনো শুনিনি। এরপর তিনি বললেন, “হে আল্লাহ, আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন।” অথবা তিনি বললেন, “আমার মতো মানুষ কি আপনার কাছে জান্নাত প্রার্থনার মতো দুঃসাহস দেখাতে পারে!” তারপর তিনি ফিরে এলেন, যেন রাত কাটিয়েছেন তোশকের ওপর ঘুমিয়ে; আর আমি প্রভাতে উপনীত হলাম ক্লান্ত অবস্থায় যা শুধু আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন !

৬. রমাদানে ঘুম

— রমাদানে আপনার ঘুমের নির্ধারিত একটি সময় রাখতে হবে এবং বাকি পুরো সময়কে নিজের উপকারী কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে।

মনে করতে হবে, ‘ঘুমের সময় চলে গেছে।’ এবং ‘আরামের দিন কেটে গেছে।’ কারণ ইবাদতের জন্য জেগে থাকার মাস চলে এসেছে। ইবাদতের মাধ্যমে আনন্দে মশগুল থাকার দিন উপস্থিত হয়েছে। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের রাতগুলো অতি নিকটবর্তী।

— রমাদান আপনাকে শিক্ষা দিচ্ছে যে, আপনার শক্তি আপনার কল্পনার বাইরে। অল্প সময়ের ঘুমই আপনার জন্য যথেষ্ট। বাকি সময় সালাত ও কিয়ামে কাটানো যায়। যে একবার পারে, সে শতবার পারে। যে একবার ব্যর্থতার পর্দা ভেঙে ফেলেছে, সে সব সময়ের জন্য নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষার ছাদ উঁচু করতে পারবে।

— রমাদানের ফজিলতময় অধিকাংশ ইবাদত করার সময় হলো রাতের বেলা । যদি আপনি রাত নষ্ট করে ফেলেন, তাহলে অনেক কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবেন। সুতরাং রাতের বেলা কম ঘুমানোর ফিকির করুন এবং যতটুকু প্রয়োজন দিনের বেলা ঘুমিয়ে নিন। রাসুল (সা:) বলেন: তোমরা কাইলুলা (দুপুরবেলা সামান্য বিশ্রাম) করো। কেননা, শয়তান কাইলুলা করে না।‘ [আল-মুজামুল আওসাত: ২৮]

কারণ, এটি আপনাকে রাতের বেলা সালাত আদায়ে শক্তি জোগাবে।

— জেনে রাখুন, কবরে গিয়ে যখন আপনি এ অল্প সময় কাইলুলা করার ফলাফল দেখবেন, তখন আনন্দে আপনার অন্তর পুলকিত হবে।

৭. সচেতনতার সূর্য ডুবে গেছে

  • মানুষ ফজরের পর ঘুমিয়ে নিজের রিজিক নষ্ট করছে।
  • টেলিভিশনের সামনে বসে থেকে সারা রাত জেগে থাকছে এবং আল্লাহর ফরজ বিধান নষ্ট করছে। অধিকাংশ রাত কাটিয়ে দিচ্ছে বাজার-ঘাটে আড্ডা দিয়ে।
  • অধিকাংশ রাত ঘুমিয়ে থেকে নিজের অনেক লাভজনক জিনিস হারিয়ে ফেলছে। তারা এমন সব লাভজনক জিনিস হারাচ্ছে, যার মূল্য শুধু তখনই বুঝে আসবে, যখন সফলদের সফলতা দেখতে পাবে এবং সীমালঙ্ঘনকারী ও শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তির শাস্তি দেখবে।

৮. দুআ

  • হে আল্লাহ, আমার জন্য স্বল্প নিদ্রাকে যথেষ্ট করুন।
  • হে আল্লাহ, আপনার আনুগত্য বাদ দিয়ে আমাকে ঘুমাচ্ছন্ন করবেন না। বরং আপনার অবাধ্যতা বাদ দিয়ে ঘুমাচ্ছন্ন করে দিন।
  • আমাকে এমন তাওফিক দিন, যেন ঘুম ও জাগ্রত উভয় অবস্থায় ইখলাস ঠিক রাখতে পারি। ফলে ঘুমেরও প্রতিদান অর্জন করতে পারব এবং জাগ্রত থাকারও প্রতিদান অর্জন করতে পারব।

৯. যথেষ্ট কথা হয়েছে, এখন আমল দেখার বিষয়

  • সম্মানিত এই মাসের প্রতিটি রাতে আপনার ঘুমের জন্য একটি নির্ধারিত সময় নির্ধারণ করুন।
  • সব সময় ঘুমানোর আগে আপনার নিয়তকে নবায়ন করে নিন, তাহলে আপনার ঘুমও ইবাদত হবে। যেমন, আপনি নিয়ত করলেন যে, ঘুমের মাধ্যমে সালাত আদায়ের শক্তি অর্জন করবেন।
  • ঘুমের আদব ও আজকারের প্রতি যত্নশীল হোন । তিন কুল (সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস) পাঠ করে ফুঁ দিয়ে তিনবার সমস্ত শরীর মাসেহ করুন। সাথে সাথে আয়াতুল কুরসি পাঠ করুন। তাসবিহে ফাতিমি তথা ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’, ৩৩ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ এবং ৩৪ বার ‘আল্লাহু আকবার পাঠ করুন ।
  • সুস্থ ও নিরাপদ ঘুমের জন্য কমপক্ষে তিন ঘণ্টা আগে আহার করবেন।
  • যেকোনো ইবাদতের জন্য পরিত্যাগ করা প্রতিটি আরামের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশা করুন। আল্লাহর আনুগত্যে যে নিদ্ৰাই আপনি পরিত্যাগ করছেন, তার বিনিময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন। তাহলে আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতে আপনার জন্য এরচেয়ে উত্তম জিনিসের ব্যবস্থা করবেন। রাসুল বলেন: ঘুম হলো মৃত্যুর ভাই। আর জান্নাতিরা মৃত্যুবরণ করবে না।‘ [বাইহাকি (রা:) কৃত আল-বাসু ওয়ান নুশুর: ৪৪০]

     অন্য বর্ণনায় আছে: আর জান্নাতিরা ঘুমাবে না।‘ [আল-মুজামুল আওসাত: ৮৮১৬]

  • যে সময়ে ঘুমানো মাকরুহ, সে সময় ঘুমাবেন না, যেমন : ফজরের পর ও ইশার আগে।

১০. আপনি স্বার্থপর নন

  • নিজের পরিবার ও সাথি-সঙ্গীদেরকে সব সময় তাহাজ্জুদের জন্য জাগিয়ে দিন।
  • এমন কোনো পরিকল্পনার ব্যাপারে আপনার মতামত কী, যেখানে ফজর বা তাহাজ্জুদের সালাতের জন্য আপনার পার্শ্ববর্তী লোকদের জাগিয়ে দেওয়া হবে।
  • এই বইটি নিজে পাঠ করে অন্যদেরকেও পড়তে দিন; যেন তারা এর থেকে উপকৃত হতে পারে।
  • মসজিদের ইমামকেও বইটি হাদিয়া দিতে পারেন; যেন তিনি জুমআর খুতবা বা তারাবিহ-পরবর্তী আলোচনায় এর থেকে ফায়দা গ্রহণ করতে পারেন।

উৎস: রমাদান-আত্মশুদ্ধির বিপ্লব, পৃষ্ঠা: ২৮ – ৩৫

Print Friendly, PDF & Email


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

আপনার মন্তব্য লিখুন