ইচ্ছাশক্তি [ আপনার আত্মতুষ্টির পরিধি বৃদ্ধি করুন ]

0
269

 willpower

লেখক: ড. খালিদ আবু শাদি | অনুবাদক: হাসান মাসরুর

১. আজকের আলোচ্য বিষয়ের ফায়দা

  • পেট ও লজ্জাস্থানের খাহিশাতের ওপর বিজয়ী লাভ করা।
  • দীর্ঘ সময় রোজা রাখার মাধ্যমে সফলতা অর্জনের সক্ষমতা তৈরি হওয়া।
  • ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা; যেন রোজা নষ্ট হয়ে না যায়।
  • মহান টার্গেটে পৌছার লক্ষ্যে সাময়িক মজা ও প্ররোচনার ওপর বিজয়ী হওয়া।
  • কষ্ট সহ্য করা ও বিভিন্ন পরীক্ষা অতিক্রম করার সক্ষমতা তৈরি; যেন নিজের কাঙ্ক্ষিত ইচ্ছা বাস্তবায়ন করা যায়।

২. কুরআনের আলো

আল্লাহ তাআলা বলেন: “যারা আমার পথে সাধনায় আত্মনিয়োগ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত করব।” [সুরা আল-আনকাবুত, ২৯ : ৬৯]

ইবনুল কাইয়িম (রা:) বলেন: ‘আল্লাহ তাআলা হিদায়াতকে সাধনার সাথে সম্পৃক্ত করে দিয়েছেন। মানুষের মাঝে পরিপূর্ণ হিদায়াতের অধিকারী হলো সে, যে সর্বাধিক সাধনা করে। আর সবচেয়ে আবশ্যকীয় সাধনা হলো : নফস, প্রবৃত্তি, শয়তান ও দুনিয়ার ফিতনা থেকে বেঁচে থাকার জন্য সাধনা করা। যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য এই চারটি বিষয়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে পারবে, আল্লাহ তাআলা তাকে নিজের সে সন্তুষ্টির পথ দেখাবেন, যা তাকে জান্নাতে পৌঁছিয়ে দেবে। আর যে এই সাধনা থেকে বিমুখ থাকবে, সে তার এ বিমুখতার পরিমাণ অনুযায়ী হিদায়াত থেকে বঞ্চিত হবে।

বস্তুত কারও জন্য বাহ্যিক শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদ করা সম্ভব নয়, যতক্ষণ না সে অভ্যন্তরীণ এই শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। যে অভ্যন্তরীণ এই শত্রুদের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করতে পারবে, সে বাহ্যিক শত্রুর বিরুদ্ধেও বিজয় লাভ করতে পারবে। আর যার শত্রু এখানে তার ওপর বিজয়ী হবে, তার বাহ্যিক শত্রুও তার ওপর বিজয় লাভ করবে।’

ইমামুল মুজাহিদিন আব্দুল্লাহ বিন মুবারক (রা:) বলতেন, ‘যার কাছে কোনো মাসআলা কঠিন মনে হয়, সে যেন রিবাতে নিয়োজিত লোকদের তা জিজ্ঞেস করে। কারণ, আল্লাহ তাআলা বলেন: যারা আমার পথে সাধনায় আত্মনিয়োগ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত করব।” [সুরা আল-আনকাবুত, ২৯ : ৬৯]

এই আয়াতের সূক্ষ্ম একটি অর্থ রয়েছে—যদিও নফসের মুজাহাদা হিদায়াতের রংসমূহ থেকে একটি রং; বরং হিদায়াতের সর্বোচ্চ রং—কিন্তু যদি তারা জিহাদ করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে পথ দেখানোর ব্যাপারে প্রতিজ্ঞা করেছেন। সুতরাং এখানে অর্থ হলো, হয়তো তাদের অর্জিত অধিক হিদায়াত বা হিদায়াতের ওপর অটল থাকা।

৩. রাসুল (সা:) আমাদের আদর্শ

নবিজি (সা:)-এর শক্তিশালী ইচ্ছাশক্তি ও কঠিন যুদ্ধের কিছু দৃশ্য:

  • নিঃসংশয় : উহুদ যুদ্ধে নবিজি -এর ইচ্ছা ছিল মদিনা থেকে বের না হওয়া; কিন্তু সাহাবিগণ বের হওয়ার পক্ষে মত দিলেন। তিনি সাহাবিদের মতই গ্রহণ করলেন। ফলে সাহাবিগণ আশঙ্কা করলেন যে, তাঁরা নবিজি স্ত্রী-কে বাধ্য করে ফেলেছেন কি না । তাই তাঁরা নবিজি -এর কাছে ফিরে এসে তাঁর ইচ্ছানুযায়ী মদিনা থেকে বের না হওয়ার মতটি গ্রহণের কথা বললেন। তখন নবিজি তাঁদের বললেন: কোনো নবি যখন তাঁর বর্ম পরে নেয়, তখন তাঁর জন্য যুদ্ধ না করে তা খুলে রাখা উচিত নয়।‘ [মুসনাদু আহমাদ: ১৪৭৮৭]

আরাম পরিত্যাগ করা: নবিজি -এর বৈশিষ্ট্য বর্ণনায় এসেছে, ‘তাঁর কোনো বিশ্রাম ছিল না।‘ [তাবারানি (রাঃ) কৃত আল-মুজামু কাবিরঃ ২২/১৫৫ ] আর এভাবেই দ্বীনের জন্য নিজের আরাম পরিত্যাগ করে তিনি আপন প্রতিপালকের আদেশ পালন করেছেন । আল্লাহ তাআলা বলেন: “অতএব যখন আপনি অবসর পান, তখন পরিশ্রম করুন।” [সুরা আশ-শারহ , ৯৪ : ৭]

অর্থাৎ আমলে আত্মনিয়োগ করুন। এই আয়াতের ব্যাপারে পাঁচটি মত আছে:

  • প্রথমত, যখন আপনি ফরজসমূহ থেকে অবসর হন, তখন তাহাজ্জুদের জন্য পরিশ্রম করুন। এটি বলেছেন ইবনে মাসউদ (রা:)।
  • দ্বিতীয়ত, যখন আপনি সালাত থেকে অবসর হন, তখন দুআয় মনোনিবেশ করুন। এটি বলেছেন ইবনে আব্বাস (রা:), জাহহাক ও মুকাতিল (রা:)।
  • তৃতীয়ত, যখন আপনি আপনার পার্থিব কাজ থেকে অবসর হন, তখন আখিরাতের কাজে আত্মনিয়োগ করুন। এটি বলেছেন মুজাহিদ (রা:)।
  • চতুর্থত, যখন আপনি তাশাহহুদ থেকে অবসর হন, তখন আপনার দুনিয়া ও আখিরাতের (কল্যাণের) জন্য প্রার্থনা করুন। এটি বলেছেন শাবি ও জুহরি (রা:)।
  • পঞ্চমত, যখন আপনার শরীর সুস্থ হয়ে যাবে, তখন সুস্থতাকে ইবাদতে ব্যবহার করবেন।

৪. অমূল্য বাণী

  • ইবনে আতা (রা:) বলেন, ‘প্রস্তুতি অনুযায়ী সাহায্য আসে।’
  • ইবনুল কাইয়িম (রা:) বলেন, ‘যদি কোনো পাহাড়কে তার স্থান থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বান্দা আল্লাহর ওপর যথাযথ ভরসা করে এবং সে এই পাহাড় সরানোর ব্যাপারে আদৃষ্ট হয়ে থাকে, তাহলে তা সরিয়ে ফেলতে পারবে।’
  • আবু তাইয়িব আল-মুতানাব্বি বলেন, ‘সংকল্পকারীর মর্যাদা অনুযায়ী সংকল্প আসে এবং সম্মানিত ব্যক্তির মর্যাদা অনুযায়ী সম্মান আসে।’
  • হিনরি ফোর্ড বলেন, ‘যখন আপনি বিশ্বাস করবেন যে, আপনি কোনো জিনিস করতে পারবেন বা বিশ্বাস করবেন যে, আপনি কোনো জিনিস করতে পারবেন না, তখন আপনি উভয় হালতেই সঠিক থাকবেন। কোনো কঠিন জিনিসই কঠিন নয়, যখন আপনি তা ছোট ছোট কাজে ভাগ করে নেবেন।
  • নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেন, ‘অসম্ভবের কথাগুলো দুর্বলদের অভিধানেই পাওয়া যায়।’
  • তাগুর বলেন, ‘সম্ভব অসম্ভবকে জিজ্ঞেস করল, তুমি কোথায় অবস্থান করো? সে উত্তর দিল, দুর্বলদের স্বপ্নে!!’

৫. একটি চমৎকার কাহিনি

একদা এক কৃষক সারাদিন কাজ করে বাড়ি ফিরছিল। তার সাথে তার একটি ঘোড়াও ছিল। ঘোড়াটির পিঠে তার ক্ষেতের কিছু ফসল ছিল। হঠাৎ ঘোড়াটি ভয় পেয়ে লাফিয়ে উঠল এবং একটি গভীর কূপের দিকে ছুটতে লাগল। এমনকি সেটি কূপের ভেতরে পড়ে গেল। লোকটি তাড়াতাড়ি কূপে পড়ে থাকা ঘোড়াটির দিকে উঁকি মেরে দেখল এবং খুব আশঙ্কিত হয়ে পড়ল। সে ঘোড়াটি বের করার জন্য নানান কৌশল অবলম্বন করল; কিন্তু কোনো কৌশলেই কাজ হচ্ছিল না। কিছুক্ষণ এভাবে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকার পর সে সিদ্ধান্ত নিল যে, ঘোড়াটিকে কূপের ভেতরেই ছেড়ে দেবে। বরং সে আরও মন্দ একটি কৌশল বের করল।

যেহেতু কূপটি ছিল শুষ্ক, এতে তো অন্য কৃষকও কষ্টের সম্মুখীন হবে, যখন তাদেরও কারও প্রাণী এতে পতিত হবে। তাই সে তার প্রতিবেশী কৃষকদেরকে এটি ভরাট করার জন্য আহ্বান করল । যেন তার পতিত ঘোড়াটি সেখানে মরে পচে গেলে তার দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়; সাথে সাথে এই ভয়ংকর কূপে পতিত হওয়া থেকেও নাজাত পাওয়া যায়।

তাই সে তার প্রতিবেশী কৃষকদের ডেকে এনে তাদের থেকে কূপ ভরাটের ব্যাপারে সাহায্য চাইল। সে এ ব্যাপারে তাদেরকে নিজের উদ্দেশ্য বর্ণনা করে শুনাল এবং এতে কাঙ্ক্ষিত ফায়দা কী হবে, তাও বর্ণনা করল। সবাই তার সাথে একমত হয়ে কাজ শুরু করল।

তারা খুব কম সময়ের ভেতরেই ঘোড়ার পিঠে মাটি ফেলতে শুরু করল। তাদের বিশেষ কোনো কৌশল ছিল না। বেশি সময় অতিবাহিত হতে না হতেই ঘোড়া কী হচ্ছে, তার বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারল। তার দৃঢ় বিশ্বাস হলো যে, এবার তার ধ্বংস নিশ্চিত। ভয় ও আতঙ্কে তার হ্রেষাধ্বনি বিকট আকার ধারণ করল। কিন্তু সে নিশ্চিত বুঝতে পারল যে, এই লোকগুলো তাদের ইচ্ছা পূর্ণ করবে। ঠিক তখনই ঘোড়াটি অন্য একটি কৌশল গ্রহণ করল।

মানুষ তখনও কূপে অনবরত মাটি ফেলছিল। এই সময় ঘোড়ার আওয়াজও পুরো বন্ধ হয়ে যায়। তাই কোনো আওয়াজ বা শব্দ শোনা যাচ্ছিল না। যন্ত্রণা বা ভয়ের কোনো ধ্বনিও শোনা যাচ্ছিল না। কিছুক্ষণ পর কৃষকরা সিদ্ধান্ত নিল যে, তারা মাটি ফেলা বন্ধ করে ঘোড়ার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে, যার আওয়াজ একদম বন্ধ হয়ে গেছে; কিন্তু তখন তারা এক বিস্ময়কর দৃশ্য দেখতে পেল!!

যখন কৃষক ও তার সহযোগীরা ঘোড়ার ওপর মাটি ফেলতে ব্যস্ত, তখন ঘোড়া ব্যস্ত ছিল অন্য কাজে। তার ওপর যখনই মাটি নিক্ষেপ করা হতো, তখন সে তা ঝাড়া দিয়ে নিচে ফেলে দিত এবং এক সেন্টিমিটার পরিমাণ ওপরে উঠে যেত। আর এভাবেই তার কাজ চলতে থাকল—সে তার পিঠের ওপর নিক্ষিপ্ত ময়লা ও মাটি সরিয়ে ফেলতে থাকল। সে নিজের পিঠ থেকে তা ফেলে আরও ওপরে উঠে যেত। ধীরে ধীরে ঘোড়াটি সকলের কাছে চলে এল এবং আলোর মুখ দেখল। মাটি তাকে দাফন ও চাপা দেওয়ার পরিবর্তে তাকে ওপরে তুলে দিল এবং এভাবেই সে ওপরে উঠে এল। একপর্যায়ে তার মুক্তি মিলল। তার ওপর নিক্ষিপ্ত সে মাটিগুলো, যা তার জন্য প্রাণনাশের আশঙ্কাস্বরূপ ছিল, তা-ই তার মুক্তির কারণ হলো।

ফায়দা: যে বিপদে পড়ে আমাদের সকল কৌশল ব্যর্থ হয়ে যায়, তা থেকে মুক্তির উপায় একটি মাত্র কৌশল। আর তা হলো ঘোড়ার মতো মাটি ঝেড়ে ফেলে দেওয়া এবং নিজেকে মাটির ওপর উঠিয়ে নেওয়া; যেন ধ্বংসের এই গর্ত থেকে নাজাত পাওয়া যায়।

৬. রমাদানে ইচ্ছাশক্তি

  • অনেক মানুষ রমাদানের আগে ১৪ ঘণ্টা কঠিন গরমের ভেতরে রোজা রাখার ব্যাপারটি অসম্ভব মনে করত।
  • আমাদের অনেকের ধারণা ছিল যে, সে ইন্টারনেটের মন্দাচার ও ধূমপান থেকে মুক্ত থাকতে পারবে না।
  • আমাদের অনেকেই কল্পনাও করত না যে, সে অর্ধ রাত বা রাতের এক- তৃতীয়াংশ সময় পর্যন্ত সালাতে দাঁড়িয়ে থাকবে এবং রমাদানের আগে যেমন ঘুমে বিভোর ছিল, এখন তা কেটে যাবে অথবা তার শরীর এই ধরনের কষ্ট সহ্য করতে পারবে।
  • রমাদানে (দিনের বেলায়) পানাহার পরিত্যাগ করতে হয়, পূর্বের মতো রুটিনমাফিক কাজ থেকে বের হয়ে নতুন রুটিনে অভ্যস্ত হতে হয় । আর এটি মানুষের ইচ্ছা ও সংকল্পকে শক্তিশালী করে তোলে।

৭. ইচ্ছার সূর্য ডুবে গেছে

বর্তমানে মানুষ মন্দ অভ্যাসের গোলামে পরিণত হয়েছে। তাদের মন্দ অভ্যাসের কিছু যেমন : ইবাদত না করে অনর্থক ও গুনাহের কাজে রাত জেগে থাকা, ধূমপান করা, মানুষের সম্মান বিনষ্ট করা, সালাতের সময় ঘুমিয়ে থাকা, ফরজের ব্যাপারে যত্নশীল না হওয়া, শয়তানের চক্রান্তের সামনে আত্মসমৰ্পণ করা। বস্তুত ইচ্ছাশক্তি যত মজবুত হবে, অভ্যাসের শয়তান তত দুর্বল হবে।

৮. দুআ

হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা, পেরেশানি, অপারগতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, ঋণের আধিক্য ও মানুষের আধিপত্য থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।‘ [সহিহুল বুখারি: ৬৩৬৯]

হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট কাজের স্থায়িত্ব ও সৎপথে দৃঢ় থাকার আবেদন জানাচ্ছি। এবং আপনার কাছে প্রার্থনা করছি রহমত লাভের চূড়ান্ত মাধ্যম ও মাগফিরাত লাভের নির্ভরযোগ্য অসিলার । আপনার নিয়ামতের শোকর ও আপনার ইবাদত উত্তমভাবে করার শক্তির জন্যও আমি আপনার কাছে দুআ করছি। সরল মন ও সত্য কথা বলার জন্যও আমি প্রার্থনা করছি। আমি আপনার কাছে প্ৰাৰ্থনা করছি, আপনি যা ভালো বলে জানেন। আমি আপনার কাছে ওই সব বিষয় থেকে পানাহ চাচ্ছি, যা আপনি আমার জন্য মন্দ বলে জানেন। সর্বশেষ আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি আমার সে সকল অপরাধের জন্য, যা আপনি জানেন। আর আপনি তো অদৃশ্য বিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।‘ [তাবারানি (রা:) কৃত আল-মুজামুল কাবির: ৭১৩৫]

হে আল্লাহ, আপনার জিকির, আপনার শোকর ও উত্তমভাবে আপনার ইবাদতে আমাকে সাহায্য করুন।‘ [সুনানু আবি দাউদ: ১৫২২, সহিহু ইবনি হিব্বান: ২০২১]

হে আমার রব, আমাকে সাহায্য করুন, আমার বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করবেন না; আমাকে সহযোগিতা করুন, আমার বিরুদ্ধে কাউকে সহযোগিতা করবেন না; আমার জন্য কৌশল আঁটুন, আমার বিরুদ্ধে কৌশল আঁটবেন না। আমাকে কল্যাণের পথ দেখান এবং আমার জন্য হিদায়াতের পথকে সহজ করুন; আমার ওপর যে অত্যাচার করে, তার বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন।‘ [সুনানু আবি দাউদ: ১৫১০, সুনানু ইবনি মাজাহ: ৩৮৩০]

৯. স্বার্থপর হবেন না

  • কথাগুলো আপনার মসজিদের মুসল্লি ও আপনার সহপাঠী-সহকর্মীদের মাঝে আলোচনা করুন।
  • এই বইটি নিজে পাঠ করে অন্যদেরকেও পড়তে দিন; যেন তারা এর থেকে উপকৃত হতে পারে।
  • মসজিদের ইমামকেও বইটি হাদিয়া দিতে পারেন; যেন তিনি জুমআর খুতবা বা তারাবিহ-পরবর্তী আলোচনায় এর থেকে ফায়দা গ্রহণ করতে পারেন।

১০. যথেষ্ট কথা হয়েছে, এখন আমল দেখার বিষয়

  • কল্যাণের কাজে দ্রুত ছুটে যাব।
  • ইবাদতের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দরজায় পৌঁছার জন্য আগ্রহী হব।
  • আমার দায়িত্বের সর্বোচ্চ অভিলাষের ছাদে আরোহণ করব।
  • টার্গেট স্পষ্ট রেখে এবং সবচেয়ে উত্তম কর্মের প্রতিদানের বিষয়টি মাথায় রেখে নিজের নফসের দুর্বলতা ও ক্লান্তির বিরুদ্ধে কাজ করে যাব।

উৎস: রমাদান-আত্মশুদ্ধির বিপ্লব, পৃষ্ঠা: ১০৪ – ১১৩

Print Friendly, PDF & Email


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্‌র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

দ্বীনী খিদমায় অংশ নিন

আপনার মন্তব্য লিখুন