পর্ব ১।পর্ব ২।পর্ব ৩।পর্ব ৪।পর্ব ৫।পর্ব ৬।পর্ব ৭।পর্ব ৮।পর্ব ৯।পর্ব ১০।পর্ব ১১।পর্ব ১২।পর্ব ১৩।পর্ব ১৪।পর্ব ১৫।পর্ব ১৬।পর্ব ১৭।পর্ব ১৮।পর্ব ১৯।পর্ব ২০।পর্ব ২১।পর্ব ২২।পর্ব ২৩।পর্ব ২৪।পর্ব ২৫।পর্ব ২৬।পর্ব ২৭।পর্ব ২৮
আলহামদুলিল্লাহ, কুরআনের আলো ওয়েবসাইটের জনপ্রিয় সিরিজ “কিভাবে নামাজের মাধূর্য আস্বাদন করা যায়” নিয়ে আমরা আবারও পোস্ট শুরু করেছি। আমরা এখন নামাজের রাকা’আতের মাঝামাঝি অবস্থায় আছি। এই পর্যায়ে আমরা একটু পিছনে ফিরে দেখব আর নিজেকে প্রশ্ন করব, ‘আমার নামাজের অবস্থার কি কোন উন্নতি হয়েছে? আমি কি এখন আল্লাহর সাথে আগের চেয়ে আরও বেশী ঘনিষ্ঠতা অনুভব করি?’ নিচে দেওয়া লিঙ্ক থেকে আপনি পেছনের পর্ব গুলোতে চোখ বুলিয়ে আসতে পারেন।বিভিন্ন প্রবন্ধের উপর চোখ বুলিয়ে তা থেকে একটা বা দুইটা বিশেষ কোন পয়েন্ট নির্বাচন করা বা পছন্দ করে নেওয়া সহজ। কিন্তু এই ধরনের প্রবন্ধ পড়ার আগেই বিশেষ একটা উদ্দেশ্য ঠিক করে নিয়ে পড়া জরুরী। যখন এই সিরিজটি দেখছিলাম তখন বুঝতে পারছিলাম যে আমার নামাজে কি পরিমান কমতি ছিল। আর বুঝলাম নামাজের প্রতিটি ভঙ্গীতে কি গভীর অর্থ লুকিয়ে আছে, আর কি করে তা আল্লাহর সাথে যোগাযোগ স্থাপনের নতুন নতুন পথ করে দেয়।
রুকু থেকে উঠে দাঁড়ানো
রুকুর পর মহানবী (সাঃ) পিঠ সোজা করে উঠে দাঁড়াতেন, বলতেন: সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ ‘যে আল্লাহর প্রশংসা করে আল্লাহ তার কথা শোনেন।‘ [বুখারী ৭৫৯, ইফা]
আমরা বেশিরভাগ মানুষই এই জায়গাটাতে তাড়াহুড়া করে ফেলি; আমরা যখন রুকু থেকে উঠে দাঁড়াই, তার পরপরই সাথে সাথে সিজদায় চলে যাই। অথচ, যখন মহানবী (সাঃ) রুকু থেকে উঠে দাঁড়াতেন, সম্পূর্ণ মেরুদণ্ড সোজা করে কিছুক্ষন দাঁড়াতেন। যেমন আগের পর্বে বলা হয়েছে, তাঁর রুকু, রুকু থেকে উঠে দাঁড়িয়ে থাকার সময়, সিজদা এবং দুই সিজদার মধ্যবর্তী বসার সময় প্রায় সম পরিমান হত (বুখারী ৭৫৬, ইফা)।
উঠে দাঁড়ানোর পরের দোয়া
এই সময় কয়েকভাবে দোয়া করা যায়, তম্মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলঃ রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ অথবা, রব্বানা লাকাল হামদ. “হে আমাদের রব! তোমার জন্যই যাবতীয় প্রশংসা” বা, রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ, হামদান কাসীরান তায়্যিবান মুবা-রাকান ফীহ. “হে আমাদের রব! তোমারই যাবতীয় প্রশংসা, অগনিত পবিত্রতা ও বরকতময় প্রশংসা”
রাসুল (সাঃ) একবার সাহাবীদের নিয়ে সালাত আদায় করছিলেন। তিনি যখন রুকু থেকে মাথা উঠিয়ে ‘সামি’ আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বললেন, তখন পিছন থেকে এক সাহাবী ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ, হামদান কাসীরান তায়্যিবান মুবা-রাকান ফীহ’ বললেন। সালাত শেষ করে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কে এরূপ বলেছিল? সে সাহাবী বললেন, আমি। তখন রাসুল (সাঃ) বললেনঃ ‘আমি দেখলাম ত্রিশ জনের বেশী ফেরেশতা এর সওয়াব কে আগে লিখবেন তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছেন।’ [সহীহ বুখারী ৭৬৩, ইফা]
সুবহানাল্লাহ !!
কেন রুকু থেকে উঠে ‘আল্লাহু আকবার’ বলি না?
নামাজে প্রায় প্রতিটি ভঙ্গী পরিবর্তনের সময় আমরা বলি ‘আল্লাহু আকবার’, শুধু এই জায়গায় ছাড়া, কেন? কারণ আমরা এখন সিজদার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। আমরা জানি সিজদা হল সেই অবস্থান যেখানে আল্লাহ বান্দার সবচেয়ে নিকটবর্তী থাকেন, এবং যেখানে দোয়া কবুল হয়। কাজেই আমরা সেই দোয়া কবুল হওয়ার সুযোগের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি তার ঠিক আগেই আল্লাহর প্রশংসা করার মাধ্যমে (কারণ যারা আল্লাহর প্রশংসা করে, আল্লাহ তাদের কথা শোনেন) এবং তার পর সিজদায় যেয়ে দোয়া করছি।
আল্লাহ যেন আমাদের নামাজকে আরও সুন্দর করার তৌফিক দেন যাতে আমাদের অন্তর আরও বেশী করে আল্লাহর সান্নিধ্য অনুবভ করতে পারে। আমীন।
অন্যান্য পর্ব গুলো এই লিংক থেকে পড়ুন:-
পর্ব ১।পর্ব ২।পর্ব ৩।পর্ব ৪।পর্ব ৫।পর্ব ৬।পর্ব ৭।পর্ব ৮।পর্ব ৯।পর্ব ১০।পর্ব ১১।পর্ব ১২।পর্ব ১৩।পর্ব ১৪।পর্ব ১৫।পর্ব ১৬।পর্ব ১৭।পর্ব ১৮।পর্ব ১৯।পর্ব ২০।পর্ব ২১।পর্ব ২২।পর্ব ২৩।পর্ব ২৪।পর্ব ২৫।পর্ব ২৬।পর্ব ২৭।পর্ব ২৮
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Whatsapp, Telegram, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। ইসলামি দা’ওয়াহ্র ৮০ টিরও বেশী উপায়! বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]
এডমিনকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই সিরিজটি পুনরায় চালু করার জন্য । এত দিন অনেক প্রতীক্ষায় ছিলাম নতুন পোস্টের জন্য। অনুগ্রহ করে এখন থেকে নিয়মিত লিখবেন। মহান আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দিক। আমীন।
[…] ১৮।পর্ব ১৯।পর্ব ২০।পর্ব ২১।পর্ব ২২।পর্ব ২৩।পর্ব ২৪।পর্ব ২৫।পর্ব ২৬।পর্ব […]